Monday, June 4, 2012

Bangladesh Caucus Chairman Crowley does not hope Tarek Zia's coming back in Politics

তারেক রাজনীতিতে ফিরবেন আশা করি না
 নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান জোসেফ ক্রাউলি বলেছেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসবেন এটা আমরা আশা করি না। খবর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডট কম। গত ৭ মে দুপুরে জোসেফ ক্রাউলির সঙ্গে তার নিউইয়র্ক অফিসে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমানসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে গেলে কংগ্রেসম্যান ক্রাউলি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুত্র ও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে এ অভিমত ব্যক্ত করেন। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন_ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি আকতার হোসেন ও সদস্য শাহানারা রহমান। আওয়ামী লীগের এই প্রতিনিধিদল জানায়, এক প্রশ্নের জবাবে ক্রাউলি তাদের বলেছেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসবেন, এটা আমরা আশা করি না। তাকে আরও প্রশ্ন করা হয়েছিল, তারেক রহমান কি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসার নৈতিক অধিকার রাখেন? উত্তরে ক্রাউলি বলেন, আই হোপ নট - আমি আশা করি না।


প্রতিনিধিদল কংগ্রেসম্যান ক্রাউলির সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সমপ্রতি সেক্রেটারি অফ স্টেট হিলারি ক্লিনটনের বাংলাদেশ সফর, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্তর্জাতিকমান, তারেক জিয়ার বিচার ও ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার নৈতিক অধিকার এবং সামপ্রতিককালে জামায়াত-বিএনপির অহেতুক হরতাল, মানুষ পুড়িয়ে মারা, জ্বালাও-পোড়াওসহ রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আক্রমণসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ড. সিদ্দিকুর রহমান আলোচনার সূত্রপাত করে সামগ্রিক অবস্থার বিবরণ তুলে ধরেন। এ সময় কংগ্রেসম্যান জোসেফ ক্রাউলিকে বিএনপি-জামায়াতের কিছু ধ্বংসাত্মক কার্যকালাপের সচিত্র প্রতিবেদনও হস্তান্তর করেন তারা।


পরে নিজাম চৌধুরী জানান, ড. সিদ্দিকুর রহমান ড. ইউনূস প্রসঙ্গে ক্রাউলির করা এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ড. ইউনূসের প্রতি সরকারের কোন বিরূপ নীতি থাকলে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট করার প্রস্তাব দিতেন না। ক্রাউলিও মনে করেন ড. ইউনূসের ব্যাপারটি এখন সুরাহা হয়ে গেছে।

প্রতিনিধিদল ক্রাউলিকে স্মরণ করিয়ে দেয়, বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে গত সোয়া তিন বছরে বাংলাদেশে কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংঘটিত হয়নি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তারা জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান পৃথিবীর কোন দেশে নেই। আমাদের সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।