Showing posts with label Islami Chhatra Shibir. Show all posts
Showing posts with label Islami Chhatra Shibir. Show all posts

Thursday, October 1, 2015

Who is the Prophet of Terrorist Jamaate Islami and Islami Chhatra Shibir?

জামাত শিবিরের নবী কে?

সুধি পাঠকবৃন্দ আপনারা একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন জামাতে ইসলামি ও ইসলামি ছাত্র শিবির কখনোই তাদের মতবাদের স্রষ্টা আবু আলা মওদুদির সমালোচনা করে না। তাদের কাছে মওদুদি সব ভুল ভ্রান্তির উর্ধে। আমি আজ এখানে এমন একটি বিষয়ের অবতারনা করব যাতে প্রশ্ন জাগতে পারে জামাতের সত্যিকার অর্থে নবী বা রাসুল কে? প্রশ্নটি কঠিন ও চমকে দেয়ার মত মনে হলেও এর উত্তর ও বিশ্লেষন সহজভাবে দেয়া যায়।
আমরা প্রায়শই শুনে আসছি বিভিন্ন আলেম ও ইসলামি দলগুলোর নেতাদের মুখ থেকে - জামাত ও ইসলাম এক নয়। খেলাফত আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব মুজিবুর রহমান হামিদী বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে কয়েকমাস আগে দেয়া ইন্টারভিউতে এই কথাটি আবার জোর দিয়ে বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন, “জামাতের সাথে ঐক্যের প্রশ্নই আসে না। আমরা জামাতকে যতটুকু ঘৃনা করি, আওয়ামি লীগও জামাতকে ততটুকু ঘৃনা করে না। আমরা জানি জামাতের সাথে ইসলামের বিরোধ কোথায়। এটা আমরা আমাদের অন্তর দিয়ে বুঝি।” একটি শ্লোগানের কথা আমার মনে পড়ছে - মওদুদিবাদ নিপাত যাক, ইসলাম মুক্তি পাক।  অনেক আলেম জামাতে ইসলাম না বলে জামাতে মওদুদি বলতে পছন্দ করেন। এর পিছনে অবশ্যই যৌক্তিক কারন আছে।

আমরা ইতিহাস থেকে জানি যে জামাতের গুরু আবু আলা মওদুদি জামাতের জন্মলগ্ন থেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আহমাদিয়াদের অমুসলিম ঘোষনা করে তাদের নানা পদ্ধতিতে নীপিড়ন করার চেষ্টা করে এসেছিল। পাকিস্তানে ভয়াবহ দাঙ্গা লাগিয়ে আহমাদিয়াদের হতাহত ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার কারনে মওদুদিকে ফাসির আদেশ পর্যন্ত দিতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তানের সরকার যা পরবর্তিতে অযাচিত সৌদি হস্তক্ষেপে বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এই ফাসিটি যদি কার্যকর হত আজ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ইতিহাসে অনেক কিছুই হয়ত ভিন্নভাবে লেখা হত। ন্যুনপক্ষে জামাত ও শিবির নামক বিষাক্ত ভাইরাসটির এত ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব হত না।

জামাত যে কারন দেখিয়ে আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষিত করে সমাজে শান্তি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিভিন্ন সময়ে, সেই একই ধরনের অভিযোগে শিবির ও জামাতের ইসলামত্বও খারিজ করে দেয়া যায়। ব্যাপারটি চমকে দেয়ার মত হলেও সত্যি।

আমি তাবলিগ জামাত ও তাবলিগের বাইরে অনেক আলেমের কাছে মুসলমান হওয়ার প্রধান শর্ত হিসেবে এরকম শুনেছি  - যদি কেউ কোরানের একটি মাত্র আয়াত  অস্বীকার করে অথবা সহীহ হাদিসের একটিও অস্বীকার করে তাহলে তার মুসলমানিত্ব খারিজ হয়ে যাবে। কোরান বা সহীহ হাদিসের বিরুদ্ধে অবস্থানকারির স্থান ইসলামে নেই। আসুন এর আলোকে মওদুদির লেখার কিছু অংশে আমরা আলোকপাত করি।
মওদুদি তার রাসায়েল ওয়া মাসায়েল গ্রন্থে ১৩৫১ হিজরি সংস্করনের পৃষ্ঠা ৫৭ লিখেছেন (সালটির উল্লেখ করলাম কারন নতুন সংস্করনে জামাতিরা অরিজিনাল মওদুদির বিতর্কিত অংশগুলো বাদ দিয়ে থাকতে পারে): “রসুলুল্লাহ (সা:) মনে করতেন দজ্জাল উনার জিবদ্দশায় বা কাছাকাছি কোন সময়ে আবির্ভূত হবে। কিন্তু ১৩৫০ বছর পেরিয়ে গেল, অনেক প্রজন্ম আসল আর গেল, তথাপি দজ্জালের আগমন ঘটল না। সুতরাং এটি নিশ্চিত যে রসুলুল্লাহ (সা:) এব্যাপারে যা মনে করতেন তা সত্য বলে প্রমানিত হলো না।”

মওদুদি ১৩৬২ হিজরির পরবর্তি সংস্করনে আরো যোগ করেন: “সত্যিই ১৩৫০ বছর পেরিয়ে গেল, তথাপি দজ্জালের দেখা মিলল না, সুতরাং এটাই বাস্তবতা।”

মওদুদি এ সম্বন্ধে আরো লিখেছেন: “এটি নিশ্চিত সত্য যে দজ্জাল সংক্রান্ত রসুলুল্লাহ (সা:) এর হাদিসগুলো শুধু উনার ব্যক্তিগত মতামত এবং নিজস্ব বিশ্লেষন থেকে দেয়া অভিমত, উনার তরফ থেকে এগুলো সন্দেহযুক্ত অবতারনা।”

সহীহ বোখারি শরিফে প্রায় ১২টির মত ও সহীহ মুসলিম শরিফে তার চেয়েও বেশি হাদিসে রসুলু্ল্লাহ (সা:) দজ্জালের বিষয় এনেছেন। এটি একটি বা দুটি হাদিসের ব্যাপার নয়। আমি মওদুদির রসুলুল্লাহ (সা:) এর দজ্জালের আগমন নিয়ে সহীহ হাদিসগুলোর পরিষ্কার অস্বীকার করা সুধি পাঠকদের নজরে আনছি। নিজেদের ধর্মিয় রাজনৈতিক দল বলে দাবিদার একটি দলের প্রতিষ্ঠাতা ও তাদের আধ্যাত্মিক ও তাত্বিক গুরুর এটি নিঃসন্দেহে ভয়াবহ ধৃষ্টতামূলক কাজ। রসুল (সা:) যার সম্বন্ধে আল্লাহ সূরা নজমের ৩-৪ আয়াতে বলেছেন: “সে তার নিজের ইচ্ছায় কোনকিছু বলে না, শুধুমাত্র (আল্লাহর তরফ থেকে) ওহিই তাকে অনুপ্রানিত করে।”
সম্মানিত পাঠকদের কাছে প্রশ্ন রাখছি - আপনারা কি রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সহীহ হাদিসগুলোকে গ্রহন করবেন নাকি এগুলোকে অবজ্ঞাভরে প্রত্যাখানকারি ভ্রান্ত মতবাদি মওদুদিকে গ্রহন করবেন? মওদুদি রসুলের দজ্জাল আগমনের হাদিসগুলোকে গল্পকাহিনী বলে শুধু জঘন্য রকমের ধৃষ্টতাই দেখান নি, এই অপরাধে তার ইসলামত্ব খারিজ হয়ে যায়। তাকে যারা অন্ধভাবে অনুসরন করছে তাদের বেলাতেও কি একথা প্রযোজ্য নয়? পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনে যেখানে পান থেকে চুন খসলেই ফাসির আদেশ হয়ে যায়, আজ যদি মওদুদি পাকিস্তানে বেচে থাকত তাকে কি রসুলুল্লাহ(সা:)এর সহীহ হাদিস অবমাননা করার কারনে ফাসি দেয়া হত না? অথচ আজ এই মওদুদিবাদিরাই তাদের প্রতিপক্ষকে নাস্তিক মুরতাদ অমুসলিম এসমস্ত বলে প্রচার করে ভয়াবহ নাশকতা করে যাচ্ছে আর তার সাথে সুর মিলাচ্ছে তাদের মিথ্যা ও প্রতারনার ফাদে পা দেয়া কিছু ধর্মিয় দল। ইসলাম ত্যাগ করার কারনে যদি কাউকে শাস্তি পেতে হয় তাহলে মওদুদিবাদিদেরই সবার আগে পেতে হবে।

