Wednesday, October 2, 2013

Daily Amar Desh is Dishonest and Liar




ফেইসবুকে বিতর্ক, দুই দৈনিকের খবর প্রত্যাহার

By সুলায়মান নিলয়, নিজস্ব প্রতিবেদক
গত ৬ ডিসেম্বর দৈনিক আমার দেশের ৭ম পাতায় প্রকাশিত ওই সংবাদের শিরোনাম ছিল- ‘আলেমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কাবার ইমামদের মানববন্ধন’। পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণেও দেখা যায় সংবাদটি।

এছাড়া জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার অনলাইনেও একই সংবাদ ছাপা হয়।
          
খবরটি মিথ্যা দাবি করে নাসিম রুপক নামে একজন ব্লগার ব্লগ ও ফেইসবুকে প্রতিবাদ জানান। ফেইসবুকে নোট আকারে তার লেখার শিরোনাম ছিল ‘যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে দৈনিক আমার দেশ ও সংগ্রাম পত্রিকার নির্লজ্জ মিথ্যাচার’। ব্লগেও নিজস্ব আইডি থেকে একই লেখা পোস্ট করেন তিনি।

কিছুক্ষণের মধ্যেই রুপকের ওই নোট ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নোটটি শেয়ার হয়েছে ৫৮৯ বার। ব্লগে আসে প্রায় দু’শ মন্তব্য।

এই পরিস্থিতিতে দৈনিক সংগ্রাম তাদের সংবাদটি প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করে। তবে আমার দেশ অনলাইন সংস্করণ থেকে সংবাদটি সরিয়ে নিলেও দুঃখ প্রকাশ করেনি।

এ বিষয়ে নাসিম রুপক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার দেশ অনলাইন থেকে সংবাদটি সরিয়ে ফেললেও কোন দুঃখ প্রকাশ করেনি। প্রিন্ট ভার্সনের প্রকাশিত সংবাদের জন্যও কোন সংশোধনী দেয়নি।”

আমার দেশের ওই প্রতিবেদনের বলা হয়, ‘বিশ্বজুড়ে বিতর্কিত ট্রাইব্যুনালের নামে বাংলাদেশের আলেমদের ওপর যে নির্যাতন চলছে তার প্রতিবাদে গতকাল বাদ জুমা কাবার খতিব বিখ্যাত ক্বারী শাইখ আবদুর রহমান আল সুদাইসির নেতৃত্বে মানববন্ধন করেছে ইমাম পরিষদ।’

এই সংবাদের সঙ্গে আরবি ব্যানার হাতে একটি ছবিও ছাপা হয়।

এর প্রতিবাদ জানিয়ে নাসিম রুপক ফেইসবুকে লিখেন, ‘এই সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গুগলের সাহায্য নিলাম। গুগলে সার্চ দিয়ে ওই নিউজের ছবি সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো সংবাদ পেলাম। সবগুলোই আরবি সাইট। আরবি বোঝার জন্য গুগল অনুবাদের সাহায্য নিলাম। কিন্তু অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম একটা সাইটের নিউজের সাথেও আমারদেশ পত্রিকার সংবাদের কোন মিল নেই। বিশ্বাস না হলে আপনারাই ঘুরে আসুন ওয়েবসাইট গুলোতে।’

যে ছবিটি দেয়া হয়েছে সেটিও যে গত বছরের ১৮ অক্টোবর আপলোড করা হয়েছে তারও প্রমাণ দেন এই ব্লগার। প্রমাণ দিয়ে তিনি দেখিয়ে দেন, ছবিটি কাবার গিলাফ পরানোর সময় তোলা হয়েছিল।

সংগ্রামের দুঃখ প্রকাশ
এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে দৈনিক সংগ্রাম দুঃখ প্রকাশ করে বলে, ‘বাংলাদেশে আলেমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কাবার ইমামদের মানববন্ধন’ শীর্ষক সংবাদটি আমাদের প্রিন্ট এডিশনের কোথাও ছাপা হয়নি। কিন্তু অসাবধানতাবশত অনলাইন সংস্কারে প্রকাশিত হয়। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং একই সাথে সংবাদটি প্রত্যাহার করে নেয়া হলো। -বার্তা সম্পাদক’।

Source: http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article575527.bdnews

Amar Desh, Sangram retract Ka’aba news

Suliman Niloy, Staff Correspondent bdnews24.com

Storms of protests on Facebook and in blogs have forced two Bangladeshi dailies to remove reports claiming that Imams at the Ka’aba in Saudi Arabia staged a human-chain demonstration against the war crimes trial.
        
