Thursday, December 13, 2012

Jamaate Islami Thugs Murdered the Intellectuals in 1971

Prothom Alo


বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে ‘জামায়াতি দুর্বৃত্তরাই’

মিজানুর রহমান খান, ওয়াশিংটন ডিসি থেকে | তারিখ: ১৪-১২-২০১২
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অবমুক্ত করা গোপন দলিলপত্রে একাত্তরের ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যা সম্পর্কে তিনটি নতুন বিষয় উদ্ঘাটিত হয়েছে। প্রথমত, ভারতীয়দের কাছে পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণের শর্ত যাতে ‘ন্যায্য’ হয়, সেটা নিশ্চিত করতে প্রায় ৩০০ বুদ্ধিজীবীকে জিম্মি করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, কিছুসংখ্যক বুদ্ধিজীবীকে বিহারি ক্যাম্পে অন্তরীণ রাখা হয়েছিল এবং তাঁদের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে হত্যা করা হয়। তৃতীয়ত, পাকিস্তানিরা ওয়াশিংটনের কাছে অভিযোগ করেছিল যে, মুক্তিযোদ্ধারাই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে।

এ সব অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ পাওয়ার পর ঢাকার তৎকালীন মার্কিন কনসাল হার্বাট ডি স্পিভাক এক তারবার্তায় নির্দিষ্টভাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে জানান, ‘জামায়াতি দুর্বৃত্তরাই’ বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। এ-সংক্রান্ত বাক্যে স্পিভাক ‘জামায়াত থাগস’ বা জামায়াতি দুর্বৃত্ত শব্দটি ব্যবহার করেন। আর একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বুদ্ধিজীবী হত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে স্পিভাক বলেন, বুদ্ধিজীবীদের গ্রেপ্তার ও হত্যার সময় ঢাকা সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল।

স্পিভাক বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের প্রথম ভারপ্রাপ্ত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স। মুক্তিযুদ্ধের বেশির ভাগ সময় তিনি মার্কিন কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জেনারেল নিয়াজি ও জেনারেল ফরমান আলী স্পিভাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেই প্রথম আত্মসমর্পণের আগ্রহ ব্যক্ত করেছিলেন।

পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে: স্পিভাক মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন যে, ‘নিচের কারণগুলোই বলে দেয় যে, মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর দোষ চাপানোটা সন্দেহজনক। প্রথমত, ১৪-১৫ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা ঘটে। এ সময়টায় পুরো ঢাকা শহরে কারফিউ বলবৎ ছিল এবং শহর ছিল পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। দ্বিতীয়ত, এই সময়ে শহরে যে মুক্তিবাহিনী ছিলেন, তেমন কোনো প্রমাণ নেই। তৃতীয়ত, যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের কয়েকজনের নাম আমরা শনাক্ত করেত পেরেছি। তাঁরা কেউ রাজাকার ছিলেন না। তাঁদের বেশির ভাগই সুপরিচিত বাঙালি জাতীয়তাবাদী। যদিও তাঁরা মুক্তিযুদ্ধকালে শহরে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা তাঁদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ ঘটাননি।’ স্পিভাক এই বার্তায় তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে মুনীর চৌধুরী, ফজলে রাব্বি, শহীদুল্লা কায়সার, সিরাজুদ্দীন হোসেন, এ এস মান্নান (অবজারভার-এর সহসম্পাদক), নিজামুদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক এ খায়ের ও ড. আলীম চৌধুরীর নাম উল্লেখ করেন।

১৯৭২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি স্পিভাক অপর এক বার্তায় লেখেন, ‘গত নয় মাসে বুদ্ধিজীবীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা জানতে ওয়াশিংটন এবং অন্যত্র অব্যাহতভাবে আগ্রহ লক্ষ করার প্রেক্ষাপটে সংবাদপত্রে প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত একটি নিবন্ধের ক্লিপিং পাঠানো হলো।’ এটি ছিল মর্নিং নিউজ পত্রিকায় ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ প্রকাশিত একটি নিবন্ধ। তবে সংশ্লিষ্ট ফাইলে ওই ক্লিপিংটি পাওয়া যায়নি। স্পিভাক লিখেছেন, ‘বিশেষ সংবাদদাতা পরিবেশিত ওই খবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী নিধনের ওপর আলোকপাত করা হয়।’

স্পিভাক ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারির এক তারবার্তায় উল্লেখ করেছিলেন যে, শেখ মুজিব গণপরিষদে দেওয়া বক্তৃতায় আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত নিষ্ঠুরতা বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

নৃশংসতা ও রাজাকার: ১৯৭২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি স্পিভাকের একটি তারবার্তার শিরোনাম ছিল: ‘নৃশংসতা ও রাজাকার’। এটা পাঠানো হয়েছিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে ঢাকায় পৌঁছানো একটি তারবার্তার বরাতে। স্টেট নামের বার্তাটিতে কী আছে, জানা যায়নি। স্পিভাক লিখেছেন, ‘যুদ্ধ শেষ হওয়ার দিকে ২০০ থেকে ৩০০ বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়। অন্যান্য শহর থেকেও এ রকম খবর পাওয়া যাচ্ছে, তবে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। এ তালিকার সবাই বাঙালি। কিন্তু সাধারণভাবে তাঁরা রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তাঁদের মৃত্যুর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানাতে অপরাগ। তবে তাঁদের অধিকাংশকে ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যবর্তী সময়ে তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

কারা গ্রেপ্তার করেছিল, সে সম্পর্কে স্পিভাক ওই তারবার্তায় বলেন, ‘সশস্ত্র ব্যক্তিরা। এদের সঙ্গে উর্দিধারী সশস্ত্র সৈনিকেরা ছিলেন।’ স্পিভাকের বিবরণ অনুযায়ী, সংবাদপত্র, মার্কিন কনসাল জেনারেল অফিসের কর্মী ও মার্কিন সংবাদদাতারা ঢাকায় প্রায় ২০টি মরদেহ দেখেছেন এবং তাঁরা নিশ্চিত করেছেন যে, হত্যা করার আগে তাঁদের প্রতি নির্যাতন চালানো হয়েছিল। 

মার্কিন কনসাল স্পিভাক তাঁর ওই তারবার্তায় উল্লেখ করেন যে, মার্কিন তথ্যকেন্দ্র ইউসিস-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রিপোর্ট করেছেন যে, বেশ কিছু নিখোঁজ বুদ্ধিজীবীকে মোহাম্মদপুর-বিহারিশিবিরে আটকে রাখা হয়েছিল। ২৮ জানুয়ারির (১৯৭২) সাম্প্রতিক সংঘর্ষকালে তাঁদের হত্যা করা হয়।

নৃশংসতা ও রাজাকার শীর্ষক ওই তারবার্তায় স্পিভাক ১৯ শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম দেন। মুনীর চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, আবুল খায়ের, সন্তোষ ভট্টাচার্য, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, রাশিদুল হাসান, সিরাজুল হক খান, মোহাম্মদ মর্তুজা, সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, নিজামুদ্দিন আহমেদ, নাজমুল হক, এ এস মান্নান, গোলাম মোস্তফা, ফজলে রাব্বি, আলীম চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ ও আমিনুদ্দিন।

এই তারবার্তায় স্পিভাক তথ্য দেন যে, ‘আমরা মৌলভি ফরিদ আহমেদ ও অন্যান্য দক্ষিণপন্থী রাজনীতিককে গ্রেপ্তারের খবর পেয়েছি। মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত কনসাল জেনারেলের অফিসের স্থানীয় কর্মীদের দ্বারা এ বিষয়ে নিশ্চিতও হয়েছি। তবে আমরা জানতে পেরেছি যে, রাজাকারির দায়ে ইতিমধ্যেই অনেককে অন্তরীণ করা হয়েছে। তাঁদের শিগগিরই বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’ এই তারবার্তার উপসংহারে স্পিভাক বলেন, ‘ঢাকার প্রেস অব্যাহতভাবে নতুন নৃশংসতার খবর ছাপছে। ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি কুমিল্লা সেনানিবাসে গণকবর পাওয়া গেছে। তবে এটা খুবই বিরক্তিকর যে, কিছু সংবাদপত্র হত্যাকাণ্ডের নায়কদের প্রতি মার্কিন সমর্থনের অভিযোগ করেই চলেছে।’ 

উল্লেখ্য, স্পিভাক এ বিষয়ে ঢাকা ৩২৮ ক্রমিকে একটি তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন। এটিও পাওয়া যায়নি।

জিম্মি: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ব্যাপকভিত্তিক গ্রেপ্তারের সঙ্গে যে আত্মসমর্পণের শর্তসম্পর্কিত দর-কষাকষির যেকোনো সম্পর্ক থাকতে পারে, তা সম্ভবত স্পিভাকের তারবার্তা থেকেই প্রথম জানা যাচ্ছে। জেনারেল নিয়াজি ও জেনারেল ফরমান আলী তাঁদের যৌথ স্বাক্ষরে আত্মসমর্পণের বার্তা স্পিভাকের কাছে প্রথম একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বরেই প্রথম দিয়েছিলেন। 