উপমহাদেশের কয়েকজন আলেমের জামাত সম্বন্ধে বিভিন্ন সময়ে তাদের দেয়া অভিমত নীচে তুলে ধরা হলো। এগুলো পর্যালোচনা করলে সহজে বোঝা যাবে কি কারনে ১৯৭১ সালে ধর্মের ছদ্মাবরনে তারা নিজের জাতির উপর পৈশাচিক বর্বরতা চালিয়েছিল, সত্যিকারের একটি ইসলামি দলের পক্ষে যা করা সম্ভব নয়। কি কারনে অন্যান্য ইসলামি দলগুলো তাদের সাথে জোট বাধে সেটাই আশ্চর্যের ব্যাপার। তাদের সাথে জোট বেধে ক্ষমতায় গেলে শুধু জামাতই বিনপির পরে একচেটিয়া সব সুফল ভোগ করে সে বিষয়ে ইসলামি দলগুলোর একদিন হয়ত বোধোদয় হবে।

দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান মুফতি মাওলানা সাইয়েদ মাহদি হাসান এক ফতোয়ায় বলেছিলেন: “মুসলমানদের জামাতের আন্দোলনে অংশ নেয়া মোটেও উচিত নয়। এটা তাদের জন্য জীবন ধংসকারি। শরিয়ার দৃষ্টিতে এই দলে যোগ দেয়া থেকে মানুষজনকে বিরত করা দরকার। এই দল মানুষের ভালোর চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। যারা এই দলের লক্ষ ও আদর্শের জন্য কাজ করে তারা পূন্যের বদলে পাপ কামাবে। সে নিজেকে এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে পারবে না ও অন্যদের পাপের দিকে ধাবিত করবে। যদি কোন মসজিদের ইমাম জামাতে মওদুদির সদস্য হোন, তার পেছনে নামাজ পড়া মাকরুহ।” সাংঘাতিক দারুন ফতোয়া

তাবলিগের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াসের ছেলে ও তার উত্তরসূরী মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন: “জামাতে মওদুদি হলো ক্ষমতালোভী একটি রাজনৈতিক দল। তারা এমন সব জিনিস গ্রহন করেছে যেগুলো শরীয়ার দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ।”

প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস মাওলানা জাকারিয়া (তাবলিগ জামাতের তালিমে বহুল ব্যবহ্রত ফাজায়েলে আমাল বইয়ের লেখক) বহু তথ্য সমৃদ্ধ ফিতনায়ে মওদুদিয়াত নামে জামাতের উপর একটি বই লিখেছেন। সেখানে তিনি জামাতে মওদুদির কোরান ও হাদিসের আলোকে ইসলাম বিরুদ্ধ বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। বইটির এক জায়গায় তিনি মন্তব্য করেছেন: “আমি এই দলে যোগ দেয়া হারাম মনে করি। তাদের পুস্তক পাঠ করা মুসলমানদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।”

দেওবন্দ থেকে আরেকটি ফতোয়াতে বলা হয়েছে: “জামাতের বই-পুস্তক সাহাবা ও ইমাম-মুজতাহিদের সাথে মুসলমানদের সম্পর্ক বিনষ্টকারি। মওদুদির ভ্রান্ত মতবাদের বই-পুস্তকের উপর ভিত্তি করে জামাতের আন্দোলন একারনে অবশ্যই মুসলমানদের জন্য ক্ষতিকর।  আমরা এদের সাথে পুরোপুরি সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষনা দিচ্ছি।”

লালবাগ জামিয়া কোরানিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরি  “ভুল সংশোধন” নামক একটি বইয়ে দেশবাসিকে জামাতে মওদুদির ইসলাম বিরোধি মতাদর্শ ও চিন্তাধারার ব্যাপারে সাবধান হতে বলেছেন। এক জায়গায় তিনি বলেছেন তার সারমর্ম হলো: “কোন মুসলমানের জন্য জামাতে যোগ দেয়া ও এই দলের জন্য কাজ করা উচিত নয়। যারা সাহাবাদের ভুলত্রুটি অন্বেষনে ব্যস্ত থাকে তাদের ইমাম বানানো উচিত হবে না কেননা এই ইমামদের পিছনে নামাজ গ্রহনযোগ্য নয়। সাহাবাদের ভুলত্রুটি অন্বেষনকারিদের আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতে কোন অংশিদারি নেই।”

খেলাফত আন্দোলনের হাফেজজি হুজুর, এমনকি জামাতের জোটের মিত্র মুফতি আমিনী ও শায়খুল হাদিস আজিজুল হক জনসাধারনকে অতিতে বহুবার জামাতের অশুভ প্রভাবের ব্যপারে সচেতন থাকতে বলেছিলেন।

OIC Secretary General's Statement and Daily Naya Diganta's Vicious Lie


ওআইসির মহাসচিবের বিবৃতি বিকৃত করে নয়া দিগন্ত পত্রিকার জালিয়াতি

২০১৩'র মার্চের ৪ তারিখ অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি, পূর্বের নাম অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স) মহাসচিব ড. একমেলুদ্দীন এহসানুগ্লু বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতার ওপর যে বিবৃতি দেন নীচে তা হুবহু তুলে ধরা হলো:

OIC Secretary General calls for restraint in Bangladesh
Date: 04/03/2013 

The Secretary General of the Organization of Islamic Cooperation (OIC), Prof. Ekmeleddin Ihsanoglu, has been following with concern the serious situation in Bangladesh which claimed dozens of lives and caused the destruction of public and private properties.  

In trying to bring about satisfactory solutions to the country’s political and social issues, the Secretary General invited all parties to refrain from all acts of violence which go against the interests of the country, and called for the proper respect of the rule of law by all.

