২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা
খালেদার জড়িত থাকার আভাস দিলেন জে. রুমি
সাক্ষী হিসেবে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া বিচারপূর্ব জবানবন্দিতে রুমি বলেন, 'তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আগে থেকেই সবকিছু জানেন বুঝতে পেরে আমি কথা না বাড়িয়ে সেদিন তার অফিস ত্যাগ করেছিলাম।' তার এ বক্তব্য ২১ আগস্ট হামলা বার্ষিকীর প্রাক্কালে 'সাপ্তাহিক ২০০০'-এর সাম্প্রতিক এক সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
জেনারেল রুমি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছেও অনুরূপ জবানবন্দি প্রদান করেন। সন্দেহভাজনদের বিচারকাজের সঙ্গে সংশিল্গষ্ট কর্মকর্তারাও রুমির এই বক্তব্যের কথা স্বীকার করেছেন।
সাবেক গোয়েন্দা প্রধান অভিযোগ করেন, তাকে সেদিন গ্রেনেড হামলার তদন্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বরং এটা চাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার ওপর নাখোশ হন এবং গ্রেনেড হামলার ইস্যু নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে চাওয়ায় তিনি তাকে তিরস্কার করেন।
জেনারেল রুমি উলেল্গখ করেন, হামলার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী মাওলানা তাজউদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রী নিজে নিরাপদে বিদেশে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে যে তথ্য পাওয়া গেছে তা সঠিক কি-না তিনি তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করলে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বেগম জিয়া তাকে বলেন, 'কোথা থেকে তুমি এই উদ্ভট তথ্য পেয়েছ। তাজউদ্দিন পাকিস্তানে না কোথায় গেছে সে ব্যাপারে তোমার মাথাব্যথা কেন?'
সাবেক গোয়েন্দা প্রধান বলেন, গ্রেনেড হামলার খবর পেয়েই তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জানানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু টেলিফোনে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীকে ফোন করেন। হারিছ অচেনা স্বরে তাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে তার বার্তা পেঁৗছে দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং ঘটনাটি ব্যাখ্যা করে বলার আগেই ফোনটি কেটে দেন।
সাবেক ডিজিএফআই প্রধান বলেন, পরে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে ফোন করেন। কিন্তু ঘটনা জানেন বলেই তিনিও ফোনটি কেটে দেন।
এই গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বেগম জিয়ার পলাতক বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিচারকার্য চলাকালে জেনারেল রুমির বিচারপূর্ব এই বক্তব্য পাওয়া গেল।
Source: http://www.samakal24.com/details.php?news=13&action=main&view=archiev&y=2012&m=08&d=23&option=single&news_id=285451&pub_no=1146