স্পিভাক ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা ৫৬৯৬ ক্রমিকের অপর এক তারবার্তায় লিখেছেন, আত্মসমর্পণের দুই দিন আগে ঢাকার পশ্চিমে একটি মাঠের মধ্যে ৩০টির মতো গলিত মরদেহ পাওয়া গেছে। সেখানে ইট পোড়ানো হয়। মনে করা হয় যে, এসব মরদেহের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের অনেকে থেকে থাকবেন। আত্মসমর্পণের শর্ত যাতে ন্যায্য হয়, সেটা নিশ্চিত করতে পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর স্থানীয় সমর্থক ও রাজাকাররা প্রায় ৩০০ বুদ্ধিজীবীকে ‘জিম্মি’ করেছিল। আত্মসমর্পণের দুই দিন আগে অনেককে হত্যা করা হয়। স্থানীয় লোকজন বলছেন, ইটখোলা এলাকায় অনেককে ধরে এনে হত্যা করা হয়। কথিতমতে, রাজাকাররা এখনো ইটখোলা দখলে রেখেছেন।

প্রতিশোধ: ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা ৫৬৯৩ তারবার্তায় স্পিভাক লেখেন, ঢাকায় সহিংসতার প্রকোপ কমে এসেছে, কিন্তু “বিহারি” এবং “কোলাবরেটরদের” বিরুদ্ধে কিছু প্রতিশোধপরায়ণতা চলছে। একই সঙ্গে রাজাকারদের বাঙালি হত্যাও অব্যাহত আছে। বেশ কিছুদিনের বিরতিতে আজ ঢাকায় পত্রিকা বেরিয়েছে।

পল্টন ময়দানে কিছুক্ষণ আগে পাঁচ-ছয় হাজার লোকের সমাবেশ শেষ হয়েছে। নুরুল আলম সিদ্দিকীসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা অধিনায়কেরা বক্তব্য দিয়েছেন। বার্তা হলো, মুক্তযোদ্ধা ও রাজাকারেরা অস্ত্র জমা দেবেন। দেশ কে যে চালাচ্ছেন, তা বোঝা যায় না। কোনো জ্যেষ্ঠ নেতাকেই দেখা যায় না।

১৯ ডিসেম্বরে স্পিভাক ‘বাংলাদেশের মুজিবকে প্রয়োজন’ শীর্ষক একটি তারবার্তা (সিক্রেট ঢাকা ৫৭০২) পাঠান। এই বার্তায় স্পিভাক উল্লেখ করেন যে, পরিস্থিতি এখনো বিস্ফোরণোন্মুখ। চরম ডানপন্থী গোষ্ঠীর দ্বারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নতুন এক তিক্ততার স্রোত বয়ে যায়। এ ঘটনা পুনরায় গোষ্ঠীগত গণহত্যার হুমকি বৃদ্ধি করেছে।’

মুজিবই আশা: ১৭ ডিসেম্বর কলকাতার মার্কিন কনসাল গর্ডন লেখেন, ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা কলেরা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ড. জন রোড কলকাতায় মার্কিন-সমর্থিত সাহায্য সংস্থার ভোলাগ প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার প্রধান উপস্থিত ছিলেন। কেয়ার অনুপস্থিত ছিল। এর অংশত কারণ, পূর্ব পাকিস্তানে ধারণা আছে যে, তারা সামরিক সরকারকে সহায়তা দিয়েছিল।

জন রোড বিশ্বাস করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি খুব তিক্ততা থাকলেও এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে এবং তার মূল্যবোধ ও নীতির ওপর একটা মৌলিক বিশ্বাস আছে। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে একটি ভালো কথা বলা বা মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের মতো ঝুঁকি বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ে কেউ নেবেন না। ‘এ অবস্থা থেকে কেবল মুজিবই পরিত্রাণ দিতে পারেন।’ কলহবিবাদ এমন পর্যায়ে আছে যে, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অনেকেই দেশে ফিরে পদত্যাগ করতে চাইছেন।

মি. রোড তখন যুক্তি দেন যে, মুজিবই শুধু স্থিতিশীলতা আনতে পারেন; অন্তত একটি বছরের জন্য হলেও। তাঁকে যদি মুক্তি দিয়ে দেশে ফিরতে দেওয়া হয়, তাহলে উপদলীয় লড়াই অন্তত সাময়িকভাবে হলেও বন্ধ হবে। বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বাংলাদেশ সরকার ‘ভিসা’ দিতে প্রস্তুতি নিয়েছিল। এখন সব ভিসা অবশ্যই দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্বারা ছাড় হওয়া উচিত হবে। তাঁর সন্দেহ, বিদেশি সংবাদদাতাদের বাংলাদেশ সরকার যে দেশে ঢুকতে দিতে অনীহা দেখাচ্ছে, তার মূলে আছে ভীতি। বিহারিবিরোধী তৎপরতার খবর যদি তাঁরা লিখতে শুরু করেন, তাহলে বিশ্বজনমত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলে যাবে। বাংলাদেশের প্রতি গভীর অনুরাগী জন রোড ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করেন, ‘বিহারিরা নিপীড়নের শিকার’। স্পিভাক ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি লেখেন, ‘গেরিলা নেতা আবদুল কাদের সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে। আত্মসমর্পণের পরদিন ঢাকা স্টেডিয়ামে তিনি দুজন কথিত রাজাকারকে হত্যা করেন। ভারতীয় সেনারা তাঁকে দুবার গ্রেপ্তার করে। দুবারই তাজউদ্দীনের হস্তক্ষেপে তিনি ছাড়া পান।’

কলকাতার মার্কিন কনসাল গর্ডন একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর বার্তা পাঠান যে, ‘১২ ডিসেম্বরের স্টেটসম্যান খবর দিয়েছে যে, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম “গণবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক তৎপরতার” দায়ে চারটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এগুলো হলো: পাকিস্তান ডেমোক্র্যাট পার্টি (পিডিপি), মুসলিম লীগ, জামায়াত-ই-ইসলামী ও নিজাম-ই-ইসলাম। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার পর পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচনে এসব দল অংশ নিয়েছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে, বিশেষ করে হিন্দুদের প্রতি রাজাকারি তৎপরতার কারণেই মূলত তাদের নিষিদ্ধ করা হয়। ঢাকার পলিটিক্যাল অফিসারের সঙ্গে কথা বলে এই বার্তা পাঠানো হলো।’ 
      
স্পিভাক একাত্তরের ২৯ ডিসেম্বরের এক বার্তায় (ঢাকা ৫৮৩৭) লিখেছেন, ‘বঙ্গভবনে ঘণ্টাব্যাপী এক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, রাজাকারদের বিচার করা হবে এবং কঠোরভাবে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।’

Source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-14/news/313223

Tuesday, August 7, 2012

Khaleda's Son Koko's Criminal Case on FBI Website


Department of Justice Seeks to Recover Approximately $3 Million in Illegal Proceeds from Foreign Bribe Payments

U.S. Department of Justice
January 09, 2009
Office of Public Affairs
(202) 514-2007/ (202) 514-1888
WASHINGTON—The Department of Justice has filed a forfeiture action against accounts worth nearly $3 million that are alleged to be the proceeds of a wide-ranging conspiracy to bribe public officials in Bangladesh and their family members in connection with various public work projects, Acting Assistant Attorney General Matthew Friedrich of the Criminal Division announced today.
The forfeiture action was filed Jan. 8, 2009 , in U.S. District Court in the District of Columbia against funds located in Singapore held by multiple account holders. The forfeiture complaint relates primarily to alleged bribes paid to Arafat "Koko" Rahman, the son of the former prime minister of Bangladesh, in connection with public works projects awarded by the government of Bangladesh to Siemens AG and China Harbor Engineering Company. According to the forfeiture complaint, the majority of funds in Koko’s account are traceable to bribes allegedly received in connection with the China Harbor project, which was a project to build a new mooring containment terminal at the port in Chittagong , Bangladesh .
"This action shows the lengths to which U.S. law enforcement will go to recover the proceeds of foreign corruption, including acts of bribery and money laundering," said Acting Assistant Attorney General Matthew Friedrich. "Not only will the Department, for example, prosecute companies and executives who violate the Foreign Corrupt Practices Act, we will also use our forfeiture laws to recapture the illicit facilitating payments often used in such schemes."
Siemens Aktiengesellschaft (Siemens AG), a German corporation, and three of its subsidiaries pleaded guilty on Dec. 15, 2008 , to violations of and charges related to the Foreign Corrupt Practices Act (FCPA). Specifically, Siemens Bangladesh admitted that from May 2001 to August 2006, it caused corrupt payments of at least $5,319,839 to be made through purported business consultants to various Bangladeshi officials in exchange for favorable treatment during the bidding process on a mobile telephone project. At least one payment to each of these purported consultants was paid from a U.S. bank account.
According to the forfeiture complaint, the bribe payments from Siemens AG and China Harbor Engineering Company were made in U.S. dollars, and the illicit funds flowed through financial institutions in the United States before they were deposited in accounts in Singapore , thereby subjecting them to U.S. jurisdiction. Money laundering laws in the United States cover financial transactions that flow through the United States involving proceeds of foreign offenses, including foreign bribery and extortion.
In August 2006, the President announced a National Strategy to Internationalize Efforts Against Kleptocracy to fight high-level corruption around the world. This strategy combines the policy and law enforcement tools of several federal agencies, including the Departments of Justice, Treasury, State and Homeland Security.
The case is being prosecuted by Deputy Chief Linda Samuel and Trial Attorney Frederick Reynolds of the Criminal Division’s Asset Forfeiture and Money Laundering Section. Additional assistance was provided by the Criminal Division’s Office of International Affairs. The case was investigated by the FBI’s Washington Field Office in cooperation with Bangladeshi law enforcement.

