কোকোর পাচার করা ৩০ লাখ ডলার ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি
কিসমত খোন্দকার
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হয়েছে। সিঙ্গাপুরে রক্ষিত কোকোর পাচার করা ২০ লাখ ডলারের ওপর বাংলাদেশের দাবি সেদেশের হাইকোর্ট চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করেছেন। ওই অর্থ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি এখন আদালতে প্রক্রিয়াধীন। অন্যদিকে কোকোর আরেকটি কোম্পানির ১০ লাখ ডলার ফেরত দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের দাবি সিঙ্গাপুরের হাইকোর্টে বিবেচনাধীন রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হয়েছে। সিঙ্গাপুরে রক্ষিত কোকোর পাচার করা ২০ লাখ ডলারের ওপর বাংলাদেশের দাবি সেদেশের হাইকোর্ট চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করেছেন। ওই অর্থ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি এখন আদালতে প্রক্রিয়াধীন। অন্যদিকে কোকোর আরেকটি কোম্পানির ১০ লাখ ডলার ফেরত দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের দাবি সিঙ্গাপুরের হাইকোর্টে বিবেচনাধীন রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় সমন্বয় কমিটির বৈঠকে কোকো, তারেক রহমান ও তারেকের বন্ধু গিয়াসউদ্দিন মামুনের পাচার করা অর্থ ফেরত আনার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় সমন্বয় কমিটির এক সদস্য সমকালকে জানান, পাচার করা অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতর কাজ করছে। তিনি বলেন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা বা ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে যে দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়েছে এবং যে দেশে পাচার হয়েছে এই দু'দেশের মধ্যে তা করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সিঙ্গাপুর আদালত পুরো অর্থই বাংলাদেশে ফেরত দেওয়ার কথা বলেছেন। তবে এ অর্থ দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত কাজে ব্যবহারের শর্ত থাকবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, তারেক ও মামুনের সিঙ্গাপুরে পাচার করা ২১ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থের বিষয়টি বাংলাদেশের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সাক্ষ্য শেষ হলে অর্থ পাচার আইনে তাদের সাজা ও অর্থ বাজেয়াপ্ত হতে পারে। এ ছাড়া গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের যুক্তরাজ্যে পাচার করা ৬ কোটি টাকার বিষয়েও একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।