Pro-BNP Daily Amar Desh published the news on the seventh page of its Sunday edition under the caption, ‘Imams form human chain against oppression of Alems’. The report was also put on the daily’s online version.

Dainik Sangram, the mouthpiece of Jamaat-e-Islami, also ran the news.

The newspapers withdrew the report after a blogger, Nasim Rupok, protested it in his blog and Facebook page claiming the news was false. His status on Facebook read: ‘Shameless falsehood of Dainik Amar Desh and Sangram for saving the war criminals’. He posted the same piece in his blog.

The status spread quickly on Facebook and until Tuesday noon it was shared by 589 people. Nearly 200 comments were posted in his blog.

Amid the protests, Dainik Sangram posted an apology and removed its report. Amar Desh’s online version also removed the news, but offered no apology.

Rupok told bdnews24.com: “Amar Desh removed the news from its website but did not post an apology. It published no ‘correction’ over the news in the print version.”

The Amar Desh news said: “The council of Imams headed by renowned Qari Sheikh Abdur Rahman of the Ka’aba formed a human chain after the Friday prayers protesting the oppression of Alems in Bangladesh in the name of an internationally controversial tribunal.”

A photo of the so-called human chain with a banner in Arabic was also published with the report.

Rupok wrote on Facebook: “I took the help of Google to verify the news. After a search I found several news items with that photograph. All of them were on Arabic sites. I used Google to translate the Arabic writing. I was astonished to find that none of the news reports had any relation to what Amar Desh had published. If you don’t believe this, please go to the websites to find it for yourself.”

The blogger provided evidence that the photograph was uploaded on Oct 18 last year.

Sangram’s apology
Facing protests, Dainik Sangram wrote an apology. It said: “The news titled ‘Imams form human chain against oppression on Alems’ was not published in our printed version, but was posted in our online version due to negligence. We are withdrawing the news and apologise for the unintended error.”

Source:  http://bdnews24.com/bangladesh/2013/01/08/amar-desh-sangram-retract-kaaba-news

Monday, June 24, 2013

Top US and British Jamaate Islam Leaders are Indicted for 1971 War Crimes

Chowdhury Mueen-Uddin is the director of Muslim spiritual care provision in the NHS, a trustee of the major British charity Muslim Aid and a central figure in setting up the Muslim Council of Britain.



বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ঠিক আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় জন শিক্ষক, ছয় জন সাংবাদিক ও তিনজন চিকিৎসকসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণ ও হত্যার ১১ অভিযোগে একাত্তরের আলবদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মাঈনুদ্দীনের বিচার শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

http://www.thedailystar.net/beta2/news/mueen-ashraf-indicted/

WAR CRIMES TRIAL

Mueen, Ashraf indicted

Star Online Report



A Dhaka tribunal on Monday framed 11 charges against “Al-Badr leaders” Chowdhury Mueen-Uddin and Ashrafuzzaman Khan in absentia for their alleged involvement in crimes against humanity committed during the country’s Liberation War in 1971.

The charges include abduction and murder of intellectuals of the country at the fag end of the Liberation War.

The International Crimes Tribunal-2 also set July 15 for opening statement in the case and examination of prosecution witnessess.

The three-member tribunal led by Justice Obaidul Hassan asked the state appointed defence counsels to submit a list of defence witness and other documents if they have any by the date.