Wednesday, August 1, 2012

Unprecedented Corruption According to a BNP Minister

Letter to Khaleda Zia - Unprecedented Resignation by BNP Leaders in 2006

Tarek Zia, son of Khaleda Zia laundered money


Thursday, November 17, 2011

Tarique laundered money

FBI tells court; US helped ACC as the case was not politically motivated; defence counsels boycott proceedings


Debra Laprevotte
 
An FBI agent yesterday testified in the Tk-20.41-crore money-laundering case filed against BNP chief Khaleda Zia's son Tarique Rahman and his business partner Giasuddin Al Mamun.

This is for the first time that a US Federal Bureau of Investigation agent has testified before a court in Bangladesh. The testimony is expected to be a turning point in the case since the agent has effectively said Tarique laundered money through using Mamun's account in a Singapore bank.

Debra Laprevotte, a supervisory special agent of the FBI, narrated before a Dhaka court how she had tracked down the money allegedly laundered by BNP Senior Vice-Chairman Tarique Rahman and Mamun to a bank account in Singapore.

She said the documents recovered from the Singapore bank include detailed records of money transfers and payments made from the account. It also had photocopies of Tarique and Mamun's passports, which were submitted when the two applied for credit cards from the bank.

“The first credit card on the account was a Visa credit card in the name of Mr Mamun,” she told the court, adding, “…There is another credit card in the name of Tarique Rahman.”

Giasuddin Al Mamun, 47, stood in the dock at the back of the courtroom throughout the two-hour-long proceedings yesterday. Tarique Rahman remains a fugitive.

After Laprevotte's testimony, the judge of Special Judge's Court-3 asked Mamun whether he would like to cross-examine Laprevotte to which Mamun shook his head to say no. His lawyer had earlier left the court protesting Laprevotte's testimony.

When the proceedings began at 11:20pm, barrister Fakhrul Islam, Mamun's lawyer, opposed Laprevotte's testifying. He submitted a petition seeking adjournment of the hearing on the ground that the witness had not been mentioned in the charge sheet and that additional witnesses could only testify after all witnesses mentioned in the charge sheet had given their depositions.

Opposing the petition, Anti-Corruption Commission chief counsel Anisul Haq said there was no legal barrier to having testimony from any additional witnesses. He argued that Section-540 of the Criminal Procedure Code (CrPC) says that the court may summon any person as a witness or re-examine any person, even if that person was not summoned before, if his or her evidence is essential to the just decision of the case.

The judge then rejected the defence petition and asked Laprevotte to take the dock.

When she stepped up to the dock around noon, there was commotion. Lawyers, including Khandaker Mahbub Hossain and Fakhrul Islam, representing Tarique and Mamun, boycotted the court and left. They brought out a procession on the court premises in protest later on.

Laprevotte, 50, began her testimony at 12:05pm.

“I'm a supervisory special agent for the Federal Bureau of Investigation,” she said, adding, “I've been an FBI agent for 16 years. I have a master's degree in forensic science and advance training in money-laundering techniques.”

“In my country, I'm considered an expert in international money laundering for testimony purposes,” she said.
“In 2008, the then interim government of Bangladesh requested the assistance of the United States pursuant to a mutual legal assistance request,” she said.

Because of the request, the United States government sent representatives of the department of justice to Dhaka to obtain information regarding the asset recovery cases, she said.

“The US reviewed this request to ensure that it was not politically motivated,” she added.

She told the court that she started her investigation with the permission of the US government soon after the representatives of the US department of justice had met the Anti-Corruption Commission (ACC).

“As part of my investigation, I discovered several bank accounts in Singapore. Among these accounts, I discovered a bank account in Citibank of Singapore,” she said.

“The account was in the name of Giasuddin Al Mamun.”

The US department of justice requested documents regarding the account via mutual legal assistance to Singapore.

“I received the documents for the bank accounts 158052-008 and 158052-016 for the years 2004 and 2005,” she said.

She found two credit cards of the account.

“The first credit card on the account was a Visa credit card in the name of Mr Mamun,” she told the court, adding that the number of Mamun's Visa credit card was 4568817000064124.

“There was another credit card in the name of Tarique Rahman,” she said, spelling the letters of Tarique's name out loud from the paper she held. The number of the credit card was 4568817010064122.

Laprevotte then presented a set of documents, comprising 43 pages, before the court as evidence. She later gave the court another set of documents containing 229 pages.

Laprevotte said while the US received the account records from Singapore, the Bangladesh government also made a request to Singapore, via mutual legal assistance, for the bank records of the accounts, including that of Mamun.

“In December 2009, I compared the records received from Singapore to those received by Bangladesh government from Singapore,” she said. “On December 15, 2009, I certified that both copies were identical and signed a letter of certification.”

The US department of justice then sent the documents to the attorney general of Bangladesh via the Bangladeshi embassy in Washington DC, she added.

While reviewing all the bank records, she found a photocopy of Tarique Rahman's passport, which was submitted to Citibank Singapore to obtain the second credit card on Mamun's bank account, she told the court.

The number of Tarique's passport was Y0085483 and Mamun's was Q0998382, she said.

“It lists Tarique's father as late President Ziaur Rahman Bir Uttam. And his mother was listed as Begum Khaleda Zia,” she said, spelling each name out loud before the court.

Laprevotte said bank records between 2002 and 2006 show how Tarique Rahman's credit card was used.

“The charges total $50,613.97, which were used for paying for travel to Athens of Greece, Frankfurt of Germany, Singapore, Bangkok and Dubai, along with shopping and medical expenses,” she said.

The documents from the ACC revealed that a Bangladeshi businesswoman named Khadiza Islam transferred $7,50,000 to Mamun's account in Singapore, she added.

“These funds were transferred on August 18, 2003. This makes up most of the funds in Mr Mamun's account at Citibank Singapore, which was used to make payments from Tarique Rahman's credit card,” she said.

“That is my testimony,” said Debra Laprevotte, as she ended her 75-minute deposition at 1:20pm.

After the testimony, the judge called out to Mamun, who stood on the dock at the back of the courtroom, and asked him whether he could hear the judge's voice.

“Now I can hear you,” Mamun replied with a smile.

It was then the judge asked him whether he would like to cross-examine the witness. Mamun shook his head.
Debra Laprevotte stepped off the dock at 1:25pm and the proceedings ended at 1:35pm.

Attorney General Mahbubey Alam was also present throughout the hearing.

The next session of the case will be on December 8.

Tarique was detained on March 7, 2007, and was allowed to go abroad for treatment in July the following year. He is in London now. Mamun was arrested in March, 2007.

Source:  http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=210437

Tuesday, July 3, 2012

BNP's Ally Jamaate Islami Behind Terrorist Threat to Saudi Diplomat

ফলোআপ : রিমান্ডে রশীদের তথ্য
জামায়াতের ইন্ধনেই কূটনীতিকদের হুমকি
জামায়াতের ইন্ধনেই সৌদি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতসহ তিন কূটনীতিককে হুমকি দিয়েছিলেন আ ন ম আবদুর রশীদ। ওই প্রক্রিয়ায় সরাসরি জড়িত ছিলেন জামায়াতের তিন শীর্ষ নেতা ও রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের জামায়াতপন্থি ৩০ জন শিক্ষক। ছয় দিনের রিমান্ডের তৃতীয় দিন শেষে এমনই তথ্য দিয়েছেন সৌদি দূতাবাসের সাবেক অনুবাদক গ্রেফতার আ ন ম আবদুর রশীদ।

গোয়েন্দাসূত্র জানায়, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সৌদি সরকারের অনুদানের বিষয়টি মনিটরিংয়ের দায়িত্ব ছিল রশীদের ওপর। অনুদান দেওয়ার নাম করে ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একটি মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন রশীদ। গত মে-তে বিভিন্ন অপরাধের কারণে সৌদি দূতাবাস থেকে রশীদ চাকরিচ্যুত হলে তাকে দাবার গুঁটি হিসেবে বেছে নেয় জামায়াত। যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত এবং সৌদি আরবের সঙ্গে বর্তমান সরকারের অবস্থান খারাপ করতে জামায়াতের তৈরি নীলনকশার অংশ ছিল এ হুমকি। এর বাস্তবায়ন ঘটানো হয়েছে রশীদের মাধ্যমে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, 'রশীদের কাছ থেকে ৩০ জন ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। যাদের অনেকেই জামায়াত ঘরানার। এ বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের বিশেষভাবে মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে।'