(সত্যতা পরিক্ষা করতে ওআইসির লিংকটি http://www.oic-oci.org ইন্টারনেটে খুলুন। English ভাষা সিলেক্ট করুন। ওয়েব পেইজটি ওপেন হলে উপরের ডানদিকে সার্চ বক্সে বাংলাদেশ টাইপ করে এন্টার চাপুন। 04/03/2013 তারিখের OIC Secretary General calls for restraint in Bangladesh আর্টিকেলটি সিলেক্ট করুন)

সুধি পাঠক, এখন নীচে দেখুন দৈনিক নয়া দিগন্তের ভয়াবহ জালিয়াতি। ৮ই মার্চ ২০১৩'র প্রথম পাতায় তারা তথাকথিত মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধির বরাত দিয়ে "বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল বাতিল করুন: ওআইসি মহাসচিব" শিরোনামে তিন প্যারাগ্রাফের এই আর্টিকেলটি প্রকাশ করে। তবে ইন্টারনেট লিংকটি তারা এখন কোনো অজ্ঞাত(?) কারনে অচল করে দিয়েছে। পাঠক আপনারা উপরের ইংরেজিতে আসল বিবৃতিটি পড়ুন এবং নীচের রিপোর্টটির সাথে মিলিয়ে দেখুন কি ভয়াবহ অবস্থা। দৈনিক নয়া দিগন্ত এই জালিয়াতির জন্য এখনো ক্ষমা চায়নি। আমার দেশ ও তার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন করা নিয়ে অনুরুপ জালিয়াতি করেছিল।

(দৈনিক নয়া দিগন্ত: আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় বাতিলের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে শান্তিপূর্ন বিক্ষোভকারীদের ওপর যেভাবে গুলি ও সহিংসতা চালানো হচ্ছে তা বন্ধ করে অচিরেই বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল বাতিলের দাবি জানান অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্সের (ওআইসি) মহাসচিব ড. একমেলুদ্দীন এহসানুগ্লু। গতকাল ওআইসি মহাসচিব এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

তিনি বিবৃতিতে আরো বলেন, বিরোধী দলের ওপর দমন-নিপীড়নের ফলে বাংলাদেশে যে ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে আমরা তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করছি। সেই সাথে অচিরেই জামায়াত সমর্থক সাধারন নাগরিক ও পুলিশসহ নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে যে সংঘর্ষ চলছে তা বন্ধের উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি, সরকার বিরোধী দলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে দেশের স্বার্থে উত্তম পন্থা খুঁজে বের করবে। পুলিশ বাহিনী দিয়ে সহিংসতা এমন চরম আকার ধারন করেছে যে দেশ এক অকল্যানকর রাষ্ট্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে। গত মাসে জামায়াত নেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দেয়া ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে আর আহত হয়েছে কয়েক হাজার। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনকে তোয়াক্কা না করে যে রায় দেয়া হয়েছে তা গ্রহনযোগ্য নয়। কেননা আইনজীবীদের কার্যক্রম ইতোমধ্যে ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বাংলাদেশে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে সন্দেহ পোষন করছে।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছে আর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন না হওয়ার এমন লোকদের বিচারের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে যে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে তা সম্পূর্ন আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুনের পরিপন্থী। দলীয় ট্রাইব্যুনালে কোনো অবস্থাতেই ন্যায়বিচার আশা করা যায় না। তা ছাড়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করার কারনে বিদ্বেষ পোষন করা হচ্ছে। আর যাদের ওপর অভিযোগ আনা হয়েছে তারা বাংলাদেশের বৃহৎ ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। ১৯৭১ সালে তারা পাকিস্তান থেকে বিছিন্ন হতে না চাইলেও স্বাধীনতা-পরবর্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা হেফাজতে ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি সবাইকে দেশের সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার ও ইসলামী ব্যাংকসহ সাধারন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহবান জানান।)

সুধি পাঠক, ওআইসি মহাসচিবের আসল বিবৃতির সাথে দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রকাশিত বিবৃতির কোনো মিল কি খুঁজে পেলেন?


Wednesday, October 2, 2013

Daily Amar Desh is Dishonest and Liar




ফেইসবুকে বিতর্ক, দুই দৈনিকের খবর প্রত্যাহার

By সুলায়মান নিলয়, নিজস্ব প্রতিবেদক
গত ৬ ডিসেম্বর দৈনিক আমার দেশের ৭ম পাতায় প্রকাশিত ওই সংবাদের শিরোনাম ছিল- ‘আলেমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কাবার ইমামদের মানববন্ধন’। পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণেও দেখা যায় সংবাদটি।

এছাড়া জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার অনলাইনেও একই সংবাদ ছাপা হয়।
          
খবরটি মিথ্যা দাবি করে নাসিম রুপক নামে একজন ব্লগার ব্লগ ও ফেইসবুকে প্রতিবাদ জানান। ফেইসবুকে নোট আকারে তার লেখার শিরোনাম ছিল ‘যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে দৈনিক আমার দেশ ও সংগ্রাম পত্রিকার নির্লজ্জ মিথ্যাচার’। ব্লগেও নিজস্ব আইডি থেকে একই লেখা পোস্ট করেন তিনি।

কিছুক্ষণের মধ্যেই রুপকের ওই নোট ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নোটটি শেয়ার হয়েছে ৫৮৯ বার। ব্লগে আসে প্রায় দু’শ মন্তব্য।

এই পরিস্থিতিতে দৈনিক সংগ্রাম তাদের সংবাদটি প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করে। তবে আমার দেশ অনলাইন সংস্করণ থেকে সংবাদটি সরিয়ে নিলেও দুঃখ প্রকাশ করেনি।

এ বিষয়ে নাসিম রুপক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার দেশ অনলাইন থেকে সংবাদটি সরিয়ে ফেললেও কোন দুঃখ প্রকাশ করেনি। প্রিন্ট ভার্সনের প্রকাশিত সংবাদের জন্যও কোন সংশোধনী দেয়নি।”

আমার দেশের ওই প্রতিবেদনের বলা হয়, ‘বিশ্বজুড়ে বিতর্কিত ট্রাইব্যুনালের নামে বাংলাদেশের আলেমদের ওপর যে নির্যাতন চলছে তার প্রতিবাদে গতকাল বাদ জুমা কাবার খতিব বিখ্যাত ক্বারী শাইখ আবদুর রহমান আল সুদাইসির নেতৃত্বে মানববন্ধন করেছে ইমাম পরিষদ।’

এই সংবাদের সঙ্গে আরবি ব্যানার হাতে একটি ছবিও ছাপা হয়।

এর প্রতিবাদ জানিয়ে নাসিম রুপক ফেইসবুকে লিখেন, ‘এই সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গুগলের সাহায্য নিলাম। গুগলে সার্চ দিয়ে ওই নিউজের ছবি সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো সংবাদ পেলাম। সবগুলোই আরবি সাইট। আরবি বোঝার জন্য গুগল অনুবাদের সাহায্য নিলাম। কিন্তু অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম একটা সাইটের নিউজের সাথেও আমারদেশ পত্রিকার সংবাদের কোন মিল নেই। বিশ্বাস না হলে আপনারাই ঘুরে আসুন ওয়েবসাইট গুলোতে।’

যে ছবিটি দেয়া হয়েছে সেটিও যে গত বছরের ১৮ অক্টোবর আপলোড করা হয়েছে তারও প্রমাণ দেন এই ব্লগার। প্রমাণ দিয়ে তিনি দেখিয়ে দেন, ছবিটি কাবার গিলাফ পরানোর সময় তোলা হয়েছিল।

সংগ্রামের দুঃখ প্রকাশ
এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে দৈনিক সংগ্রাম দুঃখ প্রকাশ করে বলে, ‘বাংলাদেশে আলেমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কাবার ইমামদের মানববন্ধন’ শীর্ষক সংবাদটি আমাদের প্রিন্ট এডিশনের কোথাও ছাপা হয়নি। কিন্তু অসাবধানতাবশত অনলাইন সংস্কারে প্রকাশিত হয়। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং একই সাথে সংবাদটি প্রত্যাহার করে নেয়া হলো। -বার্তা সম্পাদক’।

Source: http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article575527.bdnews

Amar Desh, Sangram retract Ka’aba news

Suliman Niloy, Staff Correspondent bdnews24.com

Storms of protests on Facebook and in blogs have forced two Bangladeshi dailies to remove reports claiming that Imams at the Ka’aba in Saudi Arabia staged a human-chain demonstration against the war crimes trial.
        