Sunday, June 2, 2013

11 of Top 15 Jamaate Islami Leaders were War Criminals

Daily Prothom Alo
December 2007


Pakistani Documents Shows Jamaate Islami was Involved in War Crimes

পাকিস্তানের দলিলেও জামায়াত দায়ী

রাজীব আহাম্মদ
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে জামায়াতে ইসলামী। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি শাসকদের তৈরি দলিলেও রয়েছে জামায়াত নেতাদের ভূমিকার কথা। একাত্তরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে প্রতি মাসে দু'বার ইয়াহিয়া খানের কাছে গোপনীয় প্রতিবেদন পাঠাত পূর্ব পাকিস্তান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 'ফোর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তান' নামের সেই প্রতিবেদনে জামায়াত নেতাদের পাকিস্তানের পক্ষের শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ফোর্টনাইট প্রতিবেদনে পূর্ব পাকিস্তানের পত্রিকায় প্রকাশিত কিছু রিপোর্টের তথ্যও উপস্থাপন করা হয়।

ফোর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তান দলিলে জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে আলবদর বাহিনীর উদ্যোক্তা হিসেবে বলা হয়। জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফকে উল্লেখ করা হয় রাজাকার বাহিনীর উদ্যোক্তা হিসেবে।

১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় ভাগে পাঠানো ফোর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তান দলিলে নিজামীর বিভিন্ন বক্তৃতা ও বিবৃতির কথা উল্লেখ করা হয়। নিজামী ১৯৭১ সালের ১৪ নভেম্বর দৈনিক সংগ্রামে 'বদর দিবস, পাকিস্তান ও আলবদর' শিরোনামে একটি উপসম্পাদকীয়তে লেখেন, '...দুর্ভাগ্যবশত পাকিস্তানের কিছু মুনাফিক (মুক্তিযোদ্ধা) তাদের (ভারতের) পক্ষ অবলম্বন করে ভেতর থেকে আমাদের দুর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের মোকাবিলা করে তাদের সকল ষড়যন্ত্র বানচাল করেই পাকিস্তানের আদর্শ ও অস্তিত্ব রক্ষা করতে হবে; শুধু পাকিস্তান রক্ষার আত্মরক্ষামূলক প্রচেষ্টা চালিয়েই এ পাকিস্তানকে রক্ষা করা যাবে না।' তিনি এ লেখার মাধ্যমে বদর বাহিনীকে আক্রমণাত্মক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন।

গণহত্যায় জড়িত থাকা ও গণহত্যায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করলেও ফোর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তানে অক্টোবরের প্রথমভাগের প্রতিবেদনে নিজামীর একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়। বক্তব্যে নিজামী বলেন, 'আমাদের পরম সৌভাগ্যই বলতে হবে। পাকসেনার সহযোগিতায় এ দেশের ইসলামপ্রিয় তরুণ সমাজ বদর যুদ্ধের স্মৃতিকে সামনে রেখে আলবদর বাহিনী গঠন করেছে।' তিনি তার লেখায় মুক্তিযোদ্ধাদের মুনাফিক হিসেবে আখ্যা দিয়ে পাকিস্তান রক্ষার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন। ওই সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের 'দেশদ্রোহী' 'ভারতের দালাল' আখ্যা দিয়ে খতমের আহ্বান জানান।

'ফোর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তান'-এর অক্টোবরের দ্বিতীয় ভাগের প্রতিবেদনে (১৩ নভেম্বর ১৯৭১ স্বরাষ্ট্র সচিব স্বাক্ষরিত) নাম রয়েছে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, তিন নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ, মকবুল আহমাদ, মাওলানা আবদুস সুবহান, তিন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা ও এটিএম আজহারুল ইসলামের। নাম রয়েছে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের দুই সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের ও মীর কাসেম আলীর। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ব্যক্তিরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেন। ঘাতক রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী গঠনে সহায়তা করার পাশাপাশি এসব বাহিনীর নেতৃত্বও দেন তারা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, একাত্তরের ১৪ জুন জামালপুর ইসলামী ছাত্রসংঘের এক সভায় নিজামী বলেছিলেন, ইসলাম রক্ষায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে। এ জন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন। জামায়াতের দলীয় মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামের ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সংখ্যায় নিজামীকে বদরবাহিনীর প্রধান হিসেবে উল্লেখ করা হয় (মুক্তিযুদ্ধে দৈনিক সংগ্রামের ভূমিকা)।

পাকিস্তান দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নিজামী বলেছিলেন, ' ... ইসলামী ছাত্রসংঘের কর্মীরা দেশের প্রতি ইঞ্চি ভূমি রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ' (দৈনিক সংগ্রাম, ৮ সেপ্টেম্বর)।