গ্রেফতার রশীদ সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ বিন মুহাম্মদ সালেম আল আলী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'তিনি জড়িত ছিলেন এখনই তা বলা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে তদন্তের স্বার্থে অনেক তথ্যই প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তার কাছ থেকে পাওয়া কিছু তথ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।'

Source: http://www.bd-pratidin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=04-07-2012&type=single&pub_no=786&cat_id=1&menu_id=1&news_type_id=1&index=13

Sunday, June 24, 2012

$3 Million Money Laundering by BNP Chair Khaleda Zia's Son Koko

কোকোর পাচার করা ৩০ লাখ ডলার ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি
 
কিসমত খোন্দকার
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হয়েছে। সিঙ্গাপুরে রক্ষিত কোকোর পাচার করা ২০ লাখ ডলারের ওপর বাংলাদেশের দাবি সেদেশের হাইকোর্ট চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করেছেন। ওই অর্থ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি এখন আদালতে প্রক্রিয়াধীন। অন্যদিকে কোকোর আরেকটি কোম্পানির ১০ লাখ ডলার ফেরত দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের দাবি সিঙ্গাপুরের হাইকোর্টে বিবেচনাধীন রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় সমন্বয় কমিটির বৈঠকে কোকো, তারেক রহমান ও তারেকের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন মামুনের পাচার করা অর্থ ফেরত আনার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় সমন্বয় কমিটির এক সদস্য সমকালকে জানান, পাচার করা অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতর কাজ করছে। তিনি বলেন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা বা ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে যে দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়েছে এবং যে দেশে পাচার হয়েছে এই দু'দেশের মধ্যে তা করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সিঙ্গাপুর আদালত পুরো অর্থই বাংলাদেশে ফেরত দেওয়ার কথা বলেছেন। তবে এ অর্থ দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত কাজে ব্যবহারের শর্ত থাকবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, তারেক ও মামুনের সিঙ্গাপুরে পাচার করা ২১ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থের বিষয়টি বাংলাদেশের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সাক্ষ্য শেষ হলে অর্থ পাচার আইনে তাদের সাজা ও অর্থ বাজেয়াপ্ত হতে পারে। এ ছাড়া গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের যুক্তরাজ্যে পাচার করা ৬ কোটি টাকার বিষয়েও একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

Monday, June 4, 2012

Another Islamist Leader Aligned with BNP Indicted for War Crimes

সাজা দেখতে চায় শহীদ পরিবার




শেরপুর, জুন ০৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মানবতাবিরোধী অপরাধে মো. কামারুজ্জামানের বিচার শুরুতে সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি শেরপুরের শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, এখন এই জামায়াতে ইসলামীর নেতার সাজা দেখতে চান তারা।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার সাতটি ঘটনায় হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, দেশত্যাগে বাধ্য করাসহ সাত ধরনের ঘটনায় কামারুজ্জামানকে অভিযুক্ত করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে।

জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগের অন্যতম হল, ১৯৭১ সালের ২৩ অগাস্ট তার নির্দেশে শেরপুর সদরের গোলাম মোস্তফা তালুকদারকে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালিয়ে হত্যা করে।

গোলাম মোস্তফার ছোট ভাই মোশাররফ হোসেন তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কামারুজ্জামানের নির্দেশে আমার ভাইকে ধরে নিয়ে যায় আল বদর বাহিনী। টর্চার ক্যাম্পে নির্যাতনের পর শেরী ব্রিজে নিয়ে গুলি করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয় তারা।”

“আজ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হওয়ায় আমরা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছি। এখন সাজার রায় দেখে যেতে চাই,” বলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি কামরুজ্জামানের নেতৃতত্বে ওই এলাকায় আল বদর বাহিনী হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

একাত্তরের ২৫ জুলাই ভোরে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে গণহত্যা চালানো হয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১২০ জন পুরুষকে ধরে এনে হত্যা করা এবং গ্রামের নারীদের ধর্ষণ ওই জেলার বাসিন্দা কামারুজ্জামানের পরিকল্পনায় ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এক সঙ্গে অনেক নারী স্বামী হারানোয় সোহাগপুরে বিধবাপল্লী হিসেবে পরিচিত পাওয়া এলাকার শহীদ আফিল উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন বলেন, “তার (কামারুজ্জামান) বিচার হবে। আমি এ সংবাদে খুব খুশি।”

সুর্য্যদী গণহত্যার শিকার শহীদ আইজ উদ্দিনের ছেলে প্রজন্ম ‘৭১ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ বলেন, “একাত্তরে কামারুজ্জামানের নির্দেশে ও নেতৃত্বে শেরপুরের সুর্য্যদী, সোহাগপুর ও জগৎপুরে গণহত্যাসহ শেরপুরে নারকীয় তাণ্ডব চালানো হয়।

“বাবাকে আর ফিরে পাবো না, কিন্তু তার ফাঁসি হলে বুকের জ্বালা কিছুটা হলেও জুড়াবে।”

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা শাখার সভাপতি, প্রবীণ রাজনীতিবীদ আব্দুর রশীদ বলেন, বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে তার ফাঁসি দিতে হবে।


Source: http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=195791&cid=2

Unprecedented Corruption by BNP According to BNP Ministers and MPs


BNP Corruption According to BNP Minister

Shocking Horror by BNP's Ally Jamaate Islami's Butcher Kader Molla

‘জবাইয়ের পর ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখা হয় মাথা’
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=192861

ঢাকা, মে ০২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মিরপুরের ‘কসাই’ নামে কেন আব্দুল কাদের মোল্লাকে ডাকা হত, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের একটি ঘটনার বর্ণনাতেই তা উঠে এসেছে।

এই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠনের শুনানিতে বুধবার প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী মুক্তিযুদ্ধকালে মিরপুরে কবি মেহেরুন্নেসা এবং তার পরিবারের হত্যার বর্ণনা তুলে ধরেন।

একাত্তর সালের ২৭ মার্চ হত্যা করা হয়েছিল মেহেরুন্নেসা, তার দুই ভাই রফিকুল হক বাবলু, শরিফুল হক টুকু ও তাদের মাকে।

“সকাল ১১টা। আলবদর বাহিনীর নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার নেতৃত্বে কিছু অবাঙালি এবং অন্য সহযোগীরা কবি মেহেরুন্নেসার মিরপুরের বাসায় উপস্থিত হয়।

এরপর কাদের মোল্লার নির্দেশে মেহেরুন্নেসাকে জবাই করে তারা। শরীর থেকে মাথা কেটে রশি দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর একে একে জবাই করা হয় বাবলু, টুকু ও তাদের মাকে,” বর্ণনা দেন প্রসিকিউটর।

এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের সাতটি ঘটনা উপস্থাপন করেন মোহাম্মদ আলী। তবে এর মধ্যে ৩ ও ৪ নম্বর ঘটনার সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় ঘটনা দুটিকে বিচারিক দৃষ্টিতে দেখার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানান মোহাম্মদ আলী।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের ‘যুদ্ধাপরাধের’ আরেকটি ঘটনা তুলে ধরেন প্রসিকিউটর, যাতে স্থান পেয়েছে মিরপুরের কালাপানিতে হযরত আলী হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা।

“একাত্তরের ২৬ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টার মধ্যের ঘটনা। স্থান মিরপুরের কালাপানির ৫ লাইনের ২১ নম্বর বাড়ি। হঠাৎ করে হাঁপাতে হাঁপাতে নিজের বাড়িতে উপস্থিত হয় হযরত আলী। ন্ত্রী দরজা খুলে দিলে ঘরে ঢুকে তিনি বলেন, ‘কাদের মোল্লা আর আখতার গুণ্ডা পাকিস্তানি আর্মি নিয়ে আমাকে ধাওয়া করেছে’। বড় মেয়ে মোমেনা ও মেজ মেয়ে আমেনাকে নিয়ে চৌকির নিচে ট্রাঙ্কের পেছনে পালায় তারা।”

“কিছুক্ষণ পর সেখানে কাদের মোল্লাসহ অন্যরা উপস্থিত হয়। হযরত আলীকে বাইরে আসতে বলে তারা। কথা না শোনায় দরজায় বোমা মারে আখতার গুণ্ডা। এরপর একটি দা হাতে হযরত আলী দরজা খুলে বেরিয়ে এলে তাকে কাদের মোল্লার নির্দেশে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে জবাই করা হয়। ২ বছরের শিশুকে মারা হয় আছাড় দিয়ে,” বলেন প্রসিকিউটর।

তিনি বলেন, “ওই ঘটনা দেখে ১১ বছর বয়সি আমেনা চিৎকার দিলে তাকে ঘরের মেঝেতে ফেলে ১২ জন পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করে। মোমেনা জ্ঞান হারিয়ে ঘরেই ছিল। পরে জ্ঞান ফিরলে সে ওই স্থান থেকে পালিয়ে যায়।”