Pro-BNP Daily Amar Desh published the news on the seventh page of its Sunday edition under the caption, ‘Imams form human chain against oppression of Alems’. The report was also put on the daily’s online version.

Dainik Sangram, the mouthpiece of Jamaat-e-Islami, also ran the news.

The newspapers withdrew the report after a blogger, Nasim Rupok, protested it in his blog and Facebook page claiming the news was false. His status on Facebook read: ‘Shameless falsehood of Dainik Amar Desh and Sangram for saving the war criminals’. He posted the same piece in his blog.

The status spread quickly on Facebook and until Tuesday noon it was shared by 589 people. Nearly 200 comments were posted in his blog.

Amid the protests, Dainik Sangram posted an apology and removed its report. Amar Desh’s online version also removed the news, but offered no apology.

Rupok told bdnews24.com: “Amar Desh removed the news from its website but did not post an apology. It published no ‘correction’ over the news in the print version.”

The Amar Desh news said: “The council of Imams headed by renowned Qari Sheikh Abdur Rahman of the Ka’aba formed a human chain after the Friday prayers protesting the oppression of Alems in Bangladesh in the name of an internationally controversial tribunal.”

A photo of the so-called human chain with a banner in Arabic was also published with the report.

Rupok wrote on Facebook: “I took the help of Google to verify the news. After a search I found several news items with that photograph. All of them were on Arabic sites. I used Google to translate the Arabic writing. I was astonished to find that none of the news reports had any relation to what Amar Desh had published. If you don’t believe this, please go to the websites to find it for yourself.”

The blogger provided evidence that the photograph was uploaded on Oct 18 last year.

Sangram’s apology
Facing protests, Dainik Sangram wrote an apology. It said: “The news titled ‘Imams form human chain against oppression on Alems’ was not published in our printed version, but was posted in our online version due to negligence. We are withdrawing the news and apologise for the unintended error.”

Source:  http://bdnews24.com/bangladesh/2013/01/08/amar-desh-sangram-retract-kaaba-news

Monday, June 24, 2013

Top US and British Jamaate Islam Leaders are Indicted for 1971 War Crimes

Chowdhury Mueen-Uddin is the director of Muslim spiritual care provision in the NHS, a trustee of the major British charity Muslim Aid and a central figure in setting up the Muslim Council of Britain.



বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ঠিক আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় জন শিক্ষক, ছয় জন সাংবাদিক ও তিনজন চিকিৎসকসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণ ও হত্যার ১১ অভিযোগে একাত্তরের আলবদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মাঈনুদ্দীনের বিচার শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

http://www.thedailystar.net/beta2/news/mueen-ashraf-indicted/

WAR CRIMES TRIAL

Mueen, Ashraf indicted

Star Online Report



A Dhaka tribunal on Monday framed 11 charges against “Al-Badr leaders” Chowdhury Mueen-Uddin and Ashrafuzzaman Khan in absentia for their alleged involvement in crimes against humanity committed during the country’s Liberation War in 1971.

The charges include abduction and murder of intellectuals of the country at the fag end of the Liberation War.

The International Crimes Tribunal-2 also set July 15 for opening statement in the case and examination of prosecution witnessess.

The three-member tribunal led by Justice Obaidul Hassan asked the state appointed defence counsels to submit a list of defence witness and other documents if they have any by the date.

Sunday, June 2, 2013

Pakistani Documents Shows Jamaate Islami was Involved in War Crimes

পাকিস্তানের দলিলেও জামায়াত দায়ী

রাজীব আহাম্মদ
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে জামায়াতে ইসলামী। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি শাসকদের তৈরি দলিলেও রয়েছে জামায়াত নেতাদের ভূমিকার কথা। একাত্তরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে প্রতি মাসে দু'বার ইয়াহিয়া খানের কাছে গোপনীয় প্রতিবেদন পাঠাত পূর্ব পাকিস্তান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 'ফোর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তান' নামের সেই প্রতিবেদনে জামায়াত নেতাদের পাকিস্তানের পক্ষের শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ফোর্টনাইট প্রতিবেদনে পূর্ব পাকিস্তানের পত্রিকায় প্রকাশিত কিছু রিপোর্টের তথ্যও উপস্থাপন করা হয়।

ফোর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তান দলিলে জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে আলবদর বাহিনীর উদ্যোক্তা হিসেবে বলা হয়। জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফকে উল্লেখ করা হয় রাজাকার বাহিনীর উদ্যোক্তা হিসেবে।

১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় ভাগে পাঠানো ফোর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তান দলিলে নিজামীর বিভিন্ন বক্তৃতা ও বিবৃতির কথা উল্লেখ করা হয়। নিজামী ১৯৭১ সালের ১৪ নভেম্বর দৈনিক সংগ্রামে 'বদর দিবস, পাকিস্তান ও আলবদর' শিরোনামে একটি উপসম্পাদকীয়তে লেখেন, '...দুর্ভাগ্যবশত পাকিস্তানের কিছু মুনাফিক (মুক্তিযোদ্ধা) তাদের (ভারতের) পক্ষ অবলম্বন করে ভেতর থেকে আমাদের দুর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের মোকাবিলা করে তাদের সকল ষড়যন্ত্র বানচাল করেই পাকিস্তানের আদর্শ ও অস্তিত্ব রক্ষা করতে হবে; শুধু পাকিস্তান রক্ষার আত্মরক্ষামূলক প্রচেষ্টা চালিয়েই এ পাকিস্তানকে রক্ষা করা যাবে না।' তিনি এ লেখার মাধ্যমে বদর বাহিনীকে আক্রমণাত্মক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন।

গণহত্যায় জড়িত থাকা ও গণহত্যায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করলেও ফোর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তানে অক্টোবরের প্রথমভাগের প্রতিবেদনে নিজামীর একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়। বক্তব্যে নিজামী বলেন, 'আমাদের পরম সৌভাগ্যই বলতে হবে। পাকসেনার সহযোগিতায় এ দেশের ইসলামপ্রিয় তরুণ সমাজ বদর যুদ্ধের স্মৃতিকে সামনে রেখে আলবদর বাহিনী গঠন করেছে।' তিনি তার লেখায় মুক্তিযোদ্ধাদের মুনাফিক হিসেবে আখ্যা দিয়ে পাকিস্তান রক্ষার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন। ওই সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের 'দেশদ্রোহী' 'ভারতের দালাল' আখ্যা দিয়ে খতমের আহ্বান জানান।

