Thursday, October 1, 2015

OIC Secretary General's Statement and Daily Naya Diganta's Vicious Lie


ওআইসির মহাসচিবের বিবৃতি বিকৃত করে নয়া দিগন্ত পত্রিকার জালিয়াতি

২০১৩'র মার্চের ৪ তারিখ অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি, পূর্বের নাম অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স) মহাসচিব ড. একমেলুদ্দীন এহসানুগ্লু বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতার ওপর যে বিবৃতি দেন নীচে তা হুবহু তুলে ধরা হলো:

OIC Secretary General calls for restraint in Bangladesh
Date: 04/03/2013 

The Secretary General of the Organization of Islamic Cooperation (OIC), Prof. Ekmeleddin Ihsanoglu, has been following with concern the serious situation in Bangladesh which claimed dozens of lives and caused the destruction of public and private properties.  

In trying to bring about satisfactory solutions to the country’s political and social issues, the Secretary General invited all parties to refrain from all acts of violence which go against the interests of the country, and called for the proper respect of the rule of law by all.

(সত্যতা পরিক্ষা করতে ওআইসির লিংকটি http://www.oic-oci.org ইন্টারনেটে খুলুন। English ভাষা সিলেক্ট করুন। ওয়েব পেইজটি ওপেন হলে উপরের ডানদিকে সার্চ বক্সে বাংলাদেশ টাইপ করে এন্টার চাপুন। 04/03/2013 তারিখের OIC Secretary General calls for restraint in Bangladesh আর্টিকেলটি সিলেক্ট করুন)

সুধি পাঠক, এখন নীচে দেখুন দৈনিক নয়া দিগন্তের ভয়াবহ জালিয়াতি। ৮ই মার্চ ২০১৩'র প্রথম পাতায় তারা তথাকথিত মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধির বরাত দিয়ে "বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল বাতিল করুন: ওআইসি মহাসচিব" শিরোনামে তিন প্যারাগ্রাফের এই আর্টিকেলটি প্রকাশ করে। তবে ইন্টারনেট লিংকটি তারা এখন কোনো অজ্ঞাত(?) কারনে অচল করে দিয়েছে। পাঠক আপনারা উপরের ইংরেজিতে আসল বিবৃতিটি পড়ুন এবং নীচের রিপোর্টটির সাথে মিলিয়ে দেখুন কি ভয়াবহ অবস্থা। দৈনিক নয়া দিগন্ত এই জালিয়াতির জন্য এখনো ক্ষমা চায়নি। আমার দেশ ও তার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন করা নিয়ে অনুরুপ জালিয়াতি করেছিল।

(দৈনিক নয়া দিগন্ত: আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় বাতিলের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে শান্তিপূর্ন বিক্ষোভকারীদের ওপর যেভাবে গুলি ও সহিংসতা চালানো হচ্ছে তা বন্ধ করে অচিরেই বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল বাতিলের দাবি জানান অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্সের (ওআইসি) মহাসচিব ড. একমেলুদ্দীন এহসানুগ্লু। গতকাল ওআইসি মহাসচিব এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

তিনি বিবৃতিতে আরো বলেন, বিরোধী দলের ওপর দমন-নিপীড়নের ফলে বাংলাদেশে যে ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে আমরা তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করছি। সেই সাথে অচিরেই জামায়াত সমর্থক সাধারন নাগরিক ও পুলিশসহ নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে যে সংঘর্ষ চলছে তা বন্ধের উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি, সরকার বিরোধী দলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে দেশের স্বার্থে উত্তম পন্থা খুঁজে বের করবে। পুলিশ বাহিনী দিয়ে সহিংসতা এমন চরম আকার ধারন করেছে যে দেশ এক অকল্যানকর রাষ্ট্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে। গত মাসে জামায়াত নেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দেয়া ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে আর আহত হয়েছে কয়েক হাজার। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনকে তোয়াক্কা না করে যে রায় দেয়া হয়েছে তা গ্রহনযোগ্য নয়। কেননা আইনজীবীদের কার্যক্রম ইতোমধ্যে ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বাংলাদেশে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে সন্দেহ পোষন করছে।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছে আর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন না হওয়ার এমন লোকদের বিচারের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে যে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে তা সম্পূর্ন আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুনের পরিপন্থী। দলীয় ট্রাইব্যুনালে কোনো অবস্থাতেই ন্যায়বিচার আশা করা যায় না। তা ছাড়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করার কারনে বিদ্বেষ পোষন করা হচ্ছে। আর যাদের ওপর অভিযোগ আনা হয়েছে তারা বাংলাদেশের বৃহৎ ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। ১৯৭১ সালে তারা পাকিস্তান থেকে বিছিন্ন হতে না চাইলেও স্বাধীনতা-পরবর্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা হেফাজতে ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি সবাইকে দেশের সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার ও ইসলামী ব্যাংকসহ সাধারন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহবান জানান।)

সুধি পাঠক, ওআইসি মহাসচিবের আসল বিবৃতির সাথে দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রকাশিত বিবৃতির কোনো মিল কি খুঁজে পেলেন?