মোমেনা এই ঘটনার এক জন সাক্ষী বলে ট্রাইব্যুনালকে জানান মোহাম্মদ আলী।

সকাল সাড়ে ১০টায় দিকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর ও দুই সদস্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও মো. শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুাল-২ এর কার্যক্রম শুরু হয়।

সঠিকভারে আবেদন ও অভিযোগ সম্পর্কিত বিষয়গুলো তুলে না ধরতে পারায় মোহাম্মদ আলীকে কয়েকবার ট্রাইব্যুনালের কড়া কথা শুনতে হয়।

প্রসিকিউশন কাদের মোল্লার ছাত্রজীবন, রাজেন্দ্র কলেজে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হওয়া, ছাত্র ইউনিয়ন ছেড়ে ইসলামী ছাত্র সংঘে যোগদান, আল বদর বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক, একাত্তরের তার ভূমিকা, জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

এরপর পল্লবীর আলোকদিয়া গ্রামে ৩৪৪ জনকে হত্যা, খন্দকার আবু তালেবকে হত্যা, বাংলা কলেজের ছাত্র পল্লবসহ সাত জনকে হত্যা, কেরানীগঞ্জের শহীদনগর গ্রামের ভাওয়াল খান বাড়ি ও খাটারচরসহ পাশের আরো দুটি গ্রামের অসংখ্য লোককে হত্যার ঘটনাগুলো তুলে ধরে প্রসিকিউশন, যাতে কাদের মোল্লার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এসব ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে মৌখিক সাক্ষের পাশাপাশি বিভিন্ন লিখিত ডকুমেন্ট উপস্থাপন করে প্রসিকিউশন।

মুক্তিযুদ্ধকালে মোস্তফা নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর কাদের মোল্লাসহ কয়েকজন জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। এছাড়া ২০০৮ সালে পল্লবী থানায় আরো একটি মামলা হয় কাদেরের বিরুদ্ধে। এই মামলাতেই ২০১০ সালের ১৩ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে গত বছরের ১ নভেম্বর জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনাল ২৮ ডিসেম্বর অভিযোগ আমলে নেয়।

Bangladesh Caucus Chairman Crowley does not hope Tarek Zia's coming back in Politics

তারেক রাজনীতিতে ফিরবেন আশা করি না
 নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান জোসেফ ক্রাউলি বলেছেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসবেন এটা আমরা আশা করি না। খবর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডট কম। গত ৭ মে দুপুরে জোসেফ ক্রাউলির সঙ্গে তার নিউইয়র্ক অফিসে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমানসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে গেলে কংগ্রেসম্যান ক্রাউলি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুত্র ও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে এ অভিমত ব্যক্ত করেন। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন_ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি আকতার হোসেন ও সদস্য শাহানারা রহমান। আওয়ামী লীগের এই প্রতিনিধিদল জানায়, এক প্রশ্নের জবাবে ক্রাউলি তাদের বলেছেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসবেন, এটা আমরা আশা করি না। তাকে আরও প্রশ্ন করা হয়েছিল, তারেক রহমান কি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসার নৈতিক অধিকার রাখেন? উত্তরে ক্রাউলি বলেন, আই হোপ নট - আমি আশা করি না।


প্রতিনিধিদল কংগ্রেসম্যান ক্রাউলির সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সমপ্রতি সেক্রেটারি অফ স্টেট হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফর, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্তর্জাতিকমান, তারেক জিয়ার বিচার ও ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার নৈতিক অধিকার এবং সামপ্রতিককালে জামায়াত-বিএনপির অহেতুক হরতাল, মানুষ পুড়িয়ে মারা, জ্বালাও-পোড়াওসহ রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আক্রমণসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ড. সিদ্দিকুর রহমান আলোচনার সূত্রপাত করে সামগ্রিক অবস্থার বিবরণ তুলে ধরেন। এ সময় কংগ্রেসম্যান জোসেফ ক্রাউলিকে বিএনপি-জামায়াতের কিছু ধ্বংসাত্মক কার্যকালাপের সচিত্র প্রতিবেদনও হস্তান্তর করেন তারা।


পরে নিজাম চৌধুরী জানান, ড. সিদ্দিকুর রহমান ড. ইউনূস প্রসঙ্গে ক্রাউলির করা এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ড. ইউনূসের প্রতি সরকারের কোন বিরূপ নীতি থাকলে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট করার প্রস্তাব দিতেন না। ক্রাউলিও মনে করেন ড. ইউনূসের ব্যাপারটি এখন সুরাহা হয়ে গেছে।

প্রতিনিধিদল ক্রাউলিকে স্মরণ করিয়ে দেয়, বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে গত সোয়া তিন বছরে বাংলাদেশে কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংঘটিত হয়নি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তারা জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান পৃথিবীর কোন দেশে নেই। আমাদের সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।

BNP's ally Jamaate Islami's leading British Muslim leader faces war crimes charges

Leading British Muslim leader faces war crimes charges in Bangladesh

One of Britain's most important Muslim leaders is to be charged with war crimes, investigators and officials have told The Sunday Telegraph

8:00AM BST 15 Apr 2012
Chowdhury Mueen-Uddin, left, with the Prince of Wales at the Markfield Islamic Foundation


Chowdhury Mueen-Uddin, director of Muslim spiritual care provision in the NHS, a trustee of the major British charity Muslim Aid and a central figure in setting up the Muslim Council of Britain, fiercely denies any involvement in a number of abductions and "disappearances" during Bangladesh's independence struggle in the 1970s.

He says the claims are "politically-motivated" and false.

However, Mohammad Abdul Hannan Khan, the chief investigator for the country's International Crimes Tribunal, said: "There is prima facie evidence of Chowdhury Mueen-Uddin being involved in a series of killings of intellectuals.

"We have made substantial progress in the case against him. There is no chance that he will not be indicted and prosecuted. We expect charges in June."

Mr Mueen-Uddin could face the death penalty if convicted.

Bangladesh's Law and Justice Minister, Shafique Ahmed, said: "He was an instrument of killing intellectuals. He will be charged, for sure."

For 25 years after independence from Britain, the country now known as Bangladesh was part of Pakistan, even though the two halves were a thousand miles apart with India between them. In 1971, Bangla resentment at the "colonial" nature of Pakistani rule broke out into a full-scale revolt.

Hundreds of thousands of civilians were massacred by Pakistani troops.

Mr Mueen-Uddin, then a journalist on the Purbodesh newspaper in Dhaka, was a member of a fundamentalist party, Jamaat-e-Islami, which supported Pakistan in the war. In the closing days, as it became clear that Pakistan had lost, he is accused of being part of a collaborationist Bangla militia, the Al-Badr Brigade, which rounded up, tortured and killed prominent citizens to deprive the new state of its intellectual and cultural elite.

The sister-in-law of one such victim, Dolly Chaudhury, claims to have identified Mr Mueen-Uddin as one of three men who abducted her husband, Mufazzal Haider Chaudhury, a prominent scholar of Bengali literature, on the night of 14 December 1971.

"I was able to identify one [of the abductors], Mueen-Uddin," she said in video testimony, seen by The Sunday Telegraph, which will form part of the prosecution case.

"He was wearing a scarf but my husband pulled it down as he was taken away. When he was a student, he often used to go to my brother in law's house. My husband, my sister-in-law, my brother-in-law, we all recognised that man."

Professor Chaudhury was never seen again.

Also among the as yet untested testimony is the widow of another victim, who claims that Mr Mueen-Uddin was in the group that abducted her husband, Sirajuddin Hussain, another journalist, from their home on the night of 10 December 1971.

"There was no doubt that he was the person involved in my husband's abduction and killing," said Noorjahan Seraji. One of the other members of the group, who was caught soon afterwards, allegedly gave Mr Mueen-Uddin's name in his confession.

Another reporter on Purbodesh, Ghulam Mostafa, also disappeared.

The vanished journalist's brother, Dulu, said he appealed to Mr Mueen-Uddin for help and was taken around the main Pakistani Army detention and torture centres by Mr Mueen-Uddin. Dulu Mostafa said that Mr Mueen-Uddin appeared to be well known at the detention centres, gained easy admission to the premises and was saluted by the Pakistani guards as he entered. Ghulam was never found.

Mr Mueen-Uddin's then editor at the paper, Atiqur Rahman, said that Mr Mueen-Uddin had been the first journalist in the country to reveal the existence of the Al-Badr Brigade and had demonstrated intimate knowledge of its activities.

After his colleagues disappeared, he said, Mr Mueen-Uddin had asked for his home address. Fearing that he too would be abducted, the editor gave a fake address. Mr Rahman's name, complete with the fake address, appeared on a Al-Badr death list found just after the end of the war.

"I gave that address only to Chowdhury Mueen-Uddin, and when that list appeared it was obvious that he had given that address to Al Badr," Mr Rahman said in statements given to the investigators.

"I'm sure I gave the address to no-one else."

Mr Rahman then published a front-page story and picture about Mr Mueen-Uddin, who had by that stage left the city, naming him as involved in "disappearances."

This brought forward two further witnesses, Mushtaqur and Mahmudur Rahman, who claim they recognised the picture as somebody who had been part of an armed group looking for the BBC correspondent in Dhaka during the abductions. The group was unsuccessful because the BBC man had gone into hiding.