'ফোর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তান'-এর অক্টোবরের দ্বিতীয় ভাগের প্রতিবেদনে (১৩ নভেম্বর ১৯৭১ স্বরাষ্ট্র সচিব স্বাক্ষরিত) নাম রয়েছে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, তিন নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ, মকবুল আহমাদ, মাওলানা আবদুস সুবহান, তিন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা ও এটিএম আজহারুল ইসলামের। নাম রয়েছে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের দুই সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুজ জাহের ও মীর কাসেম আলীর। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ব্যক্তিরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেন। ঘাতক রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী গঠনে সহায়তা করার পাশাপাশি এসব বাহিনীর নেতৃত্বও দেন তারা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, একাত্তরের ১৪ জুন জামালপুর ইসলামী ছাত্রসংঘের এক সভায় নিজামী বলেছিলেন, ইসলাম রক্ষায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে। এ জন্য তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন। জামায়াতের দলীয় মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামের ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সংখ্যায় নিজামীকে বদরবাহিনীর প্রধান হিসেবে উল্লেখ করা হয় (মুক্তিযুদ্ধে দৈনিক সংগ্রামের ভূমিকা)।

পাকিস্তান দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নিজামী বলেছিলেন, ' ... ইসলামী ছাত্রসংঘের কর্মীরা দেশের প্রতি ইঞ্চি ভূমি রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ' (দৈনিক সংগ্রাম, ৮ সেপ্টেম্বর)।

মুজাহিদ ছিলেন আলবদর বাহিনীর অন্যতম সংগঠক। ১২ আগস্ট ১৯৭১ দৈনিক সংগ্রাম-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এর উল্লেখ রয়েছে। ফোর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তান প্রতিবেদন অনুযায়ী, '৭১ সালের ১৭ অক্টোবর রংপুরে পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের এক সভায় মুজাহিদ আলবদর বাহিনী গড়ে তুলতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। ২৫ অক্টোবর ইসলামী ছাত্রসংঘের এক সম্মেলনে মুজাহিদ পাকিস্তানের ছাত্র-জনতাকে দুষ্কৃতকারী (মুক্তিযোদ্ধা) 'খতম' করার দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

১৯৭১ সালের বদর দিবস উপলক্ষে ৭ নভেম্বর বায়তুল মোকররম মসজিদ চত্বরে ঢাকা শহর ছাত্রসংঘ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মুজাহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছিলেন, 'বিভিন্ন পর্যায়ে কিছু কিছু লোক এখনও পাকিস্তানের আদর্শবিরোধী কাজ করছে। জনগণ তাদের সম্পর্কে সচেতন।' তিনি এদের খতমের আহ্বান জানান (৮ নভেম্বর ১৯৭১, দৈনিক আজাদ)।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সমর্থনে গঠিত পূর্ব পাকিস্তান শান্তিবাহিনীর প্রধান সমন্বয়ক ও জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে অভিযোগ। মকবুল আহমাদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় শান্তি কমিটির প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন (মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান, পৃ-৪৩০)।

মকবুল আহমাদ '৭১ সালের ১০ আগস্ট রেডিও পাকিস্তান চট্টগ্রামের ডিউটি অফিসার (ইনচার্জ) ফজলুল হককে লেখা এক চিঠিতে ফেনীর তাকিয়াবাড়ীর মাওলানা সৈয়দ ওয়ায়েজউদ্দিনকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন। এ জন্য তিনি ফেনী শহর রাজাকার কমান্ডার হানিফ ও উপদেষ্টা মাওলানা মোস্তফাকে চট্টগ্রামে পাঠান। পরে ১৭ আগস্ট চট্টগ্রামের রিয়াজুদ্দিন বাজার থেকে ওয়ায়েজউদ্দিনকে একটি জিপে তুলে করে নিয়ে যায় রাজাকাররা। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্বাধীনতার পর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মকবুল আহমাদের হাতে লেখা সে চিঠিটি বাংলায় অনুবাদ করে বিলি করে। তবে এ প্রসঙ্গটি প্রতিবেদনে পাওয়া যায়নি। (তথ্য সূত্র : ফেনী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত সংবাদ)।

ফোর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তান প্রতিবেদন অনুযায়ী, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান ও তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রসংঘের সভাপতি আশরাফ আলীর তত্ত্বাবধানে মুক্তিযুদ্ধের সময় বৃহত্তর ময়মনসিংহে আলবদর বাহিনী গঠিত হয়। ময়মনসিংহ জেলা শান্তি কিমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিনকে সহায়তা করেন তারা।

Source: http://www.samakal.com.bd/details.php?news=14&action=main&view=archiev&y=2012&m=12&d=16&option=single&news_id=313981&pub_no=1258

Thursday, December 13, 2012

Jamaate Islami Thugs Murdered the Intellectuals in 1971

Prothom Alo


বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে ‘জামায়াতি দুর্বৃত্তরাই’

মিজানুর রহমান খান, ওয়াশিংটন ডিসি থেকে | তারিখ: ১৪-১২-২০১২
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অবমুক্ত করা গোপন দলিলপত্রে একাত্তরের ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যা সম্পর্কে তিনটি নতুন বিষয় উদ্ঘাটিত হয়েছে। প্রথমত, ভারতীয়দের কাছে পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণের শর্ত যাতে ‘ন্যায্য’ হয়, সেটা নিশ্চিত করতে প্রায় ৩০০ বুদ্ধিজীবীকে জিম্মি করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, কিছুসংখ্যক বুদ্ধিজীবীকে বিহারি ক্যাম্পে অন্তরীণ রাখা হয়েছিল এবং তাঁদের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে হত্যা করা হয়। তৃতীয়ত, পাকিস্তানিরা ওয়াশিংটনের কাছে অভিযোগ করেছিল যে, মুক্তিযোদ্ধারাই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে।

এ সব অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ পাওয়ার পর ঢাকার তৎকালীন মার্কিন কনসাল হার্বাট ডি স্পিভাক এক তারবার্তায় নির্দিষ্টভাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে জানান, ‘জামায়াতি দুর্বৃত্তরাই’ বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। এ-সংক্রান্ত বাক্যে স্পিভাক ‘জামায়াত থাগস’ বা জামায়াতি দুর্বৃত্ত শব্দটি ব্যবহার করেন। আর একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বুদ্ধিজীবী হত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে স্পিভাক বলেন, বুদ্ধিজীবীদের গ্রেপ্তার ও হত্যার সময় ঢাকা সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল।

স্পিভাক বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের প্রথম ভারপ্রাপ্ত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স। মুক্তিযুদ্ধের বেশির ভাগ সময় তিনি মার্কিন কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জেনারেল নিয়াজি ও জেনারেল ফরমান আলী স্পিভাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেই প্রথম আত্মসমর্পণের আগ্রহ ব্যক্ত করেছিলেন।

পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে: স্পিভাক মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পর্কে তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন যে, ‘নিচের কারণগুলোই বলে দেয় যে, মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর দোষ চাপানোটা সন্দেহজনক। প্রথমত, ১৪-১৫ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা ঘটে। এ সময়টায় পুরো ঢাকা শহরে কারফিউ বলবৎ ছিল এবং শহর ছিল পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। দ্বিতীয়ত, এই সময়ে শহরে যে মুক্তিবাহিনী ছিলেন, তেমন কোনো প্রমাণ নেই। তৃতীয়ত, যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের কয়েকজনের নাম আমরা শনাক্ত করেত পেরেছি। তাঁরা কেউ রাজাকার ছিলেন না। তাঁদের বেশির ভাগই সুপরিচিত বাঙালি জাতীয়তাবাদী। যদিও তাঁরা মুক্তিযুদ্ধকালে শহরে ছিলেন, কিন্তু তাঁরা তাঁদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ ঘটাননি।’ স্পিভাক এই বার্তায় তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে মুনীর চৌধুরী, ফজলে রাব্বি, শহীদুল্লা কায়সার, সিরাজুদ্দীন হোসেন, এ এস মান্নান (অবজারভার-এর সহসম্পাদক), নিজামুদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক এ খায়ের ও ড. আলীম চৌধুরীর নাম উল্লেখ করেন।

১৯৭২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি স্পিভাক অপর এক বার্তায় লেখেন, ‘গত নয় মাসে বুদ্ধিজীবীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা জানতে ওয়াশিংটন এবং অন্যত্র অব্যাহতভাবে আগ্রহ লক্ষ করার প্রেক্ষাপটে সংবাদপত্রে প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত একটি নিবন্ধের ক্লিপিং পাঠানো হলো।’ এটি ছিল মর্নিং নিউজ পত্রিকায় ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ প্রকাশিত একটি নিবন্ধ। তবে সংশ্লিষ্ট ফাইলে ওই ক্লিপিংটি পাওয়া যায়নি। স্পিভাক লিখেছেন, ‘বিশেষ সংবাদদাতা পরিবেশিত ওই খবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী নিধনের ওপর আলোকপাত করা হয়।’

স্পিভাক ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারির এক তারবার্তায় উল্লেখ করেছিলেন যে, শেখ মুজিব গণপরিষদে দেওয়া বক্তৃতায় আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত নিষ্ঠুরতা বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

নৃশংসতা ও রাজাকার: ১৯৭২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি স্পিভাকের একটি তারবার্তার শিরোনাম ছিল: ‘নৃশংসতা ও রাজাকার’। এটা পাঠানো হয়েছিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে ঢাকায় পৌঁছানো একটি তারবার্তার বরাতে। স্টেট নামের বার্তাটিতে কী আছে, জানা যায়নি। স্পিভাক লিখেছেন, ‘যুদ্ধ শেষ হওয়ার দিকে ২০০ থেকে ৩০০ বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়। অন্যান্য শহর থেকেও এ রকম খবর পাওয়া যাচ্ছে, তবে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। এ তালিকার সবাই বাঙালি। কিন্তু সাধারণভাবে তাঁরা রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তাঁদের মৃত্যুর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানাতে অপরাগ। তবে তাঁদের অধিকাংশকে ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যবর্তী সময়ে তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

কারা গ্রেপ্তার করেছিল, সে সম্পর্কে স্পিভাক ওই তারবার্তায় বলেন, ‘সশস্ত্র ব্যক্তিরা। এদের সঙ্গে উর্দিধারী সশস্ত্র সৈনিকেরা ছিলেন।’ স্পিভাকের বিবরণ অনুযায়ী, সংবাদপত্র, মার্কিন কনসাল জেনারেল অফিসের কর্মী ও মার্কিন সংবাদদাতারা ঢাকায় প্রায় ২০টি মরদেহ দেখেছেন এবং তাঁরা নিশ্চিত করেছেন যে, হত্যা করার আগে তাঁদের প্রতি নির্যাতন চালানো হয়েছিল। 

মার্কিন কনসাল স্পিভাক তাঁর ওই তারবার্তায় উল্লেখ করেন যে, মার্কিন তথ্যকেন্দ্র ইউসিস-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রিপোর্ট করেছেন যে, বেশ কিছু নিখোঁজ বুদ্ধিজীবীকে মোহাম্মদপুর-বিহারিশিবিরে আটকে রাখা হয়েছিল। ২৮ জানুয়ারির (১৯৭২) সাম্প্রতিক সংঘর্ষকালে তাঁদের হত্যা করা হয়।

নৃশংসতা ও রাজাকার শীর্ষক ওই তারবার্তায় স্পিভাক ১৯ শহীদ বুদ্ধিজীবীর নাম দেন। মুনীর চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, আবুল খায়ের, সন্তোষ ভট্টাচার্য, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, রাশিদুল হাসান, সিরাজুল হক খান, মোহাম্মদ মর্তুজা, সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, নিজামুদ্দিন আহমেদ, নাজমুল হক, এ এস মান্নান, গোলাম মোস্তফা, ফজলে রাব্বি, আলীম চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ ও আমিনুদ্দিন।

এই তারবার্তায় স্পিভাক তথ্য দেন যে, ‘আমরা মৌলভি ফরিদ আহমেদ ও অন্যান্য দক্ষিণপন্থী রাজনীতিককে গ্রেপ্তারের খবর পেয়েছি। মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত কনসাল জেনারেলের অফিসের স্থানীয় কর্মীদের দ্বারা এ বিষয়ে নিশ্চিতও হয়েছি। তবে আমরা জানতে পেরেছি যে, রাজাকারির দায়ে ইতিমধ্যেই অনেককে অন্তরীণ করা হয়েছে। তাঁদের শিগগিরই বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’ এই তারবার্তার উপসংহারে স্পিভাক বলেন, ‘ঢাকার প্রেস অব্যাহতভাবে নতুন নৃশংসতার খবর ছাপছে। ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি কুমিল্লা সেনানিবাসে গণকবর পাওয়া গেছে। তবে এটা খুবই বিরক্তিকর যে, কিছু সংবাদপত্র হত্যাকাণ্ডের নায়কদের প্রতি মার্কিন সমর্থনের অভিযোগ করেই চলেছে।’ 

উল্লেখ্য, স্পিভাক এ বিষয়ে ঢাকা ৩২৮ ক্রমিকে একটি তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন। এটিও পাওয়া যায়নি।

জিম্মি: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ব্যাপকভিত্তিক গ্রেপ্তারের সঙ্গে যে আত্মসমর্পণের শর্তসম্পর্কিত দর-কষাকষির যেকোনো সম্পর্ক থাকতে পারে, তা সম্ভবত স্পিভাকের তারবার্তা থেকেই প্রথম জানা যাচ্ছে। জেনারেল নিয়াজি ও জেনারেল ফরমান আলী তাঁদের যৌথ স্বাক্ষরে আত্মসমর্পণের বার্তা স্পিভাকের কাছে প্রথম একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বরেই প্রথম দিয়েছিলেন। 