মুজাহিদ ছিলেন আলবদর বাহিনীর অন্যতম সংগঠক। ১২ আগস্ট ১৯৭১ দৈনিক সংগ্রাম-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এর উল্লেখ রয়েছে। ফোর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তান প্রতিবেদন অনুযায়ী, '৭১ সালের ১৭ অক্টোবর রংপুরে পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের এক সভায় মুজাহিদ আলবদর বাহিনী গড়ে তুলতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। ২৫ অক্টোবর ইসলামী ছাত্রসংঘের এক সম্মেলনে মুজাহিদ পাকিস্তানের ছাত্র-জনতাকে দুষ্কৃতকারী (মুক্তিযোদ্ধা) 'খতম' করার দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

১৯৭১ সালের বদর দিবস উপলক্ষে ৭ নভেম্বর বায়তুল মোকররম মসজিদ চত্বরে ঢাকা শহর ছাত্রসংঘ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মুজাহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছিলেন, 'বিভিন্ন পর্যায়ে কিছু কিছু লোক এখনও পাকিস্তানের আদর্শবিরোধী কাজ করছে। জনগণ তাদের সম্পর্কে সচেতন।' তিনি এদের খতমের আহ্বান জানান (৮ নভেম্বর ১৯৭১, দৈনিক আজাদ)।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সমর্থনে গঠিত পূর্ব পাকিস্তান শান্তিবাহিনীর প্রধান সমন্বয়ক ও জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে অভিযোগ। মকবুল আহমাদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় শান্তি কমিটির প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন (মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান, পৃ-৪৩০)।

মকবুল আহমাদ '৭১ সালের ১০ আগস্ট রেডিও পাকিস্তান চট্টগ্রামের ডিউটি অফিসার (ইনচার্জ) ফজলুল হককে লেখা এক চিঠিতে ফেনীর তাকিয়াবাড়ীর মাওলানা সৈয়দ ওয়ায়েজউদ্দিনকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন। এ জন্য তিনি ফেনী শহর রাজাকার কমান্ডার হানিফ ও উপদেষ্টা মাওলানা মোস্তফাকে চট্টগ্রামে পাঠান। পরে ১৭ আগস্ট চট্টগ্রামের রিয়াজুদ্দিন বাজার থেকে ওয়ায়েজউদ্দিনকে একটি জিপে তুলে করে নিয়ে যায় রাজাকাররা। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্বাধীনতার পর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মকবুল আহমাদের হাতে লেখা সে চিঠিটি বাংলায় অনুবাদ করে বিলি করে। তবে এ প্রসঙ্গটি প্রতিবেদনে পাওয়া যায়নি। (তথ্য সূত্র : ফেনী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত সংবাদ)।

ফোর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তান প্রতিবেদন অনুযায়ী, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান ও তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রসংঘের সভাপতি আশরাফ আলীর তত্ত্বাবধানে মুক্তিযুদ্ধের সময় বৃহত্তর ময়মনসিংহে আলবদর বাহিনী গঠিত হয়। ময়মনসিংহ জেলা শান্তি কিমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিনকে সহায়তা করেন তারা।

Source: http://www.samakal.com.bd/details.php?news=14&action=main&view=archiev&y=2012&m=12&d=16&option=single&news_id=313981&pub_no=1258

Monday, May 20, 2013

BNP Founder Dictator Ziaur Rahman Murdered Col. Taher in Cold Blood

Monday, May 20, 2013 | 21:00

Monday, May 20, 2013

Taher execution an outright murder: HC

Orders trial of persons linked with military tribunal

                                                   Col Abu Taher in 1972. Star file photo.
The High Court has termed the execution of Col Abu Taher through a military tribunal order in 1976 an “outright murder”.

The full text of an HC verdict, which was released on Monday, also termed the military tribunal judgement “illegal”.

Explaining their terming the execution as a “cold blooded assassination”, the judges who passed the verdict said Gen Ziaur Rahman, the then chief martial law administrator, had decided to execute Taher much before the formation of the so-called tribunal.

It also directed the government to try those who were involved with the so-called trial, if any of them are still alive.

The verdict, passed by Justice AHM Shamsuddin Chowdhury and Justice Sheikh Md Zakir Hossain, was originally announced on March 22, 2011.

The two judges signed the full text on Monday.

Deputy Attorney General Amit Talukder told The Daily Star that the 198-page judgment was released after the judges signed it.

