তাজউদ্দিনকে পাকিস্তানে পাঠায় ডিজিএফআই, জানতেন খালেদা
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও গ্রেনেড সরবরাহকারী মাওলানা তাজউদ্দিনকে পাকিস্তানে পাঠিয়েছিল প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) জঙ্গি দমন-সংক্রান্ত ব্যুরো। আর এটা জানতেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াও। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হরকাতুল জিহাদের (হুজি) জঙ্গিদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু জড়িত ছিলেন—এমন তথ্য ২০০৬ সালের আগস্টেই (বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে) বেরিয়ে আসে। তখন এই তথ্য এবং তাজউদ্দিনকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ সম্পর্কে ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাদিক হাসান রুমী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জানিয়েছিলেন। সাদিক হাসান রুমী গত বছরের ২০ জুন আদালতে সাক্ষী হিসেবে দেওয়া জবানবন্দিতে এই ব্যাপারে বিস্তারিত বলেছেন।
২১ আগস্ট মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র, ডিজিএফআইয়ের সাবেক চার কর্মকর্তা ও হুজির শীর্ষনেতাদের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে দেখা যায়, ডিজিএফআইয়ের জঙ্গিবাদ দমন-সংক্রান্ত গোয়েন্দা শাখা (কাউন্টার টেররিজম ইন্টিলিজেন্ট ব্যুরো—সিটিআইবি) চারদলীয় জোট সরকারের আমলে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করত। ডিজিএফআই থেকে নিয়মিত টাকাও পেতেন হুজির শীর্ষনেতারা।
অবশ্য ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আফজাল নাছের ভূঁইয়া (পরে বহিষ্কৃত), মেজর সৈয়দ মনিরুল ইসলাম (পরে বহিষ্কৃত) ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মিজানুর রহমান আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, হুজির নেতা মাওলানা আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা রাজ্জাক, মাওলানা সাব্বির ও মাওলানা মনির সিটিআইবিতে তথ্য সরবরাহকারী হিসেবে (সোর্স) কাজ করতেন। এ জন্য তাঁদের নিয়মিত টাকা দেওয়া হতো। এ ছাড়া হুজির সাবেক আমির মুফতি শফিকুর রহমান, হাফেজ ইয়াহিয়া, আবু বকর ও কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদীনের নেতা আবু ইউসুফ ওরফে মাজেদ বাটও বিভিন্ন সময় ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বলে তাঁরা স্বীকার করেছেন। এসব জঙ্গিও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অভিযুক্ত আসামি।
হুজির সাবেক আমির মাওলানা আবদুস সালামও আদালতে জবানবন্দিতে বলেছেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে একযোগে বোমা হামলার পর থেকে তাঁর সঙ্গে ডিজিএফআইয়ের যোগাযোগ গড়ে ওঠে। সালাম দাবি করেন, তাঁরাই ডিজিএফআইকে তথ্য দিয়ে মুফতি হান্নান ও সিলেটে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলায় জড়িত হুজির জঙ্গি শরিফ শাহেদুল ওরফে বিপুলকে ধরিয়ে দিয়েছেন।
লে. কর্নেল আফজাল, মেজর মনিরুল ও লে. কমান্ডার মিজানের জবানবন্দিতেও একই তথ্য রয়েছে।
লে. কমান্ডার মিজান আদালতকে বলেন, সিলেটের বিপুলকে ধরিয়ে দিতে মাওলানা সালাম পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। এ কাজে পরে সালামকে তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে মাওলানা রাজ্জাক পেয়েছেন এক লাখ টাকা। মিজানের দায়িত্ব ছিল লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দারের নির্দেশে হুজির নেতাদের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়া।
অধিকতর তদন্ত: বর্তমান সরকারের আমলে অধিকতর তদন্ত শেষে সিআইডি গত ৩ জুলাই ২১ আগস্টের দুই মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়। এতে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির সাংসদ শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, ডিজিএফআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিম, খালেদা জিয়ার ভাগনে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউকসহ ৩০ জনকে নতুন করে আসামি করা হয়েছে।