স্পিভাক ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা ৫৬৯৬ ক্রমিকের অপর এক তারবার্তায় লিখেছেন, আত্মসমর্পণের দুই দিন আগে ঢাকার পশ্চিমে একটি মাঠের মধ্যে ৩০টির মতো গলিত মরদেহ পাওয়া গেছে। সেখানে ইট পোড়ানো হয়। মনে করা হয় যে, এসব মরদেহের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের অনেকে থেকে থাকবেন। আত্মসমর্পণের শর্ত যাতে ন্যায্য হয়, সেটা নিশ্চিত করতে পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর স্থানীয় সমর্থক ও রাজাকাররা প্রায় ৩০০ বুদ্ধিজীবীকে ‘জিম্মি’ করেছিল। আত্মসমর্পণের দুই দিন আগে অনেককে হত্যা করা হয়। স্থানীয় লোকজন বলছেন, ইটখোলা এলাকায় অনেককে ধরে এনে হত্যা করা হয়। কথিতমতে, রাজাকাররা এখনো ইটখোলা দখলে রেখেছেন।

প্রতিশোধ: ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা ৫৬৯৩ তারবার্তায় স্পিভাক লেখেন, ঢাকায় সহিংসতার প্রকোপ কমে এসেছে, কিন্তু “বিহারি” এবং “কোলাবরেটরদের” বিরুদ্ধে কিছু প্রতিশোধপরায়ণতা চলছে। একই সঙ্গে রাজাকারদের বাঙালি হত্যাও অব্যাহত আছে। বেশ কিছুদিনের বিরতিতে আজ ঢাকায় পত্রিকা বেরিয়েছে।

পল্টন ময়দানে কিছুক্ষণ আগে পাঁচ-ছয় হাজার লোকের সমাবেশ শেষ হয়েছে। নুরুল আলম সিদ্দিকীসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা অধিনায়কেরা বক্তব্য দিয়েছেন। বার্তা হলো, মুক্তযোদ্ধা ও রাজাকারেরা অস্ত্র জমা দেবেন। দেশ কে যে চালাচ্ছেন, তা বোঝা যায় না। কোনো জ্যেষ্ঠ নেতাকেই দেখা যায় না।

১৯ ডিসেম্বরে স্পিভাক ‘বাংলাদেশের মুজিবকে প্রয়োজন’ শীর্ষক একটি তারবার্তা (সিক্রেট ঢাকা ৫৭০২) পাঠান। এই বার্তায় স্পিভাক উল্লেখ করেন যে, পরিস্থিতি এখনো বিস্ফোরণোন্মুখ। চরম ডানপন্থী গোষ্ঠীর দ্বারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নতুন এক তিক্ততার স্রোত বয়ে যায়। এ ঘটনা পুনরায় গোষ্ঠীগত গণহত্যার হুমকি বৃদ্ধি করেছে।’

মুজিবই আশা: ১৭ ডিসেম্বর কলকাতার মার্কিন কনসাল গর্ডন লেখেন, ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা কলেরা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ড. জন রোড কলকাতায় মার্কিন-সমর্থিত সাহায্য সংস্থার ভোলাগ প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার প্রধান উপস্থিত ছিলেন। কেয়ার অনুপস্থিত ছিল। এর অংশত কারণ, পূর্ব পাকিস্তানে ধারণা আছে যে, তারা সামরিক সরকারকে সহায়তা দিয়েছিল।

জন রোড বিশ্বাস করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি খুব তিক্ততা থাকলেও এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে এবং তার মূল্যবোধ ও নীতির ওপর একটা মৌলিক বিশ্বাস আছে। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে একটি ভালো কথা বলা বা মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের মতো ঝুঁকি বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ে কেউ নেবেন না। ‘এ অবস্থা থেকে কেবল মুজিবই পরিত্রাণ দিতে পারেন।’ কলহবিবাদ এমন পর্যায়ে আছে যে, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অনেকেই দেশে ফিরে পদত্যাগ করতে চাইছেন।

মি. রোড তখন যুক্তি দেন যে, মুজিবই শুধু স্থিতিশীলতা আনতে পারেন; অন্তত একটি বছরের জন্য হলেও। তাঁকে যদি মুক্তি দিয়ে দেশে ফিরতে দেওয়া হয়, তাহলে উপদলীয় লড়াই অন্তত সাময়িকভাবে হলেও বন্ধ হবে। বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বাংলাদেশ সরকার ‘ভিসা’ দিতে প্রস্তুতি নিয়েছিল। এখন সব ভিসা অবশ্যই দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্বারা ছাড় হওয়া উচিত হবে। তাঁর সন্দেহ, বিদেশি সংবাদদাতাদের বাংলাদেশ সরকার যে দেশে ঢুকতে দিতে অনীহা দেখাচ্ছে, তার মূলে আছে ভীতি। বিহারিবিরোধী তৎপরতার খবর যদি তাঁরা লিখতে শুরু করেন, তাহলে বিশ্বজনমত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলে যাবে। বাংলাদেশের প্রতি গভীর অনুরাগী জন রোড ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করেন, ‘বিহারিরা নিপীড়নের শিকার’। স্পিভাক ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি লেখেন, ‘গেরিলা নেতা আবদুল কাদের সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে। আত্মসমর্পণের পরদিন ঢাকা স্টেডিয়ামে তিনি দুজন কথিত রাজাকারকে হত্যা করেন। ভারতীয় সেনারা তাঁকে দুবার গ্রেপ্তার করে। দুবারই তাজউদ্দীনের হস্তক্ষেপে তিনি ছাড়া পান।’

কলকাতার মার্কিন কনসাল গর্ডন একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর বার্তা পাঠান যে, ‘১২ ডিসেম্বরের স্টেটসম্যান খবর দিয়েছে যে, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম “গণবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক তৎপরতার” দায়ে চারটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এগুলো হলো: পাকিস্তান ডেমোক্র্যাট পার্টি (পিডিপি), মুসলিম লীগ, জামায়াত-ই-ইসলামী ও নিজাম-ই-ইসলাম। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার পর পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচনে এসব দল অংশ নিয়েছিল। সন্দেহ করা হচ্ছে, বিশেষ করে হিন্দুদের প্রতি রাজাকারি তৎপরতার কারণেই মূলত তাদের নিষিদ্ধ করা হয়। ঢাকার পলিটিক্যাল অফিসারের সঙ্গে কথা বলে এই বার্তা পাঠানো হলো।’ 
      
স্পিভাক একাত্তরের ২৯ ডিসেম্বরের এক বার্তায় (ঢাকা ৫৮৩৭) লিখেছেন, ‘বঙ্গভবনে ঘণ্টাব্যাপী এক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, রাজাকারদের বিচার করা হবে এবং কঠোরভাবে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।’

Source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-12-14/news/313223

Monday, June 4, 2012

BNP's ally Jamaate Islami's leading British Muslim leader faces war crimes charges

Leading British Muslim leader faces war crimes charges in Bangladesh

One of Britain's most important Muslim leaders is to be charged with war crimes, investigators and officials have told The Sunday Telegraph

8:00AM BST 15 Apr 2012
Chowdhury Mueen-Uddin, left, with the Prince of Wales at the Markfield Islamic Foundation


Chowdhury Mueen-Uddin, director of Muslim spiritual care provision in the NHS, a trustee of the major British charity Muslim Aid and a central figure in setting up the Muslim Council of Britain, fiercely denies any involvement in a number of abductions and "disappearances" during Bangladesh's independence struggle in the 1970s.

He says the claims are "politically-motivated" and false.

However, Mohammad Abdul Hannan Khan, the chief investigator for the country's International Crimes Tribunal, said: "There is prima facie evidence of Chowdhury Mueen-Uddin being involved in a series of killings of intellectuals.