The judgement will be uploaded on the website later in the day.

In the judgment, the HC cited some portions of the book written by BNP leader Moudud Ahmed, saying that the then Gen Ziaur Rahman had formed the military tribunal to sentence Col Taher to death in order to satisfy army officials who had returned from Pakistan.

Earlier on March 22, declaring the military tribunal and the trial illegal and unconstitutional, the HC said the trial and execution of freedom fighter Col Abu Taher in 1976 was masterminded by the then chief martial law administrator, Gen Ziaur Rahman.

Col Taher was a sector commander during the 1971 Liberation War of Bangladesh.

His supporters say he had a role in the soldiers’ uprising on November 7, 1975 that saw Ziaur Rahman’s release from confinement in Dhaka Cantonment.

Taher was later arrested and put to trial by a military tribunal that sentenced him to death on charges of mutiny and treason. He was executed on July 21, 1976.

Sixteen others including politicians Sirajul Alam Khan, ASM Abdur Rab, Maj (retd) Zia Uddin, Hasanul Huq Inu, Sharif Nurul Ambia, and Mahmudur Rahman Manna were also tried on the same charges and sentenced to various jail terms.

Source: http://www.thedailystar.net/beta2/news/col-taher-execution-an-absolute-killing-hc/

Tuesday, May 14, 2013

BNP's Lies Exposed by NY Times March 1971 Article 1

Source: http://select.nytimes.com/gst/abstract.html?res=F50F10F63A55127B93C5AB1788D85F458785F9

LEADER OF REBELS IN EAST PAKISTAN REPORTED SEIZED; Sheik Mujib Arrested After a Broadcast Proclaiming Region's Independence DACCA CURFEW EASED Troops Said to Be Gaining in Fighting in Cities -Heavy Losses Seen

NEW DELHI, Saturday, March 27 -- The Pakistan radio announced today that Sheik Mujibur Rahman, the nationalist leader of East Pakistan, had been arrested only hours after he had proclaimed his region independent and after open rebellion was reported in several cities in the East.

Source: http://select.nytimes.com/gst/abstract.html?res=F50F10F63A55127B93C5AB1788D85F458785F9

Tuesday, May 7, 2013

How to Become a Top BNP Leader


Prothom Alo


ইতিহাস বিকৃতি

ফজলে ইলাহি যখন হয়ে যান শাহ্ আজিজ

সৈয়দ বদরুল আহ্সান | তারিখ: ২৫-০৪-২০১৩
আমরা কত বোকা। এত বছর কেটে গেল অথচ আমরা কোনো দিনই জানলাম না যে ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের লাহোরে ইসলামি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যান, তাঁর সফরসঙ্গীদের মধ্যে শাহ্ আজিজুর রহমান ছিলেন। শুধু আমরাই বোকা নই। সেই পাকিস্তান সরকারও বুঝতে পারল না, যখন জুলফিকার আলী ভুট্টো বঙ্গবন্ধুকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানালেন যে ওই বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে শাহ্ আজিজও রয়েছেন। তাঁদের চোখ কীভাবে শাহ্ আজিজ এড়িয়ে গেলেন? এই শাহ্ আজিজই আড়াই বছর পূর্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানি দলের প্রধান হয়ে নিউইয়র্ক গিয়েছিলেন। সেই শাহ্ আজিজ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে লাহোরে অবতরণ করলেন, আর এই সত্যটি পাকিস্তানিরা বুঝতেই পারল না? এখন প্রশ্ন ওঠে যে স্বয়ং বঙ্গবন্ধু ও তাঁর দলে অন্যরা যাঁরা ছিলেন—কামাল হোসেন, তাহেরউদ্দিন ঠাকুর, তোফায়েল আহমেদ, তোয়াব খান—তাঁরাও বুঝলেন না যে তাঁদের সঙ্গে শাহ্ আজিজও রয়েছেন?