যেভাবে তাজউদ্দিনের নাম আসে: অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে, তাজউদ্দিন পাকিস্তানের মাদ্রাসায় পড়াশোনা করার সময় কাশ্মীরভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা, তেহরিক-ই জিহাদ আল ইসলাম ও হিজবুল মুজাহিদীনের সঙ্গে জড়িত হন।
মেজর জেনারেল সাদিক হাসান রুমী, লে. কর্নেল আফজাল, মেজর মনির ও লে. কমান্ডার মিজানের জবানবন্দিতে তাজউদ্দিনকে বিদেশে পাঠানোর বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। এই চারজন এখন ২১ আগস্ট মামলার অন্যতম সাক্ষী। তাঁদের জবানবন্দি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সিলেটে বাংলাদেশে তখনকার ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনা নিয়ে চাপে পড়ে বিএনপি সরকার। ২০০৬ সালের আগস্টে গ্রেনেড নিক্ষেপকারী বিপুল ও তাঁর সহযোগী মিজানকে সিলেট থেকে আটক করে গোয়েন্দারা। যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্র টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশনে (টিএফআই) হাইকমিশনারসহ সিলেটে বিভিন্ন গ্রেনেড হামলার কথা স্বীকার করেন বিপুল। তিনি জানান, মুফতি হান্নান তাঁদের আর্জেস গ্রেনেড সরবরাহ করেছিলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাও মুফতি হান্নান পরিচালনা করেছেন।
এই তথ্যের ভিত্তিতে তখন রিমান্ডে থাকা মুফতি হান্নানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি ২১ আগস্ট হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং বিস্তারিত বিবরণ দেন। মুফতি হান্নান তখন আরও জানান, তাঁকে গ্রেনেড সরবরাহ করেছেন উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন।
এভাবে মাওলানা তাজউদ্দিনের নাম বেরিয়ে আসে। ডিজিএফআইয়ের সাবেক কর্মকর্তারা জবানবন্দিতে বলেছেন, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা সূত্র থেকে তাজউদ্দিনের ব্যাপারে তথ্য পান। তা ছিল: তাজউদ্দিন লস্কর-ই-তাইয়েবার জন্য বাংলাদেশ হয়ে ভারতের কাশ্মীরে অস্ত্র-গোলাবারুদ পাঠানোর কাজে যুক্ত।
ডেকে এনে পাকিস্তানে পাঠানো: মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তির পর হুজির মাওলানা সালামের সহায়তায় ২০০৬ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের কোনো একদিন তাজউদ্দিনকে ডেকে আনা হয় গুলশানে ডিজিএফআইয়ের একটি ‘সেফ হাউসে’। পরে লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, লে. কর্নেল আফজাল ও মেজর মনির সেখানে আসেন। তাঁরা একসঙ্গে রাতের খাবার খান। সাইফুল ও আফজাল এরপর তাজউদ্দিন ও সালামের সঙ্গে একান্ত আলোচনা করেন। একপর্যায়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (পরে মেজর জেনারেল) এ টি এম আমিন যোগ দেন তাঁদের সঙ্গে। সালাম ও মিজানদের অন্য কক্ষে পাঠিয়ে আমিন, সাইফুল ও আফজাল দীর্ঘ সময় তাজউদ্দিনের সঙ্গে আলাপ করেন।
ওই দিন থেকে পাকিস্তানে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাজউদ্দিন ডিজিএফআইয়ের গুলশানের ওই ‘অতিথিশালা’তেই ছিলেন।
পরদিন বেলা ১২টায় আবার আমিন, সাইফুল ও আফজাল কয়েক ঘণ্টা তাজউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেন। তখন তাজউদ্দিন গ্রেনেড সরবরাহ করা থেকে শুরু করে তাঁর ভাই উপমন্ত্রী পিন্টুর বাসায় বৈঠক, হামলাকারীদের নিরাপত্তার জন্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সর্বাত্মক সহায়তাসহ ২১ আগস্ট হামলার সার্বিক বিবরণ দেন।
ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা আফজাল, মনির ও মিজান জবানবন্দিতে বলেছেন, তাজউদ্দিনের এসব তথ্য তখন আমিন ও সাইফুল মুঠোফোনে ঊর্ধ্বতন কাউকে জানান। তারপর তাঁদের বলেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর এই বিষয়ে কোনো বাড়াবাড়ি না করে তাজউদ্দিনকে দ্রুত পাকিস্তান পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আর তাজউদ্দিনের পাসপোর্ট, টিকিট ও ভিসা জোগাড়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় মেজর মনির ও লে. কমান্ডার মিজানকে। মাত্র দুই দিনের মধ্যে লে. কর্নেল সাইফুল পাসপোর্ট, পাকিস্তান যাওয়ার ভিসা ও বিমানের টিকিট এনে দেন। তাঁর নির্দেশে মিজান ও মনির মাওলানা তাজউদ্দিনকে করাচিগামী বিমানে তুলে দেন ২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর। পাকিস্তানে যাওয়ার পরও তাজউদ্দিন টেলিফোনে কর্নেল সাইফুল ও মেজর মনিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তাঁকে বলা হয়েছে, ডিজিএফআইকে না জানিয়ে তিনি যেন বাংলাদেশে না আসেন।