Toby Cadman, Mr Mueen-Uddin's lawyer, said on Saturday: "No formal allegations have been put to Mr Mueen-Uddin and therefore it is not appropriate to issue any formal response. Any and all allegations that Mr Mueen-Uddin committed or participated in any criminal conduct during the Liberation War of 1971 that have been put in the past will continue to be strongly denied in their entirety.

"For the Chief Investigator to be making such public comment raises serious questions as to the integrity of the investigation. The Chief Investigator will be aware that the decision as to the bringing of charges is made by the Prosecutor and not an investigator.

"Therefore, the comments by the Chief Investigator are highly improper and serves as a further basis for raising the question as to whether a fair trial may be guaranteed before the International Crimes Tribunal in Bangladesh.

"The statement by the Bangladesh Minister for Law, Justice and Parliamentary Affairs is a clear declaration of guilt and in breach of the presumption of innocence."

Since moving to the UK in the early 1970s, Mr Mueen-Uddin has taken British citizenship and built a successful career as a community activist and Muslim leader.

In 1989 he was a key leader of protests against the Salman Rushdie book, The Satanic Verses.

Around the same time he helped to found the extremist Islamic Forum of Europe, Jamaat-e-Islami's European wing, which believes in creating a sharia state in Europe and in 2010 was accused by a Labour minister, Jim Fitzpatrick, of infiltrating the Labour Party.

Tower Hamlets' directly-elected mayor, Lutfur Rahman, was expelled from Labour for his close links with the IFE.

Until 2010 Mr Mueen-Uddin was vice-chairman of the controversial East London Mosque, controlled by the IFE, in which capacity he greeted Prince Charles when the heir to the throne opened an extension to the mosque. He was also closely involved with the Muslim Council of Britain, which has been dominated by the IFE.

He was chairman and remains a trustee of the IFE-linked charity, Muslim Aid, which has a budget of £20 million. He has also been closely involved in the Markfield Institute, the key institution of Islamist higher education in the UK.

The International Crimes Tribunal, a new body set up to try alleged "war criminals" from the 1971 war, has already begun trying some Bangladesh-based leaders of Jamaat-e-Islami.
Trials were originally supposed to start soon after the war but were cancelled by the military after a coup.

The new tribunal was welcomed by most Bangladeshis and international human rights groups as finally bringing justice and closure for the massive abuses suffered by civilians in 1971.

However, it is now subject to growing international criticism. Human Rights Watch said that the ICT's proceedings "fall short of international standards" with a "failure to ensure due process" and "serious concerns about the impartiality of the bench."

"The chairman of the tribunal was formerly one of the investigators," said Abdur Razzaq, lead counsel for the defence.

"As chairman, he will be pronouncing on an investigation report he himself produced."

The law minister, Mr Ahmed, denied this. Mr Razzaq described the tribunal as "vendetta politics" by Bangladesh's ruling Awami League against its political opponents.

Any trial of Mr Mueen-Uddin would also be fraught with practical difficulties. There is no extradition treaty between Britain and Bangladesh and the UK does not extradite in death penalty cases. Many of the witnesses are elderly and some have died.

However, Mr Hannan Khan said that Mr Mueen-Uddin was likely to be tried in absentia if he did not return.

"We have a duty to bring alleged perpetrators to justice," he said.

"They must know the fear, however long ago it was. What happened here forty years ago is on the conscience of the world."

"I have waited 40 years to see the trial of the war criminals," said the widow, Noorjahan Seraji. "I have not spent a single night without suffering and I want justice."

Source: http://www.telegraph.co.uk/news/worldnews/asia/bangladesh/9204831/Leading-British-Muslim-leader-faces-war-crimes-charges-in-Bangladesh.html

Tuesday, April 10, 2012

Khaleda Zia, Terrorist Hizbut Tahrir, Daily Amar Desh and Coup Planned by Fanatic Army Officers

সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা ও সরকার উতখাতের চেষ্টা ব্যর্থ

সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু সদস্য দেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে উতখাত এবং সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল বলে তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। সেনা সদর দপ্তরের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সেনা সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর পরিচালক (পিএস পরিদপ্তর) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক এই তথ্য জানান।

লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক জানান, সম্প্রতি কিছু প্রবাসী বাংলাদেশির ইন্ধনে সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু কর্মকর্তা সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা সফল হতে দেয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর একজন সাবেক কর্মকর্তা গত ১৩ ডিসেম্বর মেজর পদমর্যাদার আরেক কর্মকর্তাকে তাঁর সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য প্ররোচনা দেন। তবে ওই মেজর বিষয়টি তাঁর চেইন অব কমান্ডকে জানালে অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া এই ঘৃণ্য পরিকল্পনার আরেক অংশীদার মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক গত ২২ ডিসেম্বর কর্মরত অন্য এক সেনা কর্মকর্তাকে একই ধরনের কার্যক্রম চালানোর প্ররোচনা দেন। ওই কর্মকর্তা বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানালে মেজর জিয়াউলের ছুটি ও বদলি আদেশ বাতিল করা হয়। তাঁকে ঢাকার লগ এরিয়া সদর দপ্তরে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৩ ডিসেম্বর ছুটিতে থাকার সময় মেজর জিয়াউল পালিয়ে গিয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নাশকতামূলক (সাবভারসিভ) কার্যক্রম চালানোর পাঁয়তারা করেন এবং তিনি এখনো তা করে চলেছেন।

এ ছাড়া, সুনিশ্চিত তথ্যের ভিত্তিতে দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তাকে সরকারের আনুগত্য থেকে বিরত থাকার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মেজর পদবির এক কর্মকর্তাকে গত ৩১ ডিসেম্বর সেনা আইনের ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়।

মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক আরও জানান, সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কিছু তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়া এবং কয়েকজন গ্রেপ্তার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ডিসেম্বর মেজর জিয়াউল তথাকথিত গ্রেপ্তার ও নির্যাতন-সংক্রান্ত অবিশ্বাস্য গল্প বর্ণনা করে একটি উসকানিমূলক ই-মেইল তাঁর পরিচিতদের পাঠান। পরে তা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকে সোলজারস ফোরাম নামের একটি পেইজে আবু সাঈদ নামক এক ব্যক্তি আপলোড করে দেন। পরে ওই কর্মকর্তা ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মধ্যম সারির কর্মকর্তারা অচিরেই বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন’ শিরোনামে দুটি ই-মেইল ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন। চলছে।  ৩ জানুয়ারি মেজর জিয়াউলের ইন্টারনেট বার্তাটি ‘আমার দেশ’ পত্রিকা প্রকাশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ জানুয়ারি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীর মেজর জিয়াউলের ইন্টারনেটে পাঠানো ওই বার্তাটিকে ভিত্তি করে দেশব্যাপী উসকানিমূলক প্রচারপত্র ছড়ায়। ৯ জানুয়ারি এর ওপর ভিত্তি করে একটি রাজনৈতিক দল সেনাবাহিনীতে গুমের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করে, যা সেনাবাহিনীসহ সচেতন নাগরিকদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত উসকানিমূলক বিতর্কের সৃষ্টি করে।


সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ মাসুদ রাজ্জাক আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক দুজন কর্মকর্তা ও চাকরিরত কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর ঘাড়ে ভর করে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থাকে উত্খাতের ঘৃণ্য চক্রান্তের সঙ্গে সেনাবাহিনীতে চাকরিরত কিছু কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। এ-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনের জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়, যার কার্যক্রম এখনো চলছে।

(Source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-01-19/news/217827)

“মেজর জিয়া ২৬ ডিসেম্বর তাকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন সংক্রান্ত কল্পনাপ্রসূত ও অবিশ্বাস্য গল্প বর্ণনা করে উস্কানিমূলক একটি ইমেইল তার পরিচিতদের কাছে পাঠান, যা সোলজারস ফোরাম নামে একটি ব্লগসাইটেও আপলোড হয়,” বলেন ব্রিগেডিয়ার রাজ্জাক।

এরই ধারাবাহিকতায় ৩ জানুয়ারি আমার দেশ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন বিভ্রান্তি তৈরি করেছে বলে সেনাবাহিনী জানায়। এদিকে আমার দেশ সেনা সদরে পাঠানো এক প্রতিবাদপত্রে জানিয়েছে, তারা কোনো কল্পকাহিনী প্রকাশ করেনি, তারা মেজর জিয়ার ইমেইল ও ফেইসবুকে প্রকাশিত বক্তব্য ধরেই ওই প্রতিবেদন ছাপিয়েছেন।

সেনাবাহিনী জানায়, আমার দেশর প্রতিবেদনের পর ৮ জানুয়ারি হিযবুত তাহরীরের একটি লিফলেটও প্রচার হয়।

তারপর ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের সমাবেশে সেনাসদস্যও গুম হচ্ছে বলে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রসঙ্গ ধরে ব্রিগেডিয়ার রাজ্জাক বলেন, “একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলও মনগড়া, বিভ্রান্তিকর ও প্রচারমূলক সংবাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিযোগ করে, যা সেনাবাহিনী তথা সচেতন নাগরিকদের মধ্যে অনাকাক্সিক্ষত উস্কানিমূলক বিতর্কের সৃষ্টি করে।”


(Source: http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=183384&hb=1)

Army foils coup plot against Hasina

The spokesman said conspirator Maj Zia was an organiser of Hizb ut-Tahrir – an outfit banned here two and a half years ago on charges of running militancy.