"We have made substantial progress in the case against him. There is no chance that he will not be indicted and prosecuted. We expect charges in June."

Mr Mueen-Uddin could face the death penalty if convicted.

Bangladesh's Law and Justice Minister, Shafique Ahmed, said: "He was an instrument of killing intellectuals. He will be charged, for sure."

For 25 years after independence from Britain, the country now known as Bangladesh was part of Pakistan, even though the two halves were a thousand miles apart with India between them. In 1971, Bangla resentment at the "colonial" nature of Pakistani rule broke out into a full-scale revolt.

Hundreds of thousands of civilians were massacred by Pakistani troops.

Mr Mueen-Uddin, then a journalist on the Purbodesh newspaper in Dhaka, was a member of a fundamentalist party, Jamaat-e-Islami, which supported Pakistan in the war. In the closing days, as it became clear that Pakistan had lost, he is accused of being part of a collaborationist Bangla militia, the Al-Badr Brigade, which rounded up, tortured and killed prominent citizens to deprive the new state of its intellectual and cultural elite.

The sister-in-law of one such victim, Dolly Chaudhury, claims to have identified Mr Mueen-Uddin as one of three men who abducted her husband, Mufazzal Haider Chaudhury, a prominent scholar of Bengali literature, on the night of 14 December 1971.

"I was able to identify one [of the abductors], Mueen-Uddin," she said in video testimony, seen by The Sunday Telegraph, which will form part of the prosecution case.

"He was wearing a scarf but my husband pulled it down as he was taken away. When he was a student, he often used to go to my brother in law's house. My husband, my sister-in-law, my brother-in-law, we all recognised that man."

Professor Chaudhury was never seen again.

Also among the as yet untested testimony is the widow of another victim, who claims that Mr Mueen-Uddin was in the group that abducted her husband, Sirajuddin Hussain, another journalist, from their home on the night of 10 December 1971.

"There was no doubt that he was the person involved in my husband's abduction and killing," said Noorjahan Seraji. One of the other members of the group, who was caught soon afterwards, allegedly gave Mr Mueen-Uddin's name in his confession.

Another reporter on Purbodesh, Ghulam Mostafa, also disappeared.

The vanished journalist's brother, Dulu, said he appealed to Mr Mueen-Uddin for help and was taken around the main Pakistani Army detention and torture centres by Mr Mueen-Uddin. Dulu Mostafa said that Mr Mueen-Uddin appeared to be well known at the detention centres, gained easy admission to the premises and was saluted by the Pakistani guards as he entered. Ghulam was never found.

Mr Mueen-Uddin's then editor at the paper, Atiqur Rahman, said that Mr Mueen-Uddin had been the first journalist in the country to reveal the existence of the Al-Badr Brigade and had demonstrated intimate knowledge of its activities.

After his colleagues disappeared, he said, Mr Mueen-Uddin had asked for his home address. Fearing that he too would be abducted, the editor gave a fake address. Mr Rahman's name, complete with the fake address, appeared on a Al-Badr death list found just after the end of the war.

"I gave that address only to Chowdhury Mueen-Uddin, and when that list appeared it was obvious that he had given that address to Al Badr," Mr Rahman said in statements given to the investigators.

"I'm sure I gave the address to no-one else."

Mr Rahman then published a front-page story and picture about Mr Mueen-Uddin, who had by that stage left the city, naming him as involved in "disappearances."

This brought forward two further witnesses, Mushtaqur and Mahmudur Rahman, who claim they recognised the picture as somebody who had been part of an armed group looking for the BBC correspondent in Dhaka during the abductions. The group was unsuccessful because the BBC man had gone into hiding.

Toby Cadman, Mr Mueen-Uddin's lawyer, said on Saturday: "No formal allegations have been put to Mr Mueen-Uddin and therefore it is not appropriate to issue any formal response. Any and all allegations that Mr Mueen-Uddin committed or participated in any criminal conduct during the Liberation War of 1971 that have been put in the past will continue to be strongly denied in their entirety.

"For the Chief Investigator to be making such public comment raises serious questions as to the integrity of the investigation. The Chief Investigator will be aware that the decision as to the bringing of charges is made by the Prosecutor and not an investigator.

"Therefore, the comments by the Chief Investigator are highly improper and serves as a further basis for raising the question as to whether a fair trial may be guaranteed before the International Crimes Tribunal in Bangladesh.

"The statement by the Bangladesh Minister for Law, Justice and Parliamentary Affairs is a clear declaration of guilt and in breach of the presumption of innocence."

Since moving to the UK in the early 1970s, Mr Mueen-Uddin has taken British citizenship and built a successful career as a community activist and Muslim leader.

In 1989 he was a key leader of protests against the Salman Rushdie book, The Satanic Verses.

Around the same time he helped to found the extremist Islamic Forum of Europe, Jamaat-e-Islami's European wing, which believes in creating a sharia state in Europe and in 2010 was accused by a Labour minister, Jim Fitzpatrick, of infiltrating the Labour Party.

Tower Hamlets' directly-elected mayor, Lutfur Rahman, was expelled from Labour for his close links with the IFE.

Until 2010 Mr Mueen-Uddin was vice-chairman of the controversial East London Mosque, controlled by the IFE, in which capacity he greeted Prince Charles when the heir to the throne opened an extension to the mosque. He was also closely involved with the Muslim Council of Britain, which has been dominated by the IFE.

He was chairman and remains a trustee of the IFE-linked charity, Muslim Aid, which has a budget of £20 million. He has also been closely involved in the Markfield Institute, the key institution of Islamist higher education in the UK.

The International Crimes Tribunal, a new body set up to try alleged "war criminals" from the 1971 war, has already begun trying some Bangladesh-based leaders of Jamaat-e-Islami.
Trials were originally supposed to start soon after the war but were cancelled by the military after a coup.

The new tribunal was welcomed by most Bangladeshis and international human rights groups as finally bringing justice and closure for the massive abuses suffered by civilians in 1971.

However, it is now subject to growing international criticism. Human Rights Watch said that the ICT's proceedings "fall short of international standards" with a "failure to ensure due process" and "serious concerns about the impartiality of the bench."

"The chairman of the tribunal was formerly one of the investigators," said Abdur Razzaq, lead counsel for the defence.

"As chairman, he will be pronouncing on an investigation report he himself produced."

The law minister, Mr Ahmed, denied this. Mr Razzaq described the tribunal as "vendetta politics" by Bangladesh's ruling Awami League against its political opponents.

Any trial of Mr Mueen-Uddin would also be fraught with practical difficulties. There is no extradition treaty between Britain and Bangladesh and the UK does not extradite in death penalty cases. Many of the witnesses are elderly and some have died.

However, Mr Hannan Khan said that Mr Mueen-Uddin was likely to be tried in absentia if he did not return.

"We have a duty to bring alleged perpetrators to justice," he said.

"They must know the fear, however long ago it was. What happened here forty years ago is on the conscience of the world."

"I have waited 40 years to see the trial of the war criminals," said the widow, Noorjahan Seraji. "I have not spent a single night without suffering and I want justice."

Source: http://www.telegraph.co.uk/news/worldnews/asia/bangladesh/9204831/Leading-British-Muslim-leader-faces-war-crimes-charges-in-Bangladesh.html