তাজউদ্দিনকে গ্রেপ্তার না করে পাকিস্তান পাঠানোর এ তথ্য ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালকও জানতেন।
খালেদা কতটা জানতেন: সম্পূরক অভিযোগপত্রে বলা হয়, বাবরের নির্দেশে ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর জ্ঞাতসারে মাওলানা তাজউদ্দিনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, তাঁর (ডিউক) ভায়রা ডিজিএফআইয়ের লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার ও সিটিআইবির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ টি এম আমিন পরস্পর যোগসাজশে বাদল ছদ্মনামে তাজউদ্দিনের জন্য পাসপোর্ট করান। ২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর তাজউদ্দিনকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেন তাঁরা।
ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) সাদিক হাসান রুমী আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, ‘মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে তৎকালীন সরকারের দুই মন্ত্রীর জড়িত থাকার কথা উল্লেখ থাকায়, আমি তা “টকিং পয়েন্ট” হিসেবে লিখিতভাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দিই। এবং আমি নিজেও ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি বলি। তিনি কিছু না বলে টকিং পয়েন্টটি তাঁর কাছেই রেখে দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে আমাকে কোনো নির্দেশ দেন নাই।’
সাদিক হাসান রুমী বলেন, পরে তাঁকে এ টি এম আমিন ও সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার এসে বলেন, বাবর ও ডিউক তাঁদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিনকে বিদেশে পাঠিয়ে দিতে বলেছেন। তাই তাজউদ্দিনকে পাকিস্তানে পাঠানোর সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অধীনস্থ কর্মকর্তাদের এই তথ্য যাচাই করতে জেনারেল রুমী প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যান। প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুরো বিষয় তুলে ধরেন। রুমী বলেন, ‘আমার কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী অনেকটা ক্ষুব্ধ ও বিরক্তির সুরে বলেন, “সিআইডি এই মামলার রহস্য ইতিমধ্যে উদ্ঘাটন করে ফেলেছে (জজ মিয়া কাহিনি), আপনি কোথা থেকে এই সব আজগুবি তথ্য নিয়ে এসেছেন? মাওলানা তাজউদ্দিন পাকিস্তান যাবে না কোথায় যাবে, তাতে আপনার মাথাব্যথা কেন?” এই বলে তিনি আমার সাথে আর কোনো কথা বলেন নাই।’
বিএনপির বক্তব্য: ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার অভিযোগপত্রে এভাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাম আসার বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়ানোর পাঁয়তারা এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শুরু করেছিল। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান জড়িত—অনেককে চাপ দিয়ে এ কথা বলানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলাকালে বিএনপির পক্ষ থেকে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে এবং একাধিক সমাবেশে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আসামি করার আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিকে রাজসাক্ষী করার প্রলোভন দেখানো হচ্ছিল বলেও তখন আমরা বলেছিলাম।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, অধিকতর তদন্তের নামে মূলত খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপির নেতাদের ফাঁসানোই ছিল সরকারের লক্ষ্য। যখন কোনো তথ্যপ্রমাণ তদন্তকারী পেল না, তখন সরকারের চাপে তারেককে আসামি করা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, বিএনপিকে ধ্বংসের এ ধরনের চেষ্টার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও আইনি লড়াই চালানো হবে।