"On Dec 22 last year, Maj Zia met a senior officer and tried to provoke that senior officer into using the army against the state and democracy," the spokesman said.

"The senior officer immediately informed the appropriate authorities and his (Maj Zia's) leave and transfer order was cancelled."

"But he did not return to work and has still kept himself engaged in trying to organise subversive activities against the army."

"Maj Zia on Dec 26 sent a provocative email to people known to him describing imaginary and unbelievable story of his arrest and torture. The story was uploaded in a blog site named Soldiers' Forum, too."

"Daily Amar Desh ran a report on Jan 3 on the blog post, creating confusion."


"Hizb ut-Tahrir distributed a leaflet on this on Jan 8."
Apparently referring to BNP chairperson Khaleda Zia's remarks at a Chittagong rally on Jan 9 that 'even army personnel are being abducted', Brig Razzaq said, "Even a large political party sang along imaginary, misleading and propagandist news to bring allegations, which created unexpected and provocative debate among the army and conscious citizens."

(Source: http://www.bdnews24.com/details.php?cid=2&id=216375&hb=1)

Monday, April 9, 2012

Khaleda Zia Took Money From ISI - Dateline Islamabad Pakistan News

Unfolding mysteries













Afzal khan

This fortnight has been a moment of truth for Benazir Bhutto. Last week, Rehman Malik attempted to unmask the mystery of her assassination without clearly naming the murderer but pointed to machinations of General Musharraf to lay down a perfect alibi for her actual assassins to perpetrate the heinous crime. We were told that they were only the pawns in the hands of the mastermind behind the larger conspiracy, whose identity we may never know.
As such Malik’s briefing was regarded as a political ploy to generate another climate of Bhutto sympathy ahead of the general elections.

On Feb 29, the Supreme Court will take up the long dormant petition filed by Asghar Khan to unveil the ISI conspiracy to thwart possible election victory of Ms Bhutto’s PPP in the 1990 elections conceived by Ghulam Ishaq Khan-Baig duo, after dismissing her government within less than two years. Having successfully manipulated the 1988 polls to deny her majority, Ishaq and Baig now conspired to ensure her defeat in 1990.

The IJI of rightist elements had earlier been created in 1988 and its mastermind General Hameed Gul as ISI chief boasted of ensuring that a fragmented house emerged after the elections with PPP leading an unstable coalition, which could be dismantled at an appropriate time. The plan achieved partial success which emboldened the conspirators to design a total rout of the PPP.

In 1988, Ishaq Khan had retained Nawaz Sharif as interim chief minister Punjab and allowed him to use state machinery and resources for manipulating the elections. In 1990, his crony Haider Wyne was chosen for the same objective.

The Mehran Bank chief was compelled to “donate” millions of rupees for distribution against IJI leaders, including Nawaz Sharif, Mustafa Jatoi, Jamaat-e-Islami and others.

General Baig assigned the task to General Asad Durrani to deliver the largesse, which he acknowledged in his affidavit in the Supreme Court. All the Generals testifying in the court had no compunction in admitting their share in the criminal act.

Baig and others claimed they were obeying the illegal order of a legal chief executive, meaning Ishaq Khan. Baig even hinted that a major chunk of the amount was delivered to Khalida Zia to influence Bangladesh elections against the perceived enemy of Pakistan — Hasina Wajid. With impunity General Baig walked out of the apex court daring Chief Justice Zullah to do whatever he likes against him.

In a gathering at Washington’s Kabab Masala Restaurant, General Hameed Gul boasted that he had fathered the IJI to contain Ms Bhutto in the elections. ”Had I not done that, the PPP would have swept the polls” Gul had shameless asserted. The conspiracy to deny any party a stable and comfortable majority was hatched to create political instability and uncertainty in the country and to discredit and give a bad name to politicians for being too incompetent and corrupt to rule the country.

In 1988, Punjab had a split result with PPP winning 104 and PML 109 seats, while 44 independent were returned who could tilt the balance in any one’s favour. It so happened that with 92 seats in the National Assembly against 54 of the IJI, PPP needed only 9 more to form the government.

Ishaq Khan had no option but to name Ms Bhutto as premier, but knew that if he did name BB as premier without first ensuring Nawaz Sharif’s nomination as chief minister Punjab, the independents would immediately switch loyalty to the PPP. To thwart that, he created the farce of consultation with politicians to ascertain who should be named.

Prime Minister Nawabzada Nasrullah told him to call a kid to find out whether 92 is larger than 54. But Farooq Laghari, who had earlier bungled polls in Punjab along with Naheed Khan and Badar, in the distribution of tickets, prevailed upon Ms Bhutto to name him as a candidate for the chief minister slot.

Once she did, he waited at his palatial residence in Lahore for the independents to kowtow him. Nawaz Sharif went to their homes instead, and finally won their support. Laghari did not waste a minute after the vote and returned to Islamabad and took oath as federal minister.

Punjab was then lost to PPP, perhaps forever.

The 1990 polls were stolen by Ishaq and company through a cell he created in the Presidency under General Rafaqat and Benazir was restricted only to Sindh. Dejected and completely disillusioned, she came to Islamabad and invited H K Burki, Ziauddin, Nisar Usmani and myself to lunch for advice. In desperation she declared her intention to leave the country. “They, the opponents, unite when they see me but will disintegrate when I am out of sight.”

I said, BB, there is no long or short leave in politics. Out of sight you make people forget you and let others fill the vacuum (Sharif and Imran have yet to learn that lesson). Like in 1970, 1988 you have again won 38 per cent votes, but in the plurality of equation, have been cheated out of seats you deserved. At the moment, your voters feel disheartened by the fraud. You should go around the country, hold district and divisional conferences to regroup them as your father used to do.”

Ms Bhutto was not impressed. “There is no use of such conferences”, she responded. The rest is history.

Source: http://www.dateline.com.pk/?p=4807

Saturday, April 7, 2012

Tarique Zia Symbol of Violent Politics



Friday, September 9, 2011

Wikileaks

Tarique symbol of violent politics

Leaked cable discloses US envoy portrayed him as image of 'kleptocratic govt', saw him as serious threat to US interests in Bangladesh