এত বোকা আমরা কী করে হলাম? সেদিন যদি বিএনপির সংস্কারবাদী নেতা নরসিংদীর সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল জাতিকে টেলিভিশনের মাধ্যমে না জানাতেন যে শাহ্ আজিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে জাতির জনক পাকিস্তানে গিয়েছিলেন, আমরা সবাই গভীর অন্ধকারে রয়ে যেতাম। তিনি পর পর দুই দিন চ্যানেল একাত্তরে এই তথ্যটি আমাদের জানিয়েছেন। প্রথম দিন যখন তিনি এই কথাটি বললেন তখন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করলেন। এবং বকুল সাহেবকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মারলেন তাঁর এই তথ্যটি প্রমাণ করার জন্য। বকুল সাহেব একটু হকচকিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু পরক্ষণেই তিনি বিনীতভাবে চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করলেন। গত রোববার তিনি অনেক কাগজপত্র এবং কিছু ছবি নিয়ে আবার চ্যানেল একাত্তরে হাজির হলেন। ওই একই আলোচনায় আমাকেও ডাকা হয়। আরও ছিলেন আমার বন্ধু সাংবাদিক তৌফিক ইমরোজ খালিদী। ভিডিও সংযোগের মাধ্যমে তোফায়েল আহমেদও আলোচনায় উপস্থিত হন।

 সাখাওয়াত হোসেন বকুল অনেকক্ষণ উইকিপিডিয়া থেকে পড়ে গেলেন এবং অন্য কাউকে কথা বলতে দিচ্ছিলেন না। তিনি বারবার বলে গেলেন শাহ্ আজিজ যে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে লাহোরে ছিলেন, সেই বিষয়টি তিনি প্রমাণ করবেন। গোটা অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেল, কিন্তু বকুল সাহেব কিছুই প্রমাণ করতে পারেননি। পারবেন কী করে? যে ঘটনা আদৌ ঘটেনি, সেটা সত্যি প্রমাণ করা যাবে কীভাবে। তিনি অনেক কিছু পড়ে গেলেন যার কোনোই অর্থ ছিল না। তিনি তোফায়েল সাহেবের প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হলেন। তিনি একটুও ভাবলেন না যে তিনি এমন এক ব্যক্তির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, যাঁর স্মৃতিশক্তি নিয়ে গোটা বাঙালি জাতি গর্ববোধ করে। তার চেয়ে বড় কথা, বকুল সাহেব ভুলে গেলেন যে এই তোফায়েল সাহেব নিজে ইসলামি সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন। যখন তোয়াব খান তাঁর বক্তব্য খণ্ডন করলেন, তখনো তিনি তাঁর ভুল তথ্য দিয়েই গেলেন। তাঁর কথা থামছিল না। তিনি বলেই চলেন যে তিনি তাঁর কথার প্রমাণ দেবেন। দিতে পারলেন না। কেন দিতে পারলেন না? হয়তো তিনি নিজেও ততক্ষণে বুঝে ফেলেছেন যে তিনি নিজেকে বেকায়দা অবস্থায় ঠেলে দিয়েছেন। তবু তিনি পরাজয় মেনে নিতে রাজি ছিলেন না। ভুলটা স্বীকার করে নিলে তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা বেড়ে যেত। তিনি ভুলের পক্ষেই কথা বলে গেলেন—কোনো প্রমাণ ছাড়া।

 উঠে এল ছবির প্রসঙ্গ। তিনি দু-একবার বললেন তিনি জানেন শাহ্ আজিজ দেখতে কেমন ছিলেন। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি যে দুটো ছবি দেখালেন, প্রথমে তিনি সেগুলো দেখাতেই চাইলেন না সবার বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও—যেখানে কোনো শাহ্ আজিজ নেই। তিনি সে কথা মানতে রাজি নন। একটি ছবিতে একজন স্যুট পরিহিত মাথায় জিন্নাহ টুপি লাগানো এক ব্যক্তিকে দেখিয়ে বললেন, ‘এই যে শাহ্ আজিজ।’ অবাক হয়ে গেলাম। এই যদি মানুষের ইতিহাসবোধ হয়, এই যদি একজন রাজনীতিকের ইতিহাস বিশ্লেষণ হয়, তাহলে এই দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে? বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে বিশ্বাস রাখলেই কি ঐতিহাসিক সত্যকে পরিহার করতে হবে? বকুল সাহেব তো ১৯৭৪ সালে আমাদের বয়সেরই ছিলেন। তবে তিনি কেন ওই ভুলটি করলেন। অথবা তিনি কেন বঙ্গবন্ধুকে ও বাংলাদেশের মানুষকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করলেন? জাতির পিতাকে তো ১৫ আগস্টের পর ওই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদীরা বিভিন্নভাবে আক্রমণ করেছেন, কটাক্ষ করেছেন, তাঁর খুনিদের বিচার অনুষ্ঠিত হতে দেননি। কী কারণে এবং কিসের ভিত্তিতে বকুল সাহেব সেদিন একটি অসত্যকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিলেন? ওই চ্যানেল একাত্তরের উত্তেজনাকর আলোচনায় প্রমাণ হয় কেন বকুল সাহেব ভুল জায়গায় ঢিল মেরেছেন। দুঃখ হয় তাঁদের জন্য যাঁরা এত গবেষণা করে তাঁকে এসব ভুল তথ্য এনে দিয়েছেন। এই যদি গবেষণা হয়, তাহলে দেশের ইতিহাস কীভাবে আমরা নিরাপদ জায়গায় রাখব?

ওই দুটি ছবির দিকে আমরা ফিরে যাই, যেগুলো বকুল সাহেব আলোচনার উপস্থাপন করেন। কিন্তু সবার অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি সেগুলো চ্যানেলের দর্শকদের দেখাতে অস্বীকার করলেন। আমাকে তিনি প্রথমে দেখাতে চাইছিলেন না। কেন ছবির ব্যাপারে তাঁর এত সতর্কতা অবলম্বন, তা তিনি নিজেই জানেন। নাকি তিনি বুঝে গিয়েছিলেন যে দর্শকেরাও সঙ্গে সঙ্গে ওই ছবিগুলো নাকচ করে দেবে? এবং সেটা করার যথেষ্ট কারণ ছিল। প্রথম ছবিতে ওই স্যুট আর জিন্নাহ টুপি পরিহিত ব্যক্তি হচ্ছেন পাকিস্তানের সেই সময়কার প্রেসিডেন্ট চৌধুরী ফজলে এলাহি। একজন প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদ হয়ে এই সত্যটি কেন বকুল সাহেব জানলেন না? আমি জানি, আপনি জানেন, আমরা সবাই জানি—বকুল সাহেব জানলেন না। তাঁর গবেষক দল যে কত কাঁচা কাজ করেছে এবং তাঁর কতটা ক্ষতি করেছে, এই বাস্তবতা হয়তো তিনি এতক্ষণে অনুধাবন করতে পেরেছেন। একই কথা ওই দ্বিতীয় ছবির বিষয়ে, যেখানে একজন হূষ্টপুষ্ট পাকিস্তানি প্রটোকল কর্মকর্তা, যিনি বঙ্গবন্ধুর ডান পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁকেও বকুল সাহেব শাহ্ আজিজুর রহমান বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। দুই ছবিতে দুই ব্যক্তি, একজন বয়স্ক অন্যজন মাঝারি বয়সের। একজন পাতলা অন্যজন বেশ স্বাস্থ্যবান। এই দুজনই নাকি শাহ্ আজিজুর রহমান। বললেন সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল।

 পরিশেষে শুধু একটি কথা—আমি আনন্দিত যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এক নতুন ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হওয়ার আগেই আমরা সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছি। আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ শ্রদ্ধেয় তোফায়েল আহমেদের কাছে। আমি কৃতজ্ঞ তৌফিক ইমরোজ খালিদী ও চ্যানেল একাত্তর কর্তৃপক্ষের কাছে। অসত্যকে সঙ্গে সঙ্গে বিতাড়িত করতে হয়, তাঁরা তা-ই প্রমাণ করে দিয়েছেন।

 আজ এই পর্যন্তই। ভবিষ্যতে আবার যদি কেউ ইতিহাস বিকৃত করার কাজে জড়িয়ে পড়ে, তখন আবার লিখব। বাংলাদেশের ইতিহাস কেউ বিনষ্ট করুক—এমন কাজ আমরা হতে দেব না। যে জয়বাংলা ধ্বনি ১৯৭১-এ তুলেছিলাম, সেই জয়বাংলা স্লোগানে, গানে, কবিতায়, অনুভূতিকে—আমাদের জীবন সমুন্নত থাকবে।
সৈয়দ বদরুল আহ্সান: সাংবাদিক।

Source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-04-25/news/347459