ফলোআপ : রিমান্ডে রশীদের তথ্য
জামায়াতের ইন্ধনেই কূটনীতিকদের হুমকি
গোয়েন্দাসূত্র জানায়, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সৌদি সরকারের অনুদানের বিষয়টি মনিটরিংয়ের দায়িত্ব ছিল রশীদের ওপর। অনুদান দেওয়ার নাম করে ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একটি মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন রশীদ। গত মে-তে বিভিন্ন অপরাধের কারণে সৌদি দূতাবাস থেকে রশীদ চাকরিচ্যুত হলে তাকে দাবার গুঁটি হিসেবে বেছে নেয় জামায়াত। যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত এবং সৌদি আরবের সঙ্গে বর্তমান সরকারের অবস্থান খারাপ করতে জামায়াতের তৈরি নীলনকশার অংশ ছিল এ হুমকি। এর বাস্তবায়ন ঘটানো হয়েছে রশীদের মাধ্যমে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, 'রশীদের কাছ থেকে ৩০ জন ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। যাদের অনেকেই জামায়াত ঘরানার। এ বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের বিশেষভাবে মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে।'
গ্রেফতার রশীদ সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ বিন মুহাম্মদ সালেম আল আলী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'তিনি জড়িত ছিলেন এখনই তা বলা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে তদন্তের স্বার্থে অনেক তথ্যই প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তার কাছ থেকে পাওয়া কিছু তথ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।'
Source: http://www.bd-pratidin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=04-07-2012&type=single&pub_no=786&cat_id=1&menu_id=1&news_type_id=1&index=13