 
Portraying Tarique Rahman as a symbol of “kleptocratic government and violent politics” in Bangladesh, the US embassy in Dhaka even recommended blocking his entry into the United States.
The embassy believed Tarique was “guilty of egregious political corruption that has had a serious adverse effect on US national interests”, namely the stability of democratic institutions and US foreign assistance goals, a leaked US embassy cable says.
James F Moriarty, the then US ambassador, sent the confidential cable on November 3, 2008 to Washington and WikiLeaks published it on August 30 this year.
He cited several examples of Tarique's major corruption as he described his worries in the cable about the possible impact of giving him access into the US.
The decision in this regard, however, could not be known. Tarique has been staying in London since September 2008.
About six months after Moriarty's recommendation, Geeta Pasi, chargé d' affaires of US embassy in Dhaka, sent another cable to Washington on Tarique. It said the State Department was considering a determination for visa revocation for him under the Presidential Proclamation.
Tarique's corrupt practices have had deleterious effects on the US interests, Moriarty wrote, adding “His antics have weakened public confidence in government and eroded the stability of democratic institutions.”
“Tarique's well-established reputation for flouting the rule of law directly threatens US financial assistance goals directed toward reforming legal codes, strengthening good governance and halting judicial abuses.”
The bribery, embezzlement, and culture of corruption that the BNP Chairperson Khaleda Zia's elder son has helped create and maintain in Bangladesh has directly and irreparably undermined US businesses, resulting in many lost opportunities, Moriarty wrote.
“His theft of millions of dollars in public money has undermined political stability in this moderate, Muslim-majority nation and subverted US attempts to foster a stable democratic government, a key objective in this strategically important region,” reads the cable.
Tarique's flagrant corruption has also seriously threatened specific US Mission goals, it said.
The US embassy in Dhaka has three key priorities for Bangladesh: democratisation, development, and denial of space to terrorists. “Tarique's audaciously corrupt activities jeopardize all three.”
“His history of embezzlement, extortion, and interference in the judicial process undermines the rule of law and threatens to upend the US goal of a stable, democratic Bangladesh. The climate of corrupt business practices and bribe solicitation that Tarique fostered derailed US efforts to promote economic development by discouraging much needed foreign investment and complicating the international operations of US companies.”
Tarique's “flagrant disregard” for the rule of law had provided potent ground for terrorists to gain a foothold in Bangladesh while also exacerbating poverty and weakening democratic institutions, the cable said.
“In short, much of what is wrong in Bangladesh can be blamed on Tarique and his cronies,” Moriarty wrote.
The US ambassador recommended that Tarique could be subject to Presidential Proclamation 7750 that can block one's entry into the US for the aforementioned reasons.
The cable, however, said the embassy was not seeking to apply the proclamation for Tarique's wife Zubaida Rahman, their daughter Zaima Rahman or his mother Khaleda Zia.
The elder son of Khaleda Zia, who led the government in 1991-1996 and later 2001-2006, became an all influential party leader during BNP's second term in office.
During the period, he established an alternative centre of power at Hawa Bhaban, the then political office of the chairperson. It was open secret that Tarique and his cronies used to interfere in the government activities and control all major business deals.
He, however, became powerless after his arrest during the tenure of immediate past army-backed caretaker government.
Terming him “the notorious and widely feared” son of former premier Khaleda Zia, the US ambassador mentioned that Tarique, arrested in an anti-corruption crackdown in March 2007, was released on bail on September 3 the next year. He flew to the UK on September 11 for medical treatment.
As a condition for his release, Tarique had to quit the post of BNP's senior joint secretary general, after enjoying the position for about five years.
But still abroad, he was made all-powerful senior vice chairman in December 2009 with a clear mandate to lead BNP in absence of his mother.
The cable termed Tarique “notorious for flagrantly and frequently demanding bribes in connection with government procurement actions and appointments to political office”.
Saying that Tarique's release occurred despite multiple pending cases against him on charges of corruption, extortion, bribery, embezzlement and tax evasion, Moriarty wrote: “With deep political ties that reach the highest court in the land, Tarique managed to manipulate the judicial process and overcome a concerted effort by the Caretaker Government to block his bail.”
“We believe Tarique has several passports, including a new one in which the UK issued him a visa in September. Another passport contains a five year multiple-entry B1/B2 visa (issued May 11, 2005). We suspect that passport is being held by the government.”
Bangladesh's Anti-Corruption Commission (ACC) levelled serious charges against Tarique, the cable said, adding he reportedly had accumulated hundreds of millions of dollars in illicit wealth. There are multiple extortion cases pending against him, founded on the testimony of numerous prominent business owners who he victimised and exploited, the cable said.
“In one case, Tarique allegedly threatened Al Amin Construction owner Amin Ahmed with closure of the company unless he received a payment of 150,000 USD. Other local business leaders, including Mohammad Aftab Uddin Khan of Reza Construction Ltd, Mir Zahir Hossian of Mir Akhter Hossain Ltd, and Harun Ferdousi have each filed accusations detailing a systematic pattern of extortion on a multi-million dollar scale.”
The ACC had also filed charges of concealing ill-gotten wealth, and the National Board of Revenue had brought tax evasion charges against Tarique, it added.
Tarique's corrupt activities were not limited to extortion of local companies, Moriarty wrote.
Saying that the ACC had also uncovered evidence in several bribery cases involving both foreign and local firms and individuals, he listed the following examples:
SIEMENS
According to a witness who funnelled bribes from Siemens to Tarique and his brother Koko, Tarique received a bribe of approximately two percent on all Siemens deals in Bangladesh (paid in US dollars). This case is currently being pursued by Department of Justice Asset Forfeiture and the FBI.
HARBIN COMPANY
ACC sources report that the Harbin Company, a Chinese construction company, paid $750,000 to Tarique to open a plant. According to the ACC, one of Tarique's cronies received the bribe and transported it to Singapore for deposit with Citibank.
MONEM CONSTRUCTION
An ACC investigator advised Embassy officials that Monem Construction paid a bribe worth $450,000 to Tarique to secure contracts.
KABIR MURDER CASE
The ACC has evidence that Tarique accepted a $3.1 million bribe to thwart the prosecution of a murder case against Sanvir Sobhan, the son of Bashundhara Group chairman. Sanvir was accused in the killing of Humayun Kabir, a director of the business conglomerate. An investigation by the ACC confirmed Tarique had solicited the payment, promising to clear Sanvir of all charges.
Moriarty also wrote that beyond bribery and extortion, the ACC reported Tarique had also become involved in an elaborate and lucrative embezzlement scheme. With the help of several accomplices, he succeeded in looting $3 lakh from the Zia Orphanage Trust fund.
He quoted an ACC source saying Tarique, who is a co-signatory to the trust fund account, used funds from the trust for a land purchase in his hometown. He also provided signed checks drawn from the orphanage fund accounts to BNP party members for their 2006 election campaigns.

© thedailystar.net, 1991-2008. All Rights Reserved

Source: http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=201716

Sunday, April 1, 2012

Khaleda Zia's Son Koko in Singapore's Newspaper

Source: http://www.asiaone.com/News/The%2BNew%2BPaper/Story/A1Story20110104-256366.html

He was 'excited' to have VIP's son as client
Man held former Bangladesh PM's son's illegal funds in his bank account. -TNP
Thu, Jan 06, 2011
The New Paper
By Amanda Yong and Chong Shin Yen

THE man was an important person, the son of a foreign government leader.

Lim Siew Cheng, 63, the managing director of a corporate secretarial services company, was enamoured of Mr Arafat Rahman, the youngest son of then Bangladesh prime minister Khaleda Zia.

So when the latter asked him to transfer about $3.17 million to two bank accounts here, he agreed.
But the money was tainted.

Lim ended up being dragged into a multi-national corruption probe and was even quizzed by investigators from the US Department of Justice and the Federal Bureau of Investigation (FBI).

Yesterday, Lim pleaded guilty in a court here to two counts of failing to inform the authorities that the money Mr Arafat asked him to transfer and hold in his own name in another bank account were the proceeds of criminal conduct.

He was fined $12,000.

Lim's offence falls under the Corruption, Drug Trafficking and Other Serious Crimes (Confiscation of Benefits) Act, which was expanded to include non-drug related offences in 1999.

Changes to the Act made it mandatory for all persons - including non-financial institutions and persons - to report any suspicious transactions to the authorities.

Lim is only the second person prosecuted for such an offence so far.

The court heard that in April 2004, Lim was introduced to Mr Arafat by one of his Bangladeshi clients, a Captain Sohail of QC Shipping, which is based here.

Mr Arafat told him that he wanted to set up a company here to invest in properties and in the shipping business.

The court heard that for his secretarial services, including acting as a nominee director and shareholder for the company, known as Zasz Trading and Consulting, Lim received $100 every month.

Lim and Mr Arafat also opened a United Overseas Bank (UOB) account under Zasz with both of them as the authorised signatories.

Second company

In November 2005, Lim incorporated another company, Fairhill Consulting, for Mr Arafat. This time, Lim was the sole signatory of the UOB account.

Several transactions took place in both accounts over the next few years, but these were all done by Mr Arafat and he told Lim about the nature of the transactions only from time to time after the event, said Lim's lawyer, Mr Nakoorsha Kadir.

Then, suddenly on Feb 16, 2007, Mr Arafat called him and gave instructions to close both companies immediately due to political problems in Bangladesh.

He told Lim to transfer the remaining funds in the bank accounts to an account under Lim's name for the time being.

Less than a week later, Lim moved US$900,677.34 (S$1.16 million) from the Fairhill account and $2.013 million from the Zasz account to a bank account under his own name.

Four months later, Lim read in newspaper reports that Mr Arafat had been arrested in Bangladesh.
Lim got a call from a Mr Ferdous Khan, a chartered accountant, in November 2007.

He claimed he was conducting an investigation for the interim military government in Bangladesh and that he had traced a payment of US$180,000 to the Zasz bank account.

Lim also got a phone call from someone claiming to be a Bangladeshi embassy official, and a fax from a Bangladeshi government agency about the matter.

It was only then that he started to feel troubled about the situation. But he still thought that Mr Khan might be a fraud and that opportunists or political rivals of Mr Arafat's family could be trying to trick him into releasing the money.

On the advice of his lawyers, he went to the Commercial Affairs Department on Nov 7, 2007.

About eight months later, the Corrupt Practices Investigation Bureau (CPIB) seized the relevant documents and files and interviewed Lim and his secretary.

In September 2008, through CPIB, Lim provided a confidential statement to the Bangladeshi authorities for their investigations.

When Mr Arafat finally called Lim once in December 2008 and again in January 2009, Lim said he was still awaiting his written instructions and that he had told the authorities about the funds.

On Jan 14, 2009, he agreed to speak to officers from the US Department of Justice and the FBI at the CPIB office.

He said he was still unclear about what exactly was going on, even at that stage.

The court was told that the money in Lim's bank account, which he later transferred to UOB accounts opened under the respective companies' names, was seized by the police.

In Lim's mitigation, Mr Nakoorsha said his client had been "naturally quite excited to have a VIP such as the son of a Prime Minister as a client".

Ms Zia was premier from 1991 to 1996 and from 2001 to 2006.

According to previous news reports, a Dhaka court ruled in 2009 that she and her elder son, Mr Tareq Rahman, should go on trial after they were charged with embezzling more than US$300,000 meant for an orphanage.

They denied any wrongdoing and said the charges were politically motivated.

Mr Arafat also faces corruption charges and is accused of laundering more than US$2.7 million through bank accounts in Singapore.

For failing to disclose the suspicious transactions, Lim could have been fined $10,000 on each charge.