Tuesday, August 23, 2011

Khaleda's Close BNP Leader Helping Jamaati War Criminals

Prothom Alo

যুক্তরাষ্ট্রে তদবিরকারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ

মীর কাসেমকে সাহায্য করেন বিএনপির নেতা

কামরুল হাসান, ঢাকা ও ইব্রাহিম চৌধুরী, নিউইয়র্ক | তারিখ: ২৪-০৯-২০১১
একাত্তরের ঘাতক হিসেবে অভিযুক্ত ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি তদবিরকারী (লবিস্ট) প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী একজন বিএনপির নেতা। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার থেকে বাঁচতেই ওই প্রতিষ্ঠানকে মীর কাসেম আলী নিয়োগ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।


বিএনপির ওই প্রবাসী নেতার নাম শরাফত হোসেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সহসভাপতি এবং তদবিরকারী প্রতিষ্ঠান ক্যাসিডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটের সদস্য (টিম মেম্বার)। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আড়াই কোটি ডলারের চুক্তি করেন মীর কাসেম আলী।


বাংলাদেশ ব্যাংক এই অর্থ লেনদেন নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাও মীর কাসেম আলীর অর্থ পাচারের বিষয়টি অনুসন্ধান করছে।


চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রবাসী শরাফত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্যাসিডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটে কাজ করি—যদি তা আপনি জানেন, তবে তা লিখতে বা বলতে পারেন। কিন্তু এ ব্যাপারে টেলিফোনে আমি কোনো কথা বলব না।’


গত তিন মাসে কয়েক দফা যোগাযোগ করার পরও মীর কাসেম আলী এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ঠেকাতে ওয়াশিংটনে লবিস্ট নিয়োগ করেছিলেন মীর কাসেম আলী। চুক্তির পর গত বছরের ৬ অক্টোবর মীর কাসেম আলীকে লেখা এক চিঠিতে ক্যাসিডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটের আন্তর্জাতিক কার্যক্রমবিষয়ক নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আমোস জে হোচেস্টাইন জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ে তাঁরা তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব চিঠির অনুলিপি সরকারের হাতে রয়েছে বলে জানা গেছে।


সূত্র জানায়, ছয় মাসের জন্য কাজ করবে—এই শর্তে ক্যাসিডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটের সঙ্গে মীর কাসেম আলী ২৫ মিলিয়ন বা আড়াই কোটি মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১৮২ কোটি টাকা। এই অর্থ পরিশোধও করা হয়েছে।


জামায়াতে ইসলামীর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরামের নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর কাসেম আলী বর্তমানে দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, ইবনে সিনা ট্রাস্টের সদস্য (প্রশাসন) এবং কেয়ারি হাউজিং ও ইডেন শিপিং লাইনসের চেয়ারম্যান। তিনি রাবেতা আলম আল ইসলামীর এদেশীয় পরিচালক। ১৯৭১ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘ ও আলবদর বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন মীর কাসেম আলী। মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত করছে। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মীর কাসেমের বিরুদ্ধে সংস্থা তদন্ত করছে। সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


চুক্তিতে যা বলা হয়েছে: চুক্তির শর্তে বলা হয়েছে, ক্যাসিডি তাঁর (ক্লায়েন্ট) পক্ষে মার্কিন সরকার, কংগ্রেস ও সিনেট সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করবে। এ ছাড়া মার্কিন বৈদেশিক নীতি, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার বিষয়গুলো যাঁরা নিয়ন্ত্রণ করেন এবং মার্কিন প্রশাসনের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে।

২০১০ সালের ১০ মে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। ক্যাসিডির পক্ষে চুক্তিতে সই করেন প্রতিষ্ঠানের জেনারেল কনসাল অ্যান্ড্রু জে ক্যামেরস। আর মীর কাসেম আলী চুক্তিতে ‘মীর আলী’ নাম দিয়ে সই করেছেন। এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গত ৫ এপ্রিল।


ক্যাসিডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট: ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কংগ্রেসম্যান মার্টি রুশো। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা হচ্ছে—৭০০ থার্টিন্থ, এনডব্লিউ, সুইট-৪০০, ওয়াশিংটন ডিসি।


২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ব্যবসাবিষয়ক ডেইলি দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক পাতাজুড়ে প্রেসিডেন্ট ওবামার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করে। (আগের দিন, ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ওবামা।) ওই তালিকায় ক্যাসিডির প্রতিষ্ঠাতা, বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেরাল্ড এস জে ক্যাসিডির নামও রয়েছে। একটি মার্কিন পত্রিকায় একে ৩৫ বছর ধরে সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকারী সবচেয়ে শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে জেরাল্ড এস জে ক্যাসিডিকে এর ‘মাস্টার বিল্ডার’ বলা হয়েছে।


চুক্তির বিষয়ে কথা বলতে নিউইয়র্ক ও ঢাকা থেকে বারবার ওয়াশিংটনের ক্যাসিডি অফিসে ফোন করা হলেও কেউ কথা বলেননি। ই-মেইলে ক্যাসিডির সংবাদমাধ্যমের (মিডিয়া অ্যান্ড প্রেস রিলেশন) গ্রেগ ম্যাককার্থির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।


চুক্তির পেছনে বিএনপির নেতা: শরাফত হোসেন বিএনপির যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি হতে চান। খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় শরাফত হোসেনকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর পাশে দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি নিজেকে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ জুবাইদা রহমানের আত্মীয় বলে পরিচয় দেন। খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক সফরের সময় শরাফত হোসেন তদবিরের কাজে দুই লাখ ডলার ব্যয় করেও উচ্চপর্যায়ের মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোনো বৈঠকের ব্যবস্থা করতে পারেননি। এ ব্যাপারে শরাফত হোসেন বলেন, ‘দলের নেত্রীর লবিংয়ের সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কিছু বলতে চাই না।’ তবে খালেদা জিয়ার যুক্তরাষ্ট্র সফরের অনেক অর্থ এখনো পড়ে আছে বলে তিনি জানান।


ক্যাসিডির ওয়েবসাইটে শরাফত হোসেনের ছবিসহ পরিচিতিতে বলা আছে, তিনি সিনিয়র কনসালট্যান্ট, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট। তাঁর প্রধান কাজ উপযুক্ত ব্যক্তি (পোটেনশিয়াল কাস্টমার) খুঁজে বের করা এবং বিদেশি ব্যবসা সম্পর্কে অবহিত করা। ঢাকায় অনুসন্ধানকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধারণা, ক্যাসিডির সঙ্গে মীর কাসেম আলীর যোগাযোগটা শরাফত হোসেনের মাধ্যমে হয়ে থাকতে পারে।


অর্থ পাচারের অভিযোগ: শর্তানুযায়ী চুক্তির পরে আড়াই কোটি ডলার অগ্রিম পরিশোধ করতে হয়েছে মীর কাসেম আলীকে। সিটিব্যাংক এনএর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার-পদ্ধতিতে চুক্তির অর্থ ক্যাসিডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটের হিসাব নম্বরে (৩০৭১৭২৪৮, সুইফট কোড: সিটি ইউএস ৩৩) পাঠানো হয়। এই অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাঠানো হয়েছে কি না, তা এখন অনুসন্ধান করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

Sunday, August 21, 2011

BNP Leader Arrested for Shooting at Train Carrying Hasina

হাসিনার ট্রেনে গুলি: আসামি পিন্টু কুষ্টিয়ায় গ্রেপ্তার
Wed, Sep 21st, 2011 9:41 pm

পাবনা, সেপ্টেম্বর ২১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতা থাকাকালে তাকে বহনকারী ট্রেনে গুলিবর্ষণ মামলার আসামি পাবনার বিএনপি নেতা মো. জাকারিয়া পিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা সদর থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভেড়ামারা থানার ওসি আজম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভেড়ামারা বাসস্ট্যান্ডের শাপলা চত্বর এলাকা থেকে র‌্যাব সদস্যরা জাকারিয়া পিন্টুকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার তাকে থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়।

ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির একাংশের সাধারণ সম্পাদক পিন্টুর (৪০) বাড়ি ঈশ্বরদী উপজেলার কাছারিপাড়া পশ্চিম টেংরি গ্রামে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি ইসরাইল হোসেন বলেন, ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্র"য়ারি তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা ট্রেনে ঈশ্বরদী এলে তার ট্রেনে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় পিন্টুকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করা হয়।

তার বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে ওসি জানান।

র‌্যাব-১২ এর ক্যাপ্টেন মঞ্জুরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গ্রেপ্তারের সময় পিন্টুর কাছ থেকে একটি এলজি ও দুটি গুলিও উদ্ধার করা হয়।


Source: http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=171535&cid=2

Monday, August 15, 2011

Over 200 minority women raped by BNP-Jamaat

The Daily Star

Tuesday, April 26, 2011

2001 Post-polls Violence

Over 200 minority women raped

Probe finds links of several top BNP-Jamaat leaders

Over 200 minority women were gang raped allegedly by the then ruling BNP-Jamaat alliance cadres in 15 months since October 2001, finds the judicial commission probing the 2001 post-polls violence.
The barbarous act was intended to force them to leave the country. They were, in the eyes of the culprits, enemies as they voted for Awami League, said commission sources.

The commission has also found involvement of some BNP and Jamaat leaders in the oppression on minorities and Awami League workers.

Of the BNP leaders, the commission named Salauddin Quader Chowdhury, Abdul Wadud of Khagrachhari, Joynal Abedin, also known as VP Joynal of Feni, Nadim Mostafa, HM Selim of Bagerhat, Maulana Shakhawat Hossain of Keshabpur in Jessore, Abdus Sobhan of Pabna while the Jamaat leaders are Maulana Matiur Rahman Nizami and Abu Taher of Comilla.

On Sunday, some other commission sources told The Daily Star that Delwar Hossain Sayedee, Altaf Hossain Chowdhury, Maj (retd) Hafiz Uddin Ahmed, Ruhul Quddus Talukdar Dulu, Hafiz Ibrahim and Zahir Uddin Swapan were among the leaders of the then government who led the oppression.
Talking about some incidents in Bhola, commission sources said Maj (retd) Hafiz Uddin Ahmed and his men picked up one of their rivals and shot him dead.

In another incident, Hafiz and his men tore off clothes of another rival and forced him walk around a local market.

Family members of the deceased and witnesses of the killing incidents gave depositions to the commission. Some people also appeared before the commission with witnesses of the atrocity and brutality they faced.

Hafiz, however, refuted the allegations and challenged the commission.

"People know my family well. I was voted a lawmaker six times while my father three times," he said.
Khagrachhari BNP leader Abdul Wadud said the inclusion of his name among the ones involved is politically motivated.

He added "I made lots of contributions to mosques and temples of Hindus and other tribal communities in my area, which testify to the fact that I did not oppress them."

VP Joynal and Nadim Mostafa, however, could not be reached over the phone for their statements.
A high official of the home ministry said the commission identified most of the rape victims on the basis of newspaper reports of that time.

Many victims and their family members across the country contacted the commission when it was conducting the probe.

Rapists in 22 incidents of the 200 grabbed the victims' residences, he added.

Fearing social stigma, majority of the victims had not done any forensic test following the incidents.
"Many victims described their horrific experiences before the commission but denied lodging complaints against the rapists."

The victims think putting their names on record as rape victims will worsen their life in society, said the official.

The probe commission found that most of the gang rapes occurred on the country's southern part -- Bhola, Barisal, Agoiljhara and Gaurnadi.

The accused were acquitted for lack of witnesses. In some cases, police gave final reports while the names of the accused were dropped in over 500 cases out of the 3,625 major crime incidents.

As for the cases running at present, it was found that police were compelled to drop the names of the perpetrators as they have good connection with ruling AL men.

The commission recommended that the government should form district committees comprised of a magistrate, public prosecutor and some others of the district authorities to carry out further investigation into the incidents.

It, however, apprehended that it would be tough or, to some extent, impossible to continue the probe into the rape allegations, as the victims themselves are unwilling to do the legal battle.
In case of arson attacks, investigators will hardly get any evidence. The victims of the attacks over the last few years built new structures in place of the damaged ones.

The judicial commission has made a report of the 2001 post-polls violence mentioning over 3,625 incidents of major crimes including killing, rape, arson and looting by cadres of the then ruling BNP-Jamaat alliance.

Of the incidents, the commission described 355 as politically motivated murders while 3,270 were incidents of rape, arson, looting and other atrocities.

Member secretary of the commission Monwar Hossain, deputy secretary of the home ministry, handed over the report to Home Minister Sahara Khatun on Sunday.

http://archive.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=183262

BNP's 2001 Post Election Violence Another Report

দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার



২০০১ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার তদন্ত প্রতিবেদন পেশ
Daily Samakal      April 15, 2011






২০০১ সালের নির্বাচনোত্তর সহিংস ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী সংখ্যালঘু ও সাধারণ মানুষের ওপর সহিংস ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার। তদন্ত কমিশনের সদস্য সচিব একেএম মনোয়ার হোসেন আখন্দ প্রতিবেদনটি জমা দেন। ঘটনার প্রায় সাড়ে ৯ বছর পর এবং কমিশন গঠনের প্রায় সোয়া এক বছর পর তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ল।

পাঁচ খণ্ডের এ প্রতিবেদনে ৫ হাজার ৫৭১টি অভিযোগ স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে খুনের ঘটনা ৩৫৫টি. ধর্ষণ, লুটপাট, অগি্নসংযোগসহ গুরুতর অপরাধের ৩ হাজার ২৭০টি ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে। আর এসব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ২০০১ থেকে ২০০২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে।

১ হাজার ৭৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সুপারিশ অনুযায়ী সরকার শিগগিরই এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। প্রতিবেদনও জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।

তদন্ত কমিশনের এক সদস্য এ প্রতিবেদকের কাছে প্রতিবেদনের দু'একটি ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পরপরই নিজের গোয়ালের গরু জবাই করে মেজবান দেন যশোরের চৌগাছায় ভাদ্রা গ্রামের আবদুল বারিক। তার ছিল না কোনো রাজনৈতিক পরিচয়। তবে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার একান্ত ভক্ত আবদুল বারিকের ওপর ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসায় নেমে আসে নিষ্ঠুরতা। বিএনপি ক্যাডাররা আবদুল বারিকের দুটি পা কেটে নেয় ও তার দুই ছেলেকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আওয়ামী লীগের বিজয়ের আনন্দে গরু জবাই করে মেজবান খাওয়ানোয় তার ওপর এভাবে নির্যাতন করা হয়।

অন্যদিকে বাগেরহাটের ঘটনাটি আরও করুণ। বৃদ্ধ এক বাবার সামনে মেয়েকে গণধর্ষণ করে বিকৃত উল্লাসে মেতে ওঠে বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা। ঘটনার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ভুক্তভোগীর পরিবার গেলেও কোনো বিচার পায়নি। উল্টো ক্যাডাররা তাদের দেশত্যাগের হুমকি দেয়। ২০০১ সালের নির্বাচনোত্তর সহিংসতার অনেক চিত্রই ছিল এমন।

সূত্র জানায়, ৫ খণ্ডের ওই প্রতিবেদনে লেখচিত্রসহ সহিংসতার ধরন ও প্রকার, সহিংস ঘটনার কিছু উদাহরণ, কারণ ও পটভূমি, সারসংক্ষেপ, প্রাসঙ্গিক মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। কমিশন প্রতিবেদনে সারাদেশে সংঘটিত ওইসব নির্যাতনের ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ কয়েক নেতার প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে বলে উলেল্গখ করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন, অত্যাচার, খুন, লুটপাট, ধর্ষণ, বাড়িতে অগি্নসংযোগ, হিন্দুদের ওপর নির্যাতন, বাড়িঘর দখলসহ নানা নৈরাজ্য চালিয়েছে।


তিনি আরও বলেন, অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী সংঘটিত সহিংস ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন ও এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ ২০০৯ সালে উচ্চ আদালতে একটি রিট করে। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন।

তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে কি-না_ এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেদনটি আজ পাওয়া গেছে। এটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করার পর শিগগিরই জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। অভিযুক্তদের বিচার করার বিষয়ে তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনায় রয়েছে দোষীদের বিচারের বিষয়ে উচ্চ আদালতের মতামত নেওয়া যেতে পারে। অভিযুক্তদের বিচারের জন্য সরকার উচ্চ আদালতের মতামত নেবে।

রিট মামলায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনার আলোকে সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২০০৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর তিন সদস্যের একটি 'জুডিসিয়াল তদন্ত কমিশন' গঠন করে। কমিশনের প্রধান ছিলেন সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। অপর দুই সদস্য হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব একেএম মনোয়ার হোসেন আকন্দ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মীর শহীদুল ইসলাম। ইতিমধ্যে কমিশনের মেয়াদ শেষ হলে ২৬ এপ্রিল ২০১১ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তদন্ত কাজ শুরু করে তদন্ত কমিশন। সচিব বলেন, প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ করা হয়, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিবেদন সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান শিকদার বলেন, প্রতিবেদনটি তৈরিতে কোনো বিষয় রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদেরই শনাক্ত করা হয়েছে।

প্রতিবেদন দাখিলের পর কমিটির সদস্য উপ-সচিব একেএম মনোয়ার হোসেন আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, ৫ খণ্ডের প্রতিবেদনের প্রথম খণ্ডে রিপোর্ট ও সুপারিশ পাতা সংখ্যা ১-১২১। দ্বিতীয় খণ্ডে ভোলা জেলার বিবরণ, পাতা ১ থেকে ২৭৫ পৃষ্ঠা। তৃতীয় খণ্ডে বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর জেলার বিবরণ, পাতা সংখ্যা ১-১৬৩। চতুর্থ খণ্ডে খুলনা বিভাগের বিবরণ, পাতা সংখ্যা ১-১৬৩। পঞ্চম খণ্ডে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেটের বিবরণ, পাতা ১-৩৫৬। মোট পাতার সংখ্যা ১ হাজার ৭৮টি। তিনি বলেন, ৫ হাজার ৫৭১টি ঘটনার মধ্যে ৩৫৫টি খুনের ঘটনা। ধর্ষণ, লুটপাট, অগি্নসংযোগসহ গুরুতর অপরাধের সংখ্যা ৩ হাজার ২৭০টি। আর এসব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ২০০১ থেকে ২০০২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে।

সূত্র জানায়, প্রতিবেদনে অভিযোগকারী, ঘটনার বিবরণ ও আসামিদের নাম-ঠিকানা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ছবি সংযুক্ত রয়েছে। এ প্রতিবেদন বাংলাদেশের বৃহত্তম তদন্ত প্রতিবেদন।

সূত্র জানায়, কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে ৫ হাজার ৫৭১টি। কমিশনের তদন্ত করা এসব ঘটনায় ১৮ হাজারেরও বেশি লোক জড়িত। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর হিন্দু সল্ফপ্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অনেক ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়। হত্যা, ধর্ষণ, অগি্নসংযোগ, লুটপাটের এসব ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় বিএনপি-জামায়াত জোটকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবতী সহিংস নির্যাতনের ঘটনার বেশিরভাগ কমিশনের পক্ষে তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। এসব ঘটনা তদন্তের জন্য কমিশন প্রতি জেলায় একটি করে স্বল্পমেয়াদি কমিটি বা কমিশন গঠন করতে সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। কমিশনের তদন্তের ভিত্তিতে নতুন মামলা দায়ের, পুরনো মামলা পুনরুজ্জীবিত করা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দিতেও সরকারকে সুপারিশ করা হয়েছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দলের শীর্ষ নেতার নির্দেশে দেশে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি উলেল্গখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এভাবে দলগুলোর শীর্ষ নেতারা যদি সচেষ্ট থাকেন, তাহলে নির্বাচনোত্তর সহিংসতা বন্ধ করা সম্ভব।

বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে ওই সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশাসনিক দুর্বলতার কথা উলেল্গখ করে বলা হয়েছে, নির্বাচিত না হওয়ায় এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতা না থাকায় তারা যা খুশি তাই করে থাকেন। অষ্টম সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটাই হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই নির্যাতনটা শুরু হয়। দলীয় আনুগত্যের কারণে ওই সরকার সংখ্যালঘু বা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন প্রতিরোধ বা বন্ধ করতে প্রশাসনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

প্রশাসনিক রদবদলের মধ্য দিয়ে তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টা ২০০১ সালে নির্যাতনের সুযোগ করে দিয়েছিলেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

এ তদন্ত কমিশন ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সেন্ট্রাল সার্কিট হাউসে কার্যক্রম শুরু করে। একই বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে সহিংস ঘটনা হত্যা, লুট, অগি্নসংযোগ, ধর্ষণ, বসতবাড়ি উচ্ছেদ, জমি দখল ইত্যাদি মানবতাবিরোধী অপরাধের তথ্য-উপাত্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রদানের জন্য একটি 'গণবিজ্ঞপ্তি' পত্রপত্রিকায় প্রকাশ করে। এরপর থেকেই কমিশন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক অভিযোগ ও আবেদনপত্র পেয়েছে।

এছাড়াও কমিশন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তার জন্য রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের কাছে অনুরোধ করে চিঠি পাঠায়। কমিশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করে। এছাড়াও কমিশনে প্রাপ্ত অভিযোগ ও ঘটনার বিবরণ যাচাই-বাছাই করে কমিশনের সদস্যরা মাঠ পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঘটনাস্থল সরেজমিন পরির্দশন করেন।

BNP-Jamaat's 2001 Post Election Violence

Prothom Alo

২০০১ সালের নির্বাচনোত্তর সহিংসতার তদন্ত প্রতিবেদন। দায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্বল প্রশাসন ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ

ওটা ছিল ‘মানবিক দুর্যোগ’

রোজিনা ইসলাম | তারিখ: ২৫-০৪-২০১১

অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর সহিংসতাকে ‘মানবিক দুর্যোগ’ উল্লেখ করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের সহিংস ঘটনার জন্য ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্বল প্রশাসন এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দায়ী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দলীয় আনুগত্যের কারণে সে সময়কার তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্যাতন বন্ধ করতে প্রশাসনিকভাবে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারেনি। আবার জনগণের কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো জবাবদিহি না থাকায় খেয়ালখুশিমতো প্রশাসন চালিয়েছে। বিশেষ করে, ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রশাসনে রদবদলের মাধ্যমে সহিংস ঘটনার জন্য পথ সৃষ্টি করে গেছেন।

উল্লেখ্য, ওই সময় প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন লতিফুর রহমান। যোগাযোগ করা হলে ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘তখন আমাদের কাছে যেসব অভিযোগ এসেছিল, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’ তদন্ত প্রতিবেদনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্বল প্রশাসনকে দায়ী করার বিষয়টি ঠিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনটি দুর্বল।

২০০১ সালের ১ অক্টোবরের সাধারণ নির্বাচনের পরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর একের পর এক হামলা হতে থাকে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, হাত-পা কেটে নেওয়া এবং খুন-ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশন গতকাল প্রতিবেদন পেশ করেছে।

প্রসঙ্গত, এ ধরনের নৃশংস ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে ‘হিউম্যান রাইট ফর পিস’ নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন হাইকোর্টে রিট আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ৬ মে এসব নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তের জন্য সরকারকে নির্দেশ দেন আদালত। এরপর ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের দুই সদস্য হলেন উপসচিব মনোয়ার হোসেন আখন্দ ও ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মীর শহিদুল ইসলাম।

জানা গেছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে হত্যা, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই গণবিজ্ঞপ্তি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ডিআইজিদের কাছে পাঠানো হয়। তদন্ত কমিশন মাঠপর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

গতকাল রোববার বেলা দেড়টায় তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের সদস্য মনোয়ার হোসেন আখন্দ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। কমিশন গঠনের প্রায় এক বছর পর প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলো। তবে প্রতিবেদনে কী আছে, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোনো মন্তব্য করেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা কমিটির সদস্যরা।

তদন্ত কমিশনের সুপারিশে ২০০১ সালের নির্বাচনোত্তর ঘটনার জন্য দায়ী অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা করারও সুপারিশ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে কমিশনের সদস্য মনোয়ার হোসেন আখন্দ প্রথম আলোকে বলেন, ওই সময়ের সহিংস ঘটনাগুলো একেকটি ‘মানবিক দুর্যোগ’। এ দুর্যোগের ধারা থেকে বের হয়ে প্রশাসন দলীয়করণমুক্ত হবে—এটাই কমিশনের প্রত্যাশা। তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পরপরই যেসব নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতিহিংসার কারণেই এসব ঘটনা ঘটেছে।

তদন্ত প্রতিবেদন: সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাঁচ খণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদনটি এক হাজার ৭৮ পৃষ্ঠার। তদন্তকালে কমিশন মোট অভিযোগ পেয়েছে পাঁচ হাজার ৫৭১টি। ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া অভিযোগের সংখ্যা তিন হাজার ৬২৫। এর মধ্যে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ৩৫৫টি এবং লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, পঙ্গুত্ব, গুরুতর আঘাত, সম্পত্তি দখল ও অন্যান্য গুরুতর অভিযোগ তিন হাজার ২৭০টি। অভিযোগ বাতিল করা হয়েছে এক হাজার ৯৪৬টি। কমিশনের তদন্ত করা তিন হাজার ৬২৫টি ঘটনায় ১৮ হাজারেরও বেশি লোক জড়িত। কমিশনের প্রতিবেদনে সহিংস ঘটনার কিছু উদাহরণ, কারণ ও পটভূমি, সহিংসতার ধরন, সারসংক্ষেপ, প্রাসঙ্গিক মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে ভোলা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের বিবরণ আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের পরপরই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও সাধারণ মানুষের ওপর সহিংস ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত কমিশন প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এটি শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। তদন্ত কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী দোষী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। সহিংস ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা যদি এখন মামলা করতে চান, সরকার তাঁদের সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, পুরো প্রতিবেদনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো যাবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটায়। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের খুন করে। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও বসতবাড়ি উচ্ছেদ, জমি দখল করে। নারী ধর্ষণসহ অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়ন চালায়। সংখ্যালঘুদের এ দেশ থেকে বিতাড়িত করতে যা করা দরকার, তা-ই তারা করেছিল।
চিহ্নিত দায়ী ব্যক্তি: প্রতিবেদনে কিছু রাজনৈতিক নেতাকেও দায়ী করা হয়েছে। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষনেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, তরিকুল ইসলাম, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আবদুস সালাম পিন্টু, জয়নাল আবেদীন, আবদুল হাফিজ, এম এ এইচ সেলিম ও হাফিজ ইব্রাহিম। সূত্রমতে, তদন্ত প্রতিবেদনে এমন আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে।

কারণ ও পরিপ্রেক্ষিত: বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় নেতা-কর্মীদের পাঁচ হাজার ৮৯০টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে উল্লেখ করে তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। রাজনৈতিক আক্রোশের কারণে কারও হাত-পা কেটে ফেলা হয়, কারও চোখ তুলে ফেলা হয়, অনেক নারীকে ধর্ষণ করা হয় মায়ের সামনেই।

কমিশন জানায়, ২০০১ সালে নির্বাচনোত্তর সহিংসতার ঘটনায় যেসব ব্যক্তির ওপর আক্রমণ করা হয়েছিল, লুটপাট চালানো হয়েছিল, গণধর্ষণ করা হয়েছিল, তাঁরা থানায় বা আদালতে অভিযোগ দায়ের পর্যন্ত করতে পারেননি। আবার কেউ কেউ অভিযোগ করতে পারলেও রাজনৈতিক কারণে তদন্ত করা হয়নি।

সুপারিশ: কোনো মামলা হয়ে থাকলে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে। অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—এ ধরনের সহিংস ঘটনা তদারকি করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সেল গঠন করা, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা করা, রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণে পরিবর্তন আনা, নির্বাচনে জয়লাভের পর পরাজিতদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব, জয়লাভের পর তাৎক্ষণিক বিজয়োল্লাস পরিহার করা, জনগণের রায়কে স্বীকৃতি দেওয়া, স্থানীয় প্রশাসনকে দলীয়করণ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা, এসব ঘটনা তদন্তের জন্য প্রতি জেলায় একটি করে স্বল্পমেয়াদি কমিটি বা কমিশন গঠন করা ইত্যাদি।

Tuesday, August 2, 2011

Unbelievable Corruption by Khaleda Zia's Sons and Ministers

লেখক: ইত্তেফাক ডেস্ক  |  বৃহস্পতি, ৬ অক্টোবর ২০১১, ২১ আশ্বিন ১৪১৮

সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসের ফাঁস করা তারবার্তায় এসেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ।
ক্ষমতার মেয়াদের শেষে দিকে এসে বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার ‘নজিরবিহীন’ মাত্রার দুর্নীতিতে নিমগ্ন হয়ে পড়েছে। অনেকের লোভের মাত্রা বাড়তেই আছে। বাড়ছে আসন্ন নির্বাচনের প্রচার অভিযানে খচর করার জন্য টাকা সংগ্রহের অভিযান। প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দুই পুত্র ছাড়াও তার মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনরা সরাসরি ‘কমিশন বাণিজ্যে’ জড়িয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন টেন্ডার কিংবা সরকারি কেনাকাটা থেকে ‘কমিশন’ নিচ্ছেন তারা।

ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া বিউটেনিস ২০০৬ সালের ২৪ আগস্ট মার্কিন সরকারের কাছে পাঠানো এক তারবার্তায় এসব কথা লেখেন। সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসের ফাঁস করা আড়াই লক্ষাধিক তার-বার্তার মধ্যে  ‘গোপনীয়’ শ্রেনীভুক্ত ঢাকার এই তারবার্তাটিও আছে। চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ের পরিস্থিতি উল্লেখ করতে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ওই তারবার্তাটি পাঠান।

প্যাট্রিসিয়া বিউটেনিস গোপন তারবার্তায় আরো লেখেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিবার এবং কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্যরা ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছেন। কোনো রকম আইনি শাস্তির আশঙ্কা না করেই তারা দুর্নীতি ও অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে তাদের দেখাদেখি মাঠপযায়ের সর্বস্তরে ‘ছিঁচকে’ দুর্নীতির ঘটনাও বেড়ে গেছে। কারণ, নিম্নপদস্থ কর্মচারী কর্মকর্তারা এখন দুনীতির ব্যাপারে নিজেদেরকেও অনেকে ‘ঝুকিমুক্ত’ মনে করছেন।

বিউটেনিস তারবার্তায় আরো লেখেন, ২২৩ মিলিয়ন ডলারের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও ভিসার টেন্ডারের পুনরুজ্জীবনের ঘটনা বিএনপি আমলে সম্ভবত সবচে বড় প্রশ্নবিদ্ধ প্রোজেক্ট। এছাড়া কেবিনেট কমিটি গত ২১ আগস্ট (২০০৬) আরো ১২২ মিলিয়ন ডলারের ১৯ প্রোজেক্ট নিয়ে আলোচনা করে দুটি বাদে সবগুলোর অনুমোদন দিয়েছে। অথচ এগুলোর প্রতিটি নিয়ে মারাত্মক অনিয়মের অভিযোগ আছে।

সাবেক সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের তারবার্তার ভাষ্য, প্রধানমন্ত্রীর দুই পুত্র এবং সিনিয়র মন্ত্রীদের আত্মীয়স্বজনরা সরাসরি কমিশন বাণিজ্যে জড়িত। প্রশ্নবিদ্ধ এসব প্রোজেক্ট অনুমোদনে তাদের ভূমিকা আছে। তারা বড় মাত্রায় ‘কমিশন’ নিয়ে এসব প্রশ্নবিদ্ধ প্রোজেক্ট বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং প্রভাবশালী মন্ত্রীদের পুত্ররা এভাবে বিভিন্ন প্রোজেক্টে নিজেদের জড়িয়ে জোট সরকারে দুর্নীতির বিস্তারে বড় ‘ফ্যাক্টর’ হিসেবে কাজ করেছেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে প্রথম স্থান দিলেও কারো হুশ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।

BNP's 2001 Post Election Violence


BNP's Top Leader Mosharraf's Million Found in UK Vaults

The Daily Star

Monday, January 19, 2009

Mosharraf's million found in UK vaults

* Money laundering probe in UK * Ex-minister claims his 1969-75 study time earning swelled astronomically * But account opened in 2003 * Wife's house found in Kent


Housewife turned businesswoman Bilquis Akter Hossain has more money than her husband former BNP minister Khandeker Mosharraf Hossain.Photo: STAR
BNP leader and former minister Khandeker Mosharraf Hossain, his wife and a son have huge wealth in the British Isles, found investigators in the United Kingdom.
Mosharraf and his wife Bilquis Aktar Hossain have one million pounds in a joint account with Lloyds TSB Bank in Guernsey, a Crown dependency in the English Channel, said a source here citing findings of a probe by the Proceeds of Corruption Unit of London's Metropolitan Police.
However, in a wealth statement to the Anti-Corruption Commission (ACC), Mosharraf said he and his wife have £250,000 with the Lloyds Bank.
Mosharraf submitted his wealth statement to the anti-graft body in June 2007, just a month before the Met opened the money laundering investigation against him.
Investigators in the UK believe the assets they have traced represent proceeds of crime and were laundered by Mosharraf and Bilquis.
They have gathered much information about transactions in accounts that the ex-minister's wife and son have with various banks in London.
Initially, the sleuths sought to identify whether the Mosharraf family own those in their names or those of third parties.
They collected banking records from HSBC Bank plc with regard to Khandeker Hossain and Bilquis Hossain, at Hendon Central Branch, London, NW4 3JU.
Later, they had copies of documentation in relation to four accounts with HSBC Bank plc.
Of those, account numbered 01340123(Sort Code 40-03-26) was Bilquis's and the one numbered 01349090 (Sort Code 40-03-26) was her son Khandeker Maruf Hossain's.
"We have established that they have two sons, Khandeker Maruf Hossain and Khandeker Mahbub Hossain, both of whom have the same initials as their father KMH," a source quoted British investigators as saying in a report he has come by of late.
Bilquis opened hers in 2003 with an initial credit of £1000. But soon, she had over £3.94 lakh deposited in her name.
"There was no account activity until May 27, 2003, the account received a credit of £394,202.20 from an as yet unidentified bank account," read the report.
The current balance in the account is zero as the money was withdrawn at different times. The last withdrawal was made on May 24, 2007, when £60,839.74 was remitted to Janata Bank in Dhaka.
In 2004, Bilquis purchased a house in Kent (59 Hilda Vale Road, Kent, BR6 7AW) at £209,000. Her son Maruf remitted £212,000 from his HSBC account to UK law firm TG Baynes to fund the purchase.
Contacted via phone, Mosharraf told The Daily Star on Saturday evening that he does not know anything about the money laundering probe in the UK.
He claimed the money his family has there is neither illegally earned nor laundered.
He said he and his wife had separate accounts with HSBC Bank in London and a joint account with Lloyds.
Asked about the amount and source, he repeated what he said in the wealth statement to ACC.
About the house, he said, “I gave my wife the money to buy that house. Our son had nothing to do with the purchase.”
He added that efforts are on to sell the house.
However, the UK investigators have discovered that Bilquis sold the house in 2007. One Mohammed Abdur Rahman Miah bought it for £210,000 which is around £60,000 less than the current market price.
In the statement to ACC, Mosharraf said the money he and his wife had as FDR with the Lloyds Bank would be brought back once it gets matured.
He also said necessary steps had been taken to bring all the money back to Bangladesh by selling the house.
But, on November 27 last year, in an affidavit to the Election Commission as a candidate in the ninth parliamentary election he stated her wife has a flat worth Tk 2.87 crore in the UK.
In the ACC statement, Mosharraf said he has wealth worth over Tk 2.28 crore at home. As his sources of assets, he mentioned business, agriculture, remuneration as lawmaker and minister, salary as a DU teacher etc.
His wife's wealth is worth over Tk 6.05 crore. She cited house rent, business, honorarium, apartment sale, fishery, remittance, return on bonds, etc as her sources of income.
Bilquis was a housewife before she took over the business responsibilities of her husband who got too busy as a lawmaker and minister in 2001-06.
An ACC official told The Daily Star yesterday that the wealth they found to have been earned beyond Mosharraf's known sources of income does not include assets abroad.
A separate probe is on to find if he has any wealth stashed overseas, he added.
Explaining how they owned the property overseas, the couple told the ACC that they earned more than £100,000 by doing jobs during their stay in the UK between 1969 and 1975. Mosharraf went there for higher degree.
Before returning home, they invested the money with Lloyds TSB Offshore Private Banking at the Guereusey branch. They did it for higher profit, read the statement.
The return on their investment accrued over 18 to 19 years. But as stock markets across the world began to crumble in 1992-93, they had the money shifted to their main account with the bank.
The couple spent some of the money on their sons' study in the US and UK. They also opened a fixed deposit amounting to £250,000 in a joint account.
They said they also bought a house at Kent for £210,000 so that their daughter Mahzebin Khandeker Mohua could study in the UK living with her mother.
Interestingly, the couple declares to ACC that they would accept whatever steps the National Board of Revenue (NBR) should take as per the law.
An NBR high official said such declaration might mean he had not mentioned some of his wealth in earlier tax returns.
He might be talking about his wealth abroad now to be spared prosecution. In that case, he had committed three offences--concealing information and income and evading tax, added the NBR official speaking to this correspondent in return for anonymity.
The ACC official who would not be identified talking about the issue also said that the ACC investigation found that his tax returns mention nothing about his assets abroad.
Mosharraf however claimed that he and his wife declared so because they do not know how the assets to be brought back would be treated in legal terms.
Once a teacher of geology at Dhaka University, he got involved in BNP politics during the rule of former president Ziaur Rahman.
He won parliamentary election from Comilla-1 constituency four times. In Khaleda Zia's government in 1991-96, he served as a minister first for home affairs and then for power, mineral and energy resources. He was at the helm of health ministry during the four-party alliance rule in 2001-06.
He was arrested on March 7, 2007 by the army-led joint forces in anti-graft drive by the caretaker government. He came out on bail in December last year.
Currently, he stands accused in several cases. ACC filed three cases against him on graft charges and NBR one for evading income tax of Tk 63.23 lakh between fiscal year 1996 and 2006. In fiscal year 2008-09, he paid Tk 2.82 lakh in income tax.
In September last year, ACC pressed charges against him of amassing wealth worth over Tk 9.10 crore through illegal means and concealing information about assets worth over Tk 4.31 crore.
At first, he was found to have been possessing assets worth over Tk 13.86 crore beyond known sources of income. Later, he had over Tk 4.75 crore of the amount legalised under a provision by the caretaker government to allow whitening black money, said an ACC official.
Mosharraf's statement to ACC said his wife and son Maruf had Tk 6.62 lakh in a joint account at the principal branch of Pubali Bank.
The amount was described as "foreign currency earning" between 2007 and 2008.
The investigators in the UK found 19 Faber Gardens (Hendon, London, NW4 4NP) to be Bilquis's correspondence address there.
"This is a residential property owned by a Mr. Salimullah Shaikh, who is an accountant registered with the Institute of Chartered Accountants of England and Wales," a source said quoting the UK report.
The investigators also said they believe Bilquis has a brother named Abdur Rashid, who is in business with one Abdul Bashir Kaiser.
They are involved with the Bangladesh based Kaiser Trading Company Limited, which is part of the Gumti Group of Companies. They both use 19 Faber Gardens, Hendon, London, NW4 $NP as a UK correspondence address.
British investigators found that Rashid also has a Lloyds TSB Bank account in Guernsey, which has a balance of approximately £500,000, said the sources.
The document read, "There are reasonable grounds to suspect that Khandeker Hossain and Bilquis Hossain have conspired to launder the proceeds of criminal activity, and that substantial amounts of money are involved."
Officials working in the anti-graft drive said they have learned about many cases like Mosharraf's.
They believe a good number of high profile graft suspects have huge sums in banks abroad.
Mostly former ministers and lawmakers of the BNP-led four-party alliance and their family members, they are suspected of earning those from big government projects.

© thedailystar.net, 1991-2008. All Rights Reserved

Monday, August 1, 2011

Ziaur Rahman and His Ray-Ban Sunglasses

জিয়াউর রহমানের সানগ্লাস সমাচার

আলমগীর সাত্তার

কিছুদিন আগে আমি জনকণ্ঠ পত্রিকায় জিয়াউর রহমানের বুট জুতা সমাচার নামের একটা লেখা লিখেছিলাম। এবার লিখতে বসেছি তাঁর সানগ্লাসের বিষয় নিয়ে। বিখ্যাত মানুষদের খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা এবং লেখালেখি হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। সাধারণ মানুষ কী করল না করল তা নিয়ে অন্যরা খুব কমই মাথা ঘামায়। আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ সাহেবের নারীঘটিত ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে কতই না হৈ চৈ হয়েছে। লণ্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকার মতো বিখ্যাত সংবাদপত্রে পর্যন্ত সে খবর ছাপে। আমেরিকার এক সাংবাদিক কিছুদিন বাংলাদেশে ছিলেন। তিনি আমাদের দেশের ওপর একটি বই লিখেছেন। আমি বইটি অনেক বছর আগে পড়েছি, কিন্তু বইয়ের নামটা ভুলে গেছি। আমেরিকার ওই সাংবাদিক তার বইয়ে লিখেছেন, ঢাকার গল্ফ কাবে রওশন এরশাদ এবং জিনাত মোশাররফের মধ্যে একবার মারামারি হয়েছিল। ঢাকার বস্তিবাসীদের মধ্যে অনেক পুরুষ আছে নারীঘটিত ব্যাপারে যাদের অবস্থান এরশাদ সাহেবের চেয়ে অনেক ওপরে, তবু তাদের নিয়ে আলোচনা হয় না। খ্যাতিমান মানুষদের সব ব্যাপারেই আমাদের মতো সাধারণ মানুষের মাঝে অনেক কৌতূহল আছে বলেই আমি জিয়াউর রহমানের সানগ্লাস সম্পর্কে দুটো কথা বলতে চাই।


জিয়াউর রহমান অনেক কারণে এখনও বহুল আলোচিত, যেমন :
(
) মৃত্যুর পর তার তথাকথিত ছেঁড়া চপ্পল, ভাঙা স্যুটকেস এবং ছেঁড়া গেঞ্জির কাহিনী।
(
) জাতীয় পোশাক হিসাবে সাফারি স্যুটের প্রচলন করা।
(
) খাল কাটার নামে দেশব্যাপী নিজের আত্মীপ্রচারের প্রচেষ্টা।
(
) পঁচাত্তরের মর্মান্তিক খুনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবং পরবর্তীতে খুনীদের পুরস্কৃত করা।
(
) মুক্তিযোদ্ধা সেনাদের বিশেষ করে কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিকাষ্ঠে লটকানো।
(
) নিজ মন্ত্রীদের কাছে নিয়মিত চাঁদা দাবি করা।
(
) গোয়েন্দাদের সহায়তায় ছাত্রদের বিপথগামী করা।
(
) ২৫ মার্চ রাতের বেলায় সোয়াত নামের পাকিস্তানী জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে যাওয়া।
(
) কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা।


এমনি অসংখ্য কারণে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আরও অনেকদিন ধরে আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকবে। ইতিহাসে নায়ক, মহানায়ক এবং খলনায়ক সবারই অবস্থান যথাসময়ে নির্দিষ্ট হয়ে যায়। জিয়াউর রহমানের অবস্থান কি বলে নির্দিষ্ট হবে, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। কঠিন সব বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করার যেমন যোগ্যতা রাখি না তেমনি অভ্যস্তও নই। তাই আমি তাঁর সানগ্লাস নিয়ে কিছু বলার উদ্যোগ নিয়েছি।


জিয়াউর রহমান সব সময় আমেরিকার বিখ্যাত রে ব্যান কোম্পানির ফটোমেট্রিক সানগ্লাস ব্যবহার করতেন। তাঁর বুট জুতা যেমন সুইজারল্যান্ডের বালি সু- কোম্পানি থেকে বিশেষভাবে অর্ডার দিয়ে আনা হতো, তেমনি তার সানগ্লাসও আমেরিকা থেকে আনা হতো। তখনকার দিনে অমন দামী সানগ্লাস আমাদের দেশে পাওয়া যেত না। বর্তমানে পাওয়া যায় কিনা তা আমার জানা নেই। ফটোমেট্রিক সানগ্লাসের সুবিধা হলো, আলোর তীব্রতা অথবা স্বল্পতার সঙ্গে ওই সানগ্লাস আপনা থেকে সমন্বয় সাধন করতে পারে। ভরদুপুরের রোদে ওই সানগ্লাসের কাঁচ গাঢ় আকার ধারণ করে আলোর তীব্রতা প্রতিহত করে। ফলে কড়া রোদের মাঝে দাঁড়িয়ে ওই সানগ্লাস চোখে থাকলে সবকিছু ছায়ানিবিড় দেখায়। আবার ঘরের ভেতরকার স্বল্প আলোতে ওই সানগ্লাসের একই কাঁচ স্বচ্ছ হয়ে সবকিছু খুব স্পষ্ট করে দেখতে সাহায্য করে। তাই অমন ধরনের সানগ্লাস ঘরের ভেতরে অবস্থানের সময়ে ব্যবহার করা যায় বেশ স্বচ্ছন্দে।


দেশবাসীর ভাল করেই জানা আছে, প্রেসিডেন্ট জিয়া সবসময় সানগ্লাস পরে থাকতেন। মানুষের চোখের দৃষ্টি তার মনের অনেক কথা প্রকাশ করে দেয়। তাই সবার কাছে নিজের চোখের দৃষ্টি আড়াল করতেই তিনি ফটোমেট্রেক সানগ্লাস পরে থাকতেন। তিনি না-কি ঘরের ভেতরেও সানগ্লাস ব্যবহার করতেন। আমার কল্পনা করতে ভাল লাগে পাঁচফুট পাঁচ বা ছয় ইঞ্চি উচ্চতার শ্যামলা রংয়ের মানুষটি ঘরের ভেতরে ছেঁড়া চপ্পল পায়ে, ছেঁড়া গেঞ্জি গায়ে রে ব্যান কোম্পানির ফটোমেট্রিক সানগ্লাস পরে বসে আছেন।


জিয়াউর রহমানের সানগ্লাসই কেবল ফটোমেট্রিক ছিল না, তাঁর চরিত্রও ছিল ফটোমেট্রিক। তাঁর চরিত্র বলতে যা বোঝায় তা হলো, "যখন যেমন তখন তেমন" একাত্তরের ২৫ মার্চের রাত এগারোটা পর্যন্ত তিনি পাকবাহিনর প্রতি অনুগত ছিলেন। রাত সাড়ে এগারোটায় তিনি পাকিস্তানী জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে চললেন। পথিমধ্যে আগ্রাবাদের কাছে রাস্তার ব্যারিকেডের বাধার কারণে গাড়ি থেকে নামলেন। তখন ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান ঊর্ধশ্বাসে ছুটে গিয়ে তাঁকে জানালেন পাকবাহিনী বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারের বাঙালী সেনাদের হত্যা করতে শুরু করেছে। কথা শুনে তিনি ঘোষণা করলেন, "আমরা বিদ্রোহ করলাম" খুব ভাল কথা বিদ্রোহ করলেন, কিন্তু আক্রান্ত বাঙালী সেনাদের রক্ষা করার চেষ্টা না করে তার সঙ্গের সেনাদের নিয়ে চলে গেলেন চট্টগ্রাম থেকে অনেক দূরে। মাঝপথে অবশ্য কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ কারার সুযোগ পেলেন আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার কৃপায়। সেই ঘোষণাপত্র পাঠ করার সৌভাগ্যকে পুঁজি করে বিএনপি নামের দলটি আজও রাজনীতি করছে।


জিয়াউর রহমান চলে গেলেন বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতে এবং তাঁর স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চলে এলেন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এবং স্বেচ্ছায় ধরা দিয়ে অবস্থান করলেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে মেজর জেনারেল জামসেদ খানের তত্ত্বাবধানে।


একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের মাটিতে তখনকার মেজর জিয়ার সঙ্গে আমার অনেকবার দেখা হয়েছে। দেখা হলে তিনি তাঁর শক্ত পাঞ্জার হাতখানা বাড়িয়ে উচ্চকণ্ঠে জয়বাংলা বলে করমর্দন করতেন। সেই তিনিই পঁচাত্তর সালে মতা দখল করার পর জয়বাংলা নিষিদ্ধ করে জিন্দাবাদ ধ্বনির প্রবক্তা হয়ে গেলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের রণহুঙ্কার 'জয়বাংলা' ক্ষমতাসীন থাকার সময় উচ্চারণ করা রাষ্ট্রদ্রোহের সমান অপরাধ বলে গণ্য করা হতো। শুধু জিন্দাবাদ ধ্বনি প্রবর্তনই নয়, সর্বক্ষেত্রে পাকিস্তানকে অনুসরণ করতে শুরু করলেন।


জিয়াউর রহমানের একটা সুনাম ছিল এবং এখনও আছে, তাঁর মধ্যে কোন স্বজনপ্রীতি ছিল না। তাঁর আপন ভ্রাতৃবর্গ বা অন্য আত্মীয়স্বজনের জন্য তার বাসার দরোজা ছিল সব সময়ের জন্য বন্ধ। তিনি তাঁর আত্মীয়স্বজনদের কোথাও কোন অবৈধ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে দেননি। কিন্তু এক্ষেত্রে একটি মাত্র ব্যতিক্রম ছিল। তার এক কাজিন (খালাত বোন) নিয়মিতই তাঁর ক্যান্টনমেন্টের বাসায় যাতায়াত করতেন। ওই খালাত বোন দেখতেও ছিলেন বেশ সুন্দরী। খালাত বোন খালাত ভাইয়ের বাসায় যাওয়া-আসা করবে এটা তো কোন দোষের বিষয় না। এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। নিয়ে কোন আলোচনা-সমালোচনা হওয়া উচিত নয়। কিন্তু কিছুটা হয়েছে, কারণ অন্য কোন কাজিন (অর্থাত তো তো ভাই-বোন) বা আপন ভাইদের পর্যন্ত যখন জিয়াউর রহমানের বাসায় প্রবেশাধিকার ছিল না; তখন একজন খালাত বোন কেন ব্যতিক্রম ছিলেন? এই খালাত বোনের স্বামী ছিলেন বাংলাদেশ বিমানের একজন ক্যাপ্টেন। এরশাদ সাহেব রাষ্ট্রপতি থাকাকালে জিনাত মোশাররফের স্বামী যতোটা দাপট দেখাতেন, জিয়ার আমলে খালাত বোনের স্বামী বিমানের ক্যাপ্টেন সাহেবও ততটাই দাপট দেখিয়েছেন এবং সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর উক্ত খালাত বোন এবং তার স্বামীর জন্য বেগম খালেদা জিয়া তাঁর বাসার দরোজা বরাবরের মতো বন্ধ করে দেন।


জিয়াউর রহমানের চেয়ে এরশাদ সাহেব অবশ্যই অনেক বেশি ধূর্ত। তিনি অতিশয় বিশ্বস্ততার অভিনয় করে জিয়াকে বোকা বানিয়েছিল। ফটোমেট্রিক সানফাসের কাঁচের ভেতর দিয়ে তাকিয়ে তাকিয়েও তিনি সে অভিনয় ধরতে পারেননি। আমাদের দেশের চলচ্চিত্র কেন বলিউডের ফিল্মী জগতেও এরশাদ সাহেবের চেয়ে ভাল কোন অভিনেতা নেই। জিয়ার মৃত্যুর পর এরশাদ সাহেব ফুল তোলা পাঞ্জাবী পরে, শোক জানাতে বেগম জিয়ার বাসায় গিয়েছিলেন। তারপর ছয়মাসের মধ্যেই তিনি বিএনপি সরকারকে হটিয়ে মতা দখল করেন।


খালেদা জিয়ার রূপলাবণ্যের কথা স্বীকার করতে হবে এবং একই সঙ্গে কথাও স্বীকার করতে হবে যে, তিনি যথেষ্ট বুদ্ধিমতীও। '৯১ সালে ক্ষমতারোহনের পর বুঝলেন, এরশাদ সাহেবের মতো বিপজ্জনক লোককে জেলে প্রেরণ করাই হবে সঠিক কাজ। না হলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হয়ত বিএনপি সরকারকে কুপোকাত করে ফেলবেন!


কিছুটা জনশ্রুতি আছে যে এরশাদ সাহেব জিয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিশাল এক জনসভায় বেগম জিয়াই এমন অভিযোগ করেছিলেন। এমনটা করেছিলেন, এরশাদ সাহেবকে হেয় করার জন্য। এরশাদ সাহেব কিন্তু ছয় বছর জেল খাটার দুঃখ কষ্ট এবং অপমানের কথা কখনও ভুলেননি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে এরশাদ সাহেব বেগম জিয়ার সঙ্গে যে ছলচাতুরীর খেলাটা খেললেন সেটা ছিল এক কথায় ক্ল্যাসিক্যাল। ওর কোন তুলনা হয় না। জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করার জন্য ম্যাডামকে তিনি এমন চাতুরীর সঙ্গে প্রলুব্ধ করলেন যে, যার বিরুদ্ধে তিনি স্বামীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছেন, যাকে তিনি ছয়টি বছর জেল খাটিয়েছেন, তারই অনুকম্পা পাওয়ার জন্য নিজের প্রথম পুত্র তারেক রহমান এবং তখনকার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে পাঠালেন। অনুগ্রহ লাভের আশায় নিজের ছেলেকে পাঠিয়ে ম্যাডাম এরশাদ সাহেবকে স্বামী হত্যার অভিযোগ থেকে মুক্ত করলেন। বিনিময়ে এরশাদ সাহেব চৌদ্দদলের জোটকে মহাজোট বানিয়ে নির্বাচনে বিএনপি দলটিকে শুধু লজ্জাজনকভাবে হারিয়ে দিতেই সাহায্য করলেন না, ওই দলটির কোমর ভেঙ্গে দিলেন। ছয় বছর জেল খাটানোর প্রতিশোধ নিলেন। প্রমাণিত হলো ফটোমেট্রিক সানগ্লাস ব্যবহারকারী জেনারেল এবং তাঁর রূপলাবণ্যময়ী স্ত্রী পুতুল বেগমের চেয়ে এরশাদ সাহেব অনেক বেশি ধূর্ত এবং বুদ্ধিমান। জিয়ার মৃত্যুর পর এরশাদ সাহেবই বিএনপি সরকারকে ক্ষমতা থেকে উত্‌খাত করেছিলেন এবং ২০০৮ সালের শেষে চৌদ্দদলের সঙ্গে মিলে বিএনপি দলটির অস্তিত্বই বিপন্ন করে তুলেছেন। আশা করা যায় ম্যাডাম এরশাদ সাহেবের এমন অবদানের কথা ভুলে যাবেন না সহজে।