‘বাংলা ভাইয়ের সহযোগীর মুক্তির ব্যবস্থা করেন তারেক রহমান’
উগ্রপন্থী দল জেএমবি নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের সহযোগী খামারু আটক হওয়ার পর তাঁর মুক্তির ব্যবস্থা করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। তাঁর হস্তক্ষেপে খামারুকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎ ফুজ্জামান বাবর। উইকিলিকসের ফাঁস করা বার্তা অনুযায়ী, ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের তখনকার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জুডিথ চামাসকে একথা জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী।
দূতাবাসের তারবার্তায় বলা হয়, ২০০৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জুডিথ চামাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকীর। পরদিন ১৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে গোপন তারবার্তাটি পাঠান চামাস।
তারবার্তার তথ্য অনুযায়ী, কামাল সিদ্দিকী মার্কিন কূটনীতিককে জানান, জেএমবি নেতা খামারুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তারেক রহমানের হস্তক্ষেপে তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর। ভূমি প্রতিমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর পরামর্শে তারেক রহমান এ কাজ করেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব।
কামাল সিদ্দিকী মার্কিন দূতাবাসকে বলেন, জেএমবির বিষয়ে সরকার ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার জেএমবির সম্ভাব্য হুমকির বিষয়টি অনুধাবন করতে পারছে না। বিএনপির কিছু প্রভাবশালী নেতা জেএমবির বড় বড় সন্ত্রাসীকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন।
কামাল সিদ্দিকী বলেন, জেএমবির পক্ষে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের বেশির ভাগ একসময় জামায়াতে ইসলামীর সদস্য ছিলেন। জামায়াত বিএনপির সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর তাঁরা দল ছেড়ে দেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আরও বলেন, ‘এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে কিছু বিদেশিও জেএমবিকে সহযোগিতা করছে।’
মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কামাল সিদ্দিকীকে বলেন, জেএমবির সঙ্গে ভারত কিংবা আওয়ামী লীগের যোগসাজশের ঢালাও অভিযোগ তোলায় সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ দিয়েই কেবল সরকারের অবস্থান মূল্যায়ন করা হবে। যেমন জেএমবির বড় নেতাদের গ্রেপ্তারে সরকারের সক্ষমতা, ভবিষ্যৎ হামলা প্রতিরোধ এবং জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ইত্যাদি বিবেচনা করা হবে। জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করতে চায় বলে জানান মার্কিন কূটনীতিক। তবে তিনি বলেন, জেএমবির বিষয়টি তদন্তে যুক্তরাষ্ট্র কারিগরি সহযোগিতার যে প্রস্তাব দিয়েছে তা গ্রহণে বাংলাদেশ সরকার অনাগ্রহ দেখিয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তাকে কামাল সিদ্দিকী আরও জানান, জামায়াতের সঙ্গে জোটের কারণে বিএনপির মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। দলের কমপক্ষে ৫০ জন সাংসদ জামায়াতের সঙ্গে জোটে থাকতে চান না। বিষয়টি তিনি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন কামাল সিদ্দিকী।
২১ ডিসেম্বর পাঠানো আরেকটি তারবার্তায় বলা হয়েছে, কামাল সিদ্দিকীর সঙ্গে ওই সাক্ষাতের পাঁচ দিন পর ১৯ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও দূতাবাসের আরেক কর্মকর্তা। এ সময় বাবর দাবি করেন, খামারুর মুক্তির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি তখন সিঙ্গাপুরে ছিলেন। বাবর বলেন, তিনি পরে জানতে পারেন একজন তরুণ কর্মকর্তা জেলার সব থানায় খোঁজ নিয়ে খামারুর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না পেয়ে তাঁকে ছেড়ে দেন।
বাবর বলেন, একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কুয়েতভিত্তিক এনজিও রিভাইভাল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটির বন্ধ করে দেওয়া ব্যাংক হিসাব চালুর অনুমোদন দেওয়ায় তিনি খুব ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। উগ্রপন্থী আহলে হাদিস মসজিদে সহায়তা দেওয়ার কারণে ২০০৪ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল হিসাবটি।
তারবার্তার ভাষ্যমতে, বাবর আরও বলেন জেএমবির সঙ্গে কোনো সরকারি কর্মকর্তা জড়িত থাকলে ছাড় পাবেন না। তবে তিনি স্বীকার করেন, রাজশাহী এলাকায় স্থানীয় সন্ত্রাস দমনে কাজ করার সময় বাংলা ভাইকে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী সহযোগিতা করেছিলেন।
প্রথম আলোর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কামাল সিদ্দিকীর বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি দেশের বাইরে থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
দূতাবাসের তারবার্তায় বলা হয়, ২০০৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জুডিথ চামাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকীর। পরদিন ১৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে গোপন তারবার্তাটি পাঠান চামাস।
তারবার্তার তথ্য অনুযায়ী, কামাল সিদ্দিকী মার্কিন কূটনীতিককে জানান, জেএমবি নেতা খামারুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তারেক রহমানের হস্তক্ষেপে তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর। ভূমি প্রতিমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর পরামর্শে তারেক রহমান এ কাজ করেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব।
কামাল সিদ্দিকী মার্কিন দূতাবাসকে বলেন, জেএমবির বিষয়ে সরকার ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার জেএমবির সম্ভাব্য হুমকির বিষয়টি অনুধাবন করতে পারছে না। বিএনপির কিছু প্রভাবশালী নেতা জেএমবির বড় বড় সন্ত্রাসীকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন।
কামাল সিদ্দিকী বলেন, জেএমবির পক্ষে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের বেশির ভাগ একসময় জামায়াতে ইসলামীর সদস্য ছিলেন। জামায়াত বিএনপির সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর তাঁরা দল ছেড়ে দেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আরও বলেন, ‘এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে কিছু বিদেশিও জেএমবিকে সহযোগিতা করছে।’
মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কামাল সিদ্দিকীকে বলেন, জেএমবির সঙ্গে ভারত কিংবা আওয়ামী লীগের যোগসাজশের ঢালাও অভিযোগ তোলায় সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ দিয়েই কেবল সরকারের অবস্থান মূল্যায়ন করা হবে। যেমন জেএমবির বড় নেতাদের গ্রেপ্তারে সরকারের সক্ষমতা, ভবিষ্যৎ হামলা প্রতিরোধ এবং জেএমবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ইত্যাদি বিবেচনা করা হবে। জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করতে চায় বলে জানান মার্কিন কূটনীতিক। তবে তিনি বলেন, জেএমবির বিষয়টি তদন্তে যুক্তরাষ্ট্র কারিগরি সহযোগিতার যে প্রস্তাব দিয়েছে তা গ্রহণে বাংলাদেশ সরকার অনাগ্রহ দেখিয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তাকে কামাল সিদ্দিকী আরও জানান, জামায়াতের সঙ্গে জোটের কারণে বিএনপির মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। দলের কমপক্ষে ৫০ জন সাংসদ জামায়াতের সঙ্গে জোটে থাকতে চান না। বিষয়টি তিনি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন কামাল সিদ্দিকী।
২১ ডিসেম্বর পাঠানো আরেকটি তারবার্তায় বলা হয়েছে, কামাল সিদ্দিকীর সঙ্গে ওই সাক্ষাতের পাঁচ দিন পর ১৯ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও দূতাবাসের আরেক কর্মকর্তা। এ সময় বাবর দাবি করেন, খামারুর মুক্তির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি তখন সিঙ্গাপুরে ছিলেন। বাবর বলেন, তিনি পরে জানতে পারেন একজন তরুণ কর্মকর্তা জেলার সব থানায় খোঁজ নিয়ে খামারুর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না পেয়ে তাঁকে ছেড়ে দেন।
বাবর বলেন, একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কুয়েতভিত্তিক এনজিও রিভাইভাল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটির বন্ধ করে দেওয়া ব্যাংক হিসাব চালুর অনুমোদন দেওয়ায় তিনি খুব ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। উগ্রপন্থী আহলে হাদিস মসজিদে সহায়তা দেওয়ার কারণে ২০০৪ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল হিসাবটি।
তারবার্তার ভাষ্যমতে, বাবর আরও বলেন জেএমবির সঙ্গে কোনো সরকারি কর্মকর্তা জড়িত থাকলে ছাড় পাবেন না। তবে তিনি স্বীকার করেন, রাজশাহী এলাকায় স্থানীয় সন্ত্রাস দমনে কাজ করার সময় বাংলা ভাইকে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী সহযোগিতা করেছিলেন।
প্রথম আলোর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কামাল সিদ্দিকীর বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি দেশের বাইরে থাকায় তা সম্ভব